জেনারেল রাইটিং :-সুখ সবার কপালে সহ্য হয় না
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। সত্যি আমাদের সমাজে অনেকে আছেন যারা জীবন ভরে অনেক কষ্ট করেছে।তবে তারা যদিও একটু সুখের মুখ দেখে সেটা বেশি থাকে না।আর এমন দেখলে সত্যি অনেক খারাপ লাগে। তবে আমরা পৃথিবীতে দুদিনের অতিথি হিসেবে এসেছি।তবে আমরা পৃথিবী ছেড়ে যেতে চাই না। আমরা পৃথিবীর মায়ায় অনেক সময় ভাবি আমরা পৃথিবীতে চিরস্থায়ী। সত্যি পৃথিবী থেকে কেউ যেতে চাই না। তবে আমাদের সময় নিধারিত। এমনি এক বাস্তব বিষয় নিয়ে এসেছি আপনাদের মাঝে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমার এক চাচাত বোন।নাম তার রহিমা। আমাদের থেকে অনেক বড়। তার বয়স মোটামুটি ৫০ এর কাছাকাছি। যাইহোক আমি যখন অনেক ছোট তখন রহিমা আপুর বিয়ের বয়স হয়েছে। যখন তার জন্য ছেলে দেখতে লাগলো। তখন হঠাৎ করেই তার মা মারা গিয়েছে। আর আপনারা অনেকেই জানেন যার মা নেই পৃথিবীতে তার মতো অসহায় কেউ নেই। তারপর রহিমার বিয়ের আগেই তার বাবা আবার বিয়ে করেছে।বাবার বিয়ের কিছু দিন পরেই তার বিয়ে হয়ে যায়।
বিয়ের পরে শশুর বাড়িতে সে মোটামুটি ভালোই ছিল। যদিও তার স্বামী মোটামুটি ইনকাম করত।তবে বিয়ের পরে তাদের অনেক কষ্টেই দিন কাটত। ।তবে তার একটা ননদ আছে সে আমেরিকায় গিয়ে তাদের সংসারে উন্নতি করেছে। এভাবে বেশ কয়েক বছর কেটে গিয়েছে। যাইহোক রহিম আপুর দুই মেয়ে এক ছেলে।বড় মেয়েটা দুই তিন বছর ধরে বিয়ে হয়েছে। আর ছোট মেয়েটা প্রায় ছয় মাস হবে বিয়ে হয়েছে। এখন একটা ছেলেকে নিয়ে রহিমা আপু বেশ সুখে আছে। তার কোন অভাব নেই।
আর কথায় আছে না সবার কপালে সুখ সহ্য হয় না।গত বৃহস্পতিবারে দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে হঠাৎ অস্হির হয়ে পড়েছে।আর সাথে সাথে সবাই দেখে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছে। আর পরার সাথে সাথে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছি। এক সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে তার জ্ঞান ফেরেনি।ডাক্তার বলেছে সে কিছু দিন এর মধ্যে মারা যাবে।তবে তার ছেলেটার ক হবে এটাই বিষয়। যদিও পৃথিবীতে কারো জন্য কিছু পরে থাকে না। সত্যি রহিমা আপুর কষ্টের শেষে এখন সুখ পেয়েছে। আসলে সে সারা জীবন কষ্ট কাটিয়েছে।আর এখন সুখ পেল আর পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে।সবাই আপুর জন্য দোয়া করবেন যেন তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে।
প্রয়োজনীয় | উপকরণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1953092309580693684?t=HiW22E_eHqzXE4CyIpwvzg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1953093571755876734?t=wj0KNwvHpO0FZXjCl77gEQ&s=19