পরিবারের একজন হসপিটালাইজড মানেই সবকিছু ওলটপালট

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

পরিবারের কেউ হসপিটালাইজড হলে আসলে শুধু সে নয়, পুরো পরিবারের উপরই তার একটা প্রেসার পরে।আমার তো মনে হয় যেনো সবকিছু মুহূর্তেই এলোমেলো হয়ে যায়। যে মানুষটা একসাথে ছিলো হঠাৎ তার শরীর খারাপ হয়ে হসপিটালে ভর্তি হওয়া মানেই একরকম ধাক্কা। যতই সামলাতে চেষ্টা করি না কেনো ভেতরে এক অদ্ভুত অস্থিরতা কাজ করে। মাথা কাজ করে না, মনের ভেতর শুধু একটা চিন্তা, সব ভালো আছে তো?

হসপিটালের পরিবেশটাই আলাদা। চারপাশে অসুস্থ মানুষ কাঁদছে কেউ আবার কেউ অপারেশনের অপেক্ষায়। এর মধ্যে নিজেদের পরিবারের প্রিয় মানুষটাকে দেখলে বুকটা কেমন যেনো মোচড় দিয়ে ওঠে। তখন বুঝি, আমাদের সামান্য অসাবধানতা কী ভয়ংকর পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।

সত্যি কথা বলতে এমন সময় ডেইলি লাইফের সব নিয়ম ভেঙে যায়। যে রুটিনে চলতাম, সেসব আর আগের মতো থাকে না। ঘুম, খাওয়া, বিশ্রাম সবকিছু কেমন এলোমেলো হয়ে যায়।হসপিটাল জায়গাটা প্রচন্ড দমবন্ধের মনে হয় আমার কাছে। মাঝেমধ্যে মনে হয় কিছুই করার নেই, শুধু অসহায়ভাবে বসে থাকা ছাড়া। আর এই সময়টাতে একটা বিশেষ ব্যাপার হয় সেটা হলো অনেকেই অনেক মেন্টাল সাপোর্ট দেয় আবার অনেকে একেবারে দূরে সরে যায়। তখন বুঝা যায় যে কে সত্যিকার অর্থে আপন।সবকিছু মিলিয়ে এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হয়।

তবে এসব পরিস্থিতিই অনেক কিছু শেখায়। শেখায় কেমন করে টেনশনের মধ্যেও সামলে নিতে হয়। ছোট ছোট কিছু ভালো খবর যেমন রিপোর্ট ভালো এসেছে বা একটু ভালো ঘুমিয়েছে বা খাওয়া দাওয়া করেছে এই জিনিসগুলোই তখন অনেক বড় শান্তি হয়ে দাঁড়ায়।

সব মিলিয়ে আমার কাছে হসপিটাল মানেই একরকম এর শাস্তি মনে হয় কেনো যেনো।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।