||নাটক রিভিউ:-হৃদয়ে রেখেছি গোপনে||

আসসালামু আলাইকুম:-আদাব

"নাটক রিভিউ:-হৃদয়ে রেখেছি গোপনে" "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।

প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ:-হৃদয়ে রেখেছি গোপনে আমি সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করার। আমার বাংলা ব্লগে নতুন কিছু শেয়ার করতে পারলে নিজেকে অনেক ভালো লাগে।তো আমি প্রতি সপ্তাহে আপনাদের মাঝে একটি করে নাটক রিভিউ পোস্ট শেয়ার করি।আজকেও তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য আজকেও নাটক রিভিউ নিয়ে উপস্থিত হলাম।তো আমি সবসময় চেষ্টা করি মুশফিক আর ফারহানের নাটক শেয়ার করার।কারণ ফারহানের অভিনয় আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।তো এই নাটকটি ও আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।তবে ইয়াশ রোহানের অভিনয় ও আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।বিশেষ করে ইয়াশ রোহানের সাথে তটিনী থাকলে দুজনের অনেক সুন্দর মানায়।তাদের জুটি বলতে গেলে অসাধারণ।তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।

নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

নাটকের নাম	হৃদয় রেখেছি গোপনে
অভিনয়	ইয়াশ নোমান,তটিনী,আরো অনেকে
পরিচালক	মাহমুদ মাহিন
মুক্তির তারিখ	০২ই এপ্রিল
দেশ	বাংলাদেশ
ভাষা	বাংলা
দৈর্ঘ	৫৫:০৭

সংক্ষিপে কাহিনি

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

নাটকের শুরুতেই নায়কের চাচা ও চাচী বাইরের দেশে থাকতো।তো তারা হঠাৎ করেই তাদের বাসায় চলে আসে।মানে তার চাচারা।যাই হোক যখন আসলো তাদেরকে দেখে সবাই খুশি হলো।যখন তারা আসছে ওই সময় নায়ক ছিলো এবং তাকে বলল যে তুমি কি ড্রেস পরছো এগুলো? যাইহোক ওখানে কথা বলার পরে তারা বাসায় আসলো।এবং আসতে না আসতেই তার চাচাতো বোনের বিয়ে ঠিক করে।কিন্তু এই দিকে নায়ক তারা চাচাতো বোনকে ভালোবাসতো।যখনই শুনে তার বিয়ে ঠিক করতেছে তখনই সে রেগে গেলো।এবং পরের দিন তার চাচাকে বলে যে আমি তার বিয়ের জন্য সুন্দর একটি ছেলে ব্যবস্থা করবো।কিন্তু তার কথা তার চাচা শুনলো না।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

এইভাবে বেশ কয়েকদিন যাওয়ার পরে।নায়ক তার চাচাতো বোনের সাথে দেখা করতো।কিন্তু ছোটবেলায় যেমন তারা ছিল বড় হয়ে তাদের সম্পর্কটা তেমন ছিল না।কারণ নায়ক কে দেখে তার চাচাতো বোন অনেক লজ্জা করত এবং মাথা নিচু করে থাকতো।তো নায়ক এসে তার চাচাতো বোনকে বলে যে আমরা ছোটবেলায় একটি খেলা খেলছিলাম ওই খেলাটি আজকে আবার খেলবো।তারপর তারা সুন্দর করে খেলাটি শুরু করলো।এভাবে নায়ক তার কাছে যেতে যেতেই তার প্রতি সে আসক্ত হতে লাগলো।কিন্তু নায়ক তাকে আগে থেকেই অনেক ভালোবাসতো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

এখন এই দিকে তার চাচা তার মেয়ের জন্য বিয়ে ঠিক করে।এমনকি কিছুদিন পরেই তার মেয়ের এনগেজমেন্ট করায়।তবে এইদিকে নায়ক তার এই দৃশ্যটি দেখার পরে সে মনে মনে অনেক জ্বলতো।যাইহোক এনগেজমেন্ট হওয়ার পরে তারা বিয়ের জন্য শপিং করতে গেলো।যখনই নায়িকার হাতে কেউ হাত দিতেছে এই দৃশ্যটি সে সহ্য করতে পারতো না।এখন নায়িকা যে কাপড়টি চয়েস করতেছে সে কাপড় চয়েজ করার জন্য সে নায়ক কে বলতেছিলো।কারণ তারা চয়েজে সে চয়েস করবে।যাই হোক শপিং করার পরে তারা রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করলো।বাসায় এসে নায়িকা কে বলে যে তুমি আমাকে কি রকম করে দেখো?তখন সে উত্তরে বলে যে তুমি আমার ভাইয়া।এটা শুনে সে অনেক রাগ করলো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তো ঠিক যখন তার বিয়ের আয়োজন শুরু করলো।সেই সময় কিন্তু নায়ক তার পাশে ছিল না।কারণ তার বিয়ে সে মেনে নিতে পারতেছে না।তখন বিয়ে বাড়ি থেকে সে চলে যায়।তো রাত যাওয়ার পরে ভোর হওয়ার আগে তাকে নায়িকা কল করে।কল দিয়ে বলে যে তুমি আমাদের বাসার সামনে আসো।তার কথা অনুযায়ী নায়ক সেই জায়গায় চলে গেলো।গিয়ে দেখে নায়িকা আসলো।তখন বলে যে চলো আমরা বিয়ে করি।কিন্তু নায়ক জানে যে তার বিয়ে হয়ে গেছে।পরে তাকে সবকিছু খুলে বলে।তারপর তারা বিয়ে করে বাসায় চলে যায়। নাটকটি এখানেই শেষ হয়।

---

---

ব্যাক্তিগত মতামত

নাটকটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।মাঝে মাঝে ইয়াশ রোহান ও তটিনীর নাটক গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে।এই নাটকটি অসাধারণ ছিল এবং দেখে খুব ভালো লাগছিল আমার।আপনারা যারা নাটকটি দেখছেন তারা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।আশা করছি যারা দেখেননি দেখে নিবেন খুব ভালো লাগবে।যাইহোক আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।

---

---

নাটকের লিংক ও রেটিং:-১০/৯