||গল্প:-ভালোবাসার রং||

আসসালামু আলাইকুম:-আদাব

"গল্প:-ভালোবাসার রং" "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

Source

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।

প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে গল্প:-ভালোবাসার রং আমি সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন কিছু পোস্ট শেয়ার করার। আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করতে পারলে নিজেকে অনেক ভালো লাগে।তো আমি প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে একটি করে গল্প পোস্ট শেয়ার করার।আসলে এমন অনেক গল্প রয়েছে যে গল্প গুলো পড়তে এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে ভীষণ ভালো লাগে।বিশেষ করে রোমান্টিক এবং ভৌতিক গল্প গুলো পড়তে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।তো ভাবলাম আজকে আপনাদের মাঝে একটি প্রেমের গল্প শেয়ার করি।তো হুট করেই সেই কথা গুলো আমার মনে পড়লো।আশা করছি গল্পটি পড়ে আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।

রাতের আকাশে হাজারো তারা জ্বলজ্বল করছিল।চাঁদের আলো ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে। একটা হালকা বাতাস বয়ে যাচ্ছিল,সাথে ছিলো মিষ্টি একটা অনুভূতি।সেই অনুভূতির নাম হচ্ছে ভালোবাসা।গল্পের শুরুটা ছিলো একেবারেই সাধারণ। দুইজনের পরিচয় হয়েছিলো একটা বইয়ের দোকানে। মেয়েটি একটা উপন্যাস খুঁজছিল, আর ছেলেটি একই বই হাতে দাঁড়িয়ে ছিলো। দুজনের হাত একসাথে বইটার দিকে এগিয়ে যায়, মুহূর্তেই চোখে চোখ পড়ে। দুইজনেই হেসে ফেলে, আর সেই হাসিই ছিলো নতুন এক গল্পের সূচনা।

এরপর থেকে গল্প জমতে শুরু করে। প্রথমে বই নিয়ে আলোচনা, তারপর সিনেমা, তারপর গান যেন প্রতিদিন নতুন কিছু ভাগাভাগি করার অজুহাত খুঁজে পেতো তারা। ধীরে ধীরে সম্পর্কটা বন্ধুত্ব থেকে আরও গভীরে চলে যায়।মেয়েটি ছিলো ভীষণ হাসিখুশি, সবকিছুতেই রঙ খুঁজে নিতো। আর ছেলেটি ছিলো নীরব, নিজের ভেতরের কথা খুব একটা প্রকাশ করতে পারতো না। তবুও, মেয়েটির কাছে আসার পর সে বদলে যেতে লাগলো। একদিন চুপ করে বলেই ফেলল, তুমি জানো,তোমার সঙ্গে থাকলে মনে হয় পৃথিবীটা একটু সুন্দর হয়ে যায়।

মেয়েটি কিছুক্ষণ নীরব রইলো, তারপর সুন্দর করে হেসে বললো,তাহলে হয়তো তুমি আমার চোখ দিয়েই পৃথিবীকে দেখতে শিখছো।সেই মুহূর্ত থেকে দুইজনের মাঝে এক অদৃশ্য বন্ধন তৈরি হয়ে গেলো।একসাথে হেঁটে যাওয়া,বৃষ্টির দিনে ছাতার নিচে গল্প করা, কিংবা কফির কাপে ঠোঁট ছোঁয়ানো,প্রতিটি মুহূর্তে ভালোবাসা নতুন রং নিয়ে আসছিলো।তবে ভালোবাসার পথ কখনোই একেবারে এক জায়গায় থাকে না। একদিন ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হলো। ছেলেটি ব্যস্ততার কারণে মেয়েটির মেসেজের উত্তর দিতে পারেনি। মেয়েটি ভেবেছিলো, হয়তো সে আর আগের মতো গুরুত্ব দিচ্ছে না। অভিমান জমে গেল।

কিছুদিন কথা বলা বন্ধ ছিলো। ছেলেটির দিন কাটতো শূন্যতায়,আর মেয়েটির চোখ ভিজে থাকত অকারণে। শেষে ছেলেটি সাহস করে মেয়েটির সামনে দাঁড়িয়ে বললো,আমাকে যদি একদিনের জন্যও হারাও, আমি হয়তো বেঁচে থাকতে পারবো, কিন্তু সারাজীবনের জন্য যদি হারাও, আমি কখনো নিজেকে খুঁজে পাবো না।চোখের পানি ঝরতে লাগলো মেয়েটির।সে ধীরে ধীরে হাত বাড়িয়ে বললো,তাহলে আর দূরে যেও না, আমি তো শুধু তোমার সাথেই থাকতে চাই।

সেদিন থেকে দুইজনের প্রতিজ্ঞা যত ঝড় ঝাপটা আসুক,তারা একে অপরের হাত ছেড়ে দেবে না।সময় বয়ে যাচ্ছে, ঋতু বদলাচ্ছে, কিন্তু তাদের ভালোবাসার রং কখনো বদলায় না। একে অপরের চোখে তারা আজও খুঁজে পায় আশ্রয়, খুঁজে পায় শান্তি।ভালোবাসা আসলে ঠিক এইভাবেই হয়। হঠাৎ এক দেখা থেকে শুরু হয়ে যায় এক জীবনের গল্প। হয়তো কোনোদিন নাম লেখা থাকবে না ইতিহাসের পাতায়, তবুও তাদের হৃদয়ের ক্যালেন্ডারে প্রতিদিনই থাকবে ভালোবাসার দিন।এইরকম প্রেমের কাহিনী আমাদের অনেকের জীবনের মধ্যে ঘটেছে।ভালোবাসা এমনই, দেখা হুট করে কথা বলা,হুট করে দেখা,তারপর থেকে সে এত আপন হয়ে যায় যে,মনে হয় পৃথিবীর সব মানুষের থেকে এই মানুষ টি বেশি আপন।যাইহোক আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।

---

---

---

ছবি সংক্রান্ত তথ্যাবলিঃ

ডিভাইস	Tecno camon 20
ফটোগ্রাফার	@polash123
লোকেশন	দিনাজপুর

---

🌸আমার পরিচয়🌸

আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন।

You can also vote for @bangla.witness witnesses

Vote for @bangla.witness