গল্প: ভালোবাসার লাল গোলাপ ২য় বা শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
গল্প : ভালোবাসার লাল গোলাপ ২য় বা শেষ পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা গল্প নিয়ে। আর গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা। আসলে রাজীব ও ছনিয়া দুজনের মধ্যে সম্পর্ক বেশ ভালোই আছে। তবে কারো সাথে কোন দেখা হয় না।এদিকে ছনিয়ার বাবা তাকে বিয়ে দেবার জন্য পাত্র খুঁজতে লাগলো। এদিকে ছনিয়া বারবার রাজীবের সাথে দেখা করার জন্য চেষ্টা করছে।তবে তারা মনে মনে দুজনে দুজনকে ভালোবাসে। কিন্তু কখনো বলে নি ভালোবাসার কথা। ছনিয়া তার বাবার চাকরির জন্য ঢাকায় থাকে। এদিকে রাজীব ঢাকায় এসেছে ভার্সিটিতে পড়ার জন্য।
একদিন ছনিয়া রাজীবকে বলল চল আমরা দুজনে দেখা করি।রাজীব ও সাথে সাথে রাজি হলো।তাদের যেদিন দেখা করার ডেট ঠিক সেই দিন ছনিয়ার বাবা একটা ছেলেকে বাসায় নিয়ে আসলো।আর সেই দিন ছনিয়ার আর দেখা হলো।যাইহোক ছেলেটি ছনিয়াকে পছন্দ করল। এদিকে ছনিয়ার বাবা ও রাজি। দুই পক্ষ মিলে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে ফেলল।তবে ছনিয়ার বিয়েতে মন নেই। সে মনে প্রাণে রাজীবকে চাই। তারপর ছনিয়া সকল ঘটনা রাজীবকে বলল।এদিকে রাজীব ছনিয়ার বিয়ের কথা শোনে ভেঙে পড়ল।তবে ছনিয়াকে বলতে পারছে না যে তুৃমি এই বিষয় বিয়ে কর না।
আসলে তারা দুজনে সরাসরি ভালোবাসার কথা বলা হয়নি।এদিকে আবার ছনিয়ার বিয়ের সময় হয়ে আসলে। যাইহোক ছনিয়া যেভাবে হোক বিয়ের আগ মূহুর্ত হলেও রাজীবের সাথে দেখা করবে।বিয়ের আগের দিন বিকেল বেলা ছনিয়া বান্ধবীর বাসায় যাবে বলে বের হলো।এদিকে রাজীব ও আসছে ছনিয়ার সাথে দেখা করতে।দুজনের হাতে দুটি লাল গোলাপ ফুল। আর ফুলের ভিতরে চিঠি লেখা রয়েছে। দুজন দুজনকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না।আর ছনিয়া আরো লিখেছে এটাই হয়তো রাজীবের সাথে তার শেষ দেখা। তারপর দুজনে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে দুটি ফুল নিয়ে।
তবে রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল। তারা দুজন দুজনকে দূর থেকে দেখছে।ছনিয়া রাজীবকে তারাতাড়ি রাস্তা পার হতে গিয়েছিল। যদিও ছনিয়া যখন পার হলো তখন রাস্তা খারাপ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই গাড়ি চলে আসলো আর এটা দেখে রাজীব দৌড়ে ছনিয়াকে বাঁচাতে আসলো।আর সাথে সাথে দুজনের ওপর দিয়ে গাড়িটি চলে গিয়েছিল। আর তাদের লাল গোলাপ দুটি দুই পাশে পড়ে রইল। দুজনের পরিবার ঠিটি পড়ে হতাশা হয়ে পড়ল। তাদের ভালোবার স্মৃতি হিসেবে লাল গোলাপ শুধু রয়ে গেল।
প্রয়োজনীয় | উপকরণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1973394743108444624?t=VgdRqRfRGxc1YqvNq1DEgQ&s=19