জেনারেল রাইটিং :শৈশবে সাঁতার শিখা
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। সত্যি বলতে আমাদের শৈশবের স্মৃতি গুলো মনে পড়লে অনেক ভালো লাগে। যদিও এখনকার বাচ্চাদের শৈশব তেমন ভাবে কাটে না। এখন অনেক বৃষ্টি হচ্ছে। আর বৃষ্টিতে নদীনালা খালবিল সব কিছু পানিতে ভরে গিয়েছে। তাই গতকাল দেখেছিলাম কিছু বাচ্চা পুকুরের পানিতে নেমে সাঁতার শিখছে। আসলে আমি কিছু সময় দাঁড়িয়ে তাদের সাঁতার দেখছিলাম। যদিও তারা মোটামুটি পারে তাই তাদের দেখে আমার শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল।সত্যি শৈশব অনেক মধুর হয়।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমি যখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি তখনকার ঘটনা। আমার বড় ভাই ও বোন ছিল। তারা আমাকে কখনো পুকুরে গোসল করতে নিয়ে যেত না।আর আমাদের বাড়ির পাশে নদী ও ছিল না। তবে আমরা সবাই মিলে মাঝে মাঝে আমার নানার বাড়িতে যেতাম বেড়াতে।যদিও আমি সব চেয়ে ছোট ছিলাম।আমার এক মামাতো বোন সে আমাকে নিয়ে নদীতে সাঁতার শিখাত। আসলে সে ও তেমন বড় নয় তবে আমার থেকে বেশ বড়।এটা দেখে একদিন আমার মা তাকে অনেক রাগ করেছিল। তারপর সে আর আমাকে সাথে নেবে না।
একবার আমি আমার মা ও আমার ছোট ভাই মিলে নানার বাড়িতে বেশ কিছু দিন ছিলাম।তখন নদীতে পানি ও কম ছিল। তবে সেইবার আমার মামাতো বোন আর একদিন ও আমাকে নিয়ে যাবে না।তারপর একদিন আমার মা মামিদের সাথে কাজ করছিল আর সেই ফাঁকে আমি নদীতে গিয়েছিলাম। আমি গিয়ে দেখি অনেককে সাঁতার কাটছে। আমাকে দেখে আমার মামাতো বোন বলল আই তোরে আর সাঁতার শিখাব।আমার বেশ কিছু সময় সাঁতার কাটার পরে হঠাৎ করে আমি আমার বোনের কাছ থেকে দূরে চলে যায়।মানে একটু বেশি পানির ভিতরে।
আর আমার বোন ও বেশি পানিতে যাবার সাহস পাচ্ছে না। আসলে সে ও ছোট মানুষ। এভাবে কিছু সময় চলে গিয়েছিল।এদিকে বাড়িতে খবর দিতে ও ভয় পাচ্ছে অন্য দিকে আমাকে ও আনতে পারছে না।এদিকে আমি পানির ভিতরে ডুবে যাচ্ছি। তারপর বাড়ি থেকে লোকজন আমাদের খুজার জন্য নদীতে এসে দেখে এই অবস্থা। তারপর আমার মামা গিয়ে তারাতাড়ি আমাকে পানি থেকে তুলে নিয়ে আসে।এদিকে সবাই কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে। তারপর পেটের ভিতর থেকে পানি বের করে আস্তে আস্তে আমি স্বাভাবিক হতে শুরু করি। সত্যি বলতে এখন সেই কথা মনে পড়লে অনেক খারাপ লাগে। আমার মা এখনো বলে সেই পানিতে ভরে তুই মারা যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল। আল্লাহ তোকে আমার কাছে ফেরত দিয়েছে। সত্যি একটা মনে পড়লে আমার ও অনেক ভয় লাগে। যাইহোক এ সকল স্মৃতি কখনো ভুলা সম্ভব নয়।
প্রয়োজনীয় | উপকরণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1950575872408531191?t=WvTujHCudn0CzXR7VD4pkw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1950576652762984453?t=3PgNziT6PRZ0XWRiY4885Q&s=19
আপনার শৈশবকালের সাঁতার শিখানো পোস্টটি পড়ে অনেক খারাপ লাগলো।আসলে আপনার জীবনে এরকম একটি ঘটনা ঘটে গিয়েছে এটা অনেক দুঃখজনক একটি ঘটনা।যাইহোক আপনি সৃষ্টিকর্তার দোয়ায় আপনি সুস্থ হয়েছেন।যাইহোক খুব সুন্দর ভাবে আপনি পোস্ট টি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
কিছু কিছু স্মৃতি আছে আনন্দের কিছু কিছু স্মৃতি বেদনার। শৈশবের সব স্মৃতি গুলো সব সময় মনের মাঝে থেকে যায়। আপনিও অনেক ভালো ভাবে শৈশবের স্মৃতি তুলে ধরেছেন আপু। কিছু কিছু ব্যাপার সত্যি দুঃখজনক।