ইঞ্জিনিয়ার কলেজে ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
ইঞ্জিনিয়ার কলেজে ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা ঘোরাঘুরি পোস্ট নিয়ে। ঘুরতে আমরা সবাই পছন্দ করি। তবে সেই ঘুরা যদি কোন প্রিয় জায়গায় হয় তাহলে তো কথাই নেই। আসলে অনেকদিন বৃষ্টির কারণে তেমন বাইরে যাওয়া হয় না বলেই চলে। তবে গত শুক্রবারে আমার বোনের বাসায় সবাইকে দাওয়াত করেছিল। আর ইঞ্জিনিয়ার কলেজটি বোনের বাসার সামনেই তাই একটু ঘুরে এসেছি। সত্যি বলতে কলেজটি নতুন করেছে। আর বিকেল বেলা হলে অনেকে এখানে ঘুরতে আসে। যদিও আমি আগে একবার গিয়েছি। তবে এবার হাতে সময় ছিল তাই আবার ঘুরে এসেছি।সত্যি অনেক ভালো জায়গা। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
কলেজটি আমার বোনের বাসা থেকে তেমন দূরে নয়। তারপরে আমাদের যেতে দশ মিনিটের মতো সময় লেগেছে। সত্যি বলতে আমরা কয়েক জন গিয়েছিলাম। আর আমরা গিয়েছিলাম একেবারে পড়ন্ত বিকেলে। যাবার সময় কলেজের সামনে থেকে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি।সত্যি এমন সবুজ প্রকৃতি দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর আমার মনে হয় সবুজের ছোয়া সব সময় মানুষের মন কেড়ে নেয়। আর সাদা মেঘের ভেলার মাঝে সূর্য দেখতে অনেক ভালো লেগেছিল। সত্যি অপরূপ সৌন্দর্য্যের আমাদের এই বাংলাদেশ।
অবশেষে আমরা সবাই কলেজের সামনে পৌঁছে গেলাম। আসলে কলেজটি মাঠের ভিতরে আর বৃষ্টির জন্য সামনে দিয়ে অনেক সবুজের ঘাস পাতা গজিয়েছে।আসলে আমরা একেবারে সন্ধ্যার দিকে গিয়েছিলাম তারজন্য তেমন কোন লোকজন ছিল। তারপর ছিল বৃষ্টি। তবে বাচ্চারা বৃষ্টির ভিতরে ঘুরে তেমন মজা পায়নি।আসলে আমাদের সবার বৃষ্টি ভালো লাগে তবে অতিরিক্ত কোন কিছু ভালো লাগে না।আসলে ঘন বৃষ্টি সবার অপছন্দ মনে হয় । তবে কলেজের ভিতরে কিছু সময় ঘুরেছিলাম।আর কলেজের সামনে সব সময় অনেক ফাস্টফুড বিক্রি করে।সেই দিন ও ছিল। বাচ্চারা পিজ্জা, ফুসকা চটপটি ইত্যাদি খাবার জন্য বাইনা ধরলো। কি আর করা তারপর কিছু সময় ঘুরে চলে গিয়েছিলাম খাবারের দোকানে।
তারপর আর একটু এগিয়ে চলে গিয়েছিলাম চটপটি খাবার জন্য। যদিও বাচ্চারা পিজ্জা খেতে চেয়েছিল। আসলে পিজ্জার দোকান একটু দূরে থাকার জন্য চটপটির দোকানে গিয়েছিলাম।তারপর সবাই মিলে চটপটি খেয়েছি।সত্যি এখানের চটপটি অনেক মজার খাবার। যে একবার খেয়েছে সে বারবার খেতে চাইবে।যাইহোক বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছি।এমন জায়গায় ঘুরতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর আমাদের সবার উচিত মাঝে মাঝে কোথাও ঘুরতে যাওয়া। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | উপকরণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1952373875859399069?t=3jfcYY3pXC2M0zWlA2H_WA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1952375773375160581?t=N55EOWvdKyaRHtSsJgF3hg&s=19
আজকে আপনি আমাদের মাঝে ইঞ্জিনিয়ার কলেজে ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন।এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘোরাঘুরি সত্যিই শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা হতে পারে।ক্যাম্পাসটা দারুণ লাগছে!ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ভিজিটটা নিশ্চয়ই অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল!
আপু আপনার বোনের বাসা থেকে এই কলেজটি অনেক কাছে বুঝতে পারছি। সেজন্যই তো ঘুরতে যেতে পেরেছেন। তবে এটা ঠিক প্রিয় কোন জায়গায় ঘুরতে যেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে।