আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা খাওয়া দাওয়া পোস্ট নিয়ে। খেতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। আর সেই খাওয়া যদি কোন উপলক্ষে হয় তাহলে তো কথায় নেই। আসলে আজ হঠাৎ করেই বিকেল বেলা সবাই মিলে চলে গিয়েছিলাম শিশু পার্কে। আসলে এই সব জায়গায় হঠাৎ করে না গেলে যাওয়া হয় না।যেহেতু বিকেল বেলা গিয়েছিলাম তাই যাবার সাথে সাথে বাচ্চাদের দেখার চেয়ে খাওয়ার আনন্দ অনেক। তাই তারা আগে চলে গিয়েছিল ফুসকা খাওয়ার জন্য।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

আমরা যাবার পর পরই শুরু হলো বৃষ্টি । আর বৃষ্টির জন্য তেমন মানুষ নেই বলেই চলে। তবে মানুষ কম ও নেই। যাইহোক আমরা আগে চলে গিয়েছিলাম ফুসকার দোকানে।তারপর আমরা চার প্লেট ফুসকা অর্ডার করলাম। আসলে দোকানে তেমন কোন লোকছিল না। লোকজন কম দেখে দোকানে অন্য মানুষ চলে গিয়েছিল। যাইহোক আমাদের একটু বসতে বলল।আমরা কয়েক জন টেবিলে বসে ফুসকার অপেক্ষা করছি।বিশেষ করে বাচ্চাদের দেরি হচ্ছিল না।

তারপর ছেলেটি যখন এক প্লেট ফুসকা তৈরি করল। তখন একজন বলছে আগে আমাকে দিন।তখন ছেলেটিকে বললাম ভাইয়া তুমি আগে সব প্লেট ফুসকা রেডি কর। তারপর সবাইকে দেবে।তাহলে আমাদের বাচ্চারা ঝামেলা করবে।লোকটি বলল ঠিক আছে আগে সব রেডি করি তারপর দেব।

তারপর আমরা সবাই বসে রইলাম। দোকানদার সব ফুসকা রেডি করে আমাদের সামনে দিল।আর ফুসকা দেখে সবাই অনেক খুশি।তবে শুধু ফুসকা হলে কেমন হয় তাদের জন্য সাথে আরো কিছু খাবার দিতে হয়।একজন মজ,একজন সেভেন আপ একজন আইসক্রিম ইত্যাদি নিল।আসলে বাচ্চারা খাবার খাওয়ার সময় টাকার হিসাব করে না।তাদের যেটা ভালো লাগে সেটাই নেবে।যাইহোক খাওয়া দাওয়া শেষ করে।আমরা বের হলাম শিশু পার্কে ঘুরতে। সেটা নিয়ে হয়তো অন্য একদিন পোস্ট লিখব।বেশ মজা করে খেয়েছিল সবাই। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।