||ভৌতিক গল্প:-অন্ধকারে একা||
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে গল্প:-অন্ধকারে একা আমি সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন কিছু পোস্ট শেয়ার করার। আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করতে পারলে নিজেকে অনেক ভালো লাগে।তো আমি প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে একটি করে গল্প পোস্ট শেয়ার করার।আসলে এমন অনেক গল্প রয়েছে যে গল্প গুলো পড়তে এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে ভীষণ ভালো লাগে।বিশেষ করে রোমান্টিক এবং ভৌতিক গল্প গুলো পড়তে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।তো ভাবলাম আজকে আপনাদের মাঝে একটি ভৌতিক গল্প শেয়ার করি।আশা করছি গল্পটি পড়ে আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
রাত তখন প্রায় দুইটা। পুরো গ্রামটা ঘুমিয়ে গেছে। বাতাসে এক অদ্ভুত নীরবতা। ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দও যেন থেমে গেছে। হঠাৎ দূরে একটা কুকুর ডেকে উঠলো, তারপর আবার নিস্তব্ধতা।এক ছেলের নাম ছিলো আরিফ।আরিফ হাঁটছিলো গ্রামের শেষ মাথায় একটা পুরনো বাড়ির দিকে। কেউ ওই পথে যায় না, কারণ মানুষ বলে ওই বাড়িটায় নাকি কিছু একটা আছে। কিন্তু আরিফ এসব বিশ্বাস করতো না। ওর মোটরসাইকেলটা বিকেলে ওই বাড়ির পাশেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তাই এখন গিয়ে সেটা আনতেই ওর এই একা যাত্রা।চাঁদ মেঘের আড়ালে, হাতে টর্চলাইট। রাস্তার দুই পাশে ঝোপঝাড়, মাঝে মাঝে ব্যাঙের ডাক, তবু ভয় পাওয়ার কিছু নেই এই ভেবে নিজেকে শক্ত করলো আরিফ।
বাড়িটার কাছে পৌঁছাতেই ঠান্ডা হাওয়া বয়ে গেলো। মনে হলো হাওয়া না, বরং কেউ ফিসফিস করে গেল পাশ দিয়ে।আরিফ টর্চ জ্বালালো। আলোটা পড়লো বাড়ির দরজায়। দরজাটা আধাখোলা, যেন কেউ সদ্য ঢুকে গেছে।ওর গলা শুকিয়ে গেলো, তবু সাহস করে ভেতরে ঢুকে পড়লো।ঘরে পা দিতেই কাঠের মেঝে কঁকিয়ে উঠলো। দেয়ালে পুরনো কিছু ছবি ঝুলছে,কিন্তু একটার মুখে আঁচড়ের দাগ, চোখগুলো মুছে দেওয়া। মনে হলো কেউ ইচ্ছা করে মুছে দিয়েছে।আরিফের মনে প্রশ্ন জাগলো কে এমনটা করেছিলো?
হঠাৎ ঘরের ভেতর থেকে একটা শব্দ এলো। যেন কারো পায়ের আওয়াজ, ধীরে ধীরে মেঝে ঘষে হাঁটছে।আরিফ টর্চ ঘুরিয়ে ধরতেই দেখলো।কেউ নেই। কিন্তু ছায়া পড়েছে মেঝেতে, তার নিজের ছায়া নয়।ডাক শুরু করলো,কে আছো? গলা শুকনো কণ্ঠে বললো আরিফ।কোনো উত্তর নেই। কেবল ঘড়ির টিকটিক শব্দ, যা ধীরে ধীরে জোরে বাজতে শুরু করলো।টিক টিক টিক তারপর থেমে গেল।ঠিক তখনই পেছন থেকে একটা ঠান্ডা নিশ্বাস লাগলো ওর ঘাড়ে।আরিফ সঙ্গে সঙ্গে ঘাড় ঘুরে দাঁড়ালো কিন্তু কেউ নেই।
কিন্তু টর্চের আলো যখন আবার মেঝেতে পড়লো, দেখা গেল ওর নিজের পায়ের ছায়ার পাশে আরেকটা পায়ের ছায়া।ওর হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল। টর্চ কাঁপছে হাতে। সে পেছাতে লাগলো ধীরে ধীরে, কিন্তু দরজার কাছে এসে দেখলো দরজাটা বন্ধ।ওর মনে পড়লো, দরজা তো আধাখোলা ছিল। কে বন্ধ করলো এটা এখনই বের হতে হবে,নিজেকে বললো আরিফ।ও দরজার কপাটে হাত রাখতেই ঠান্ডা ধাতুর মতো একটা হাত ওর হাতের ওপর চাপা পড়লো।এক মুহূর্তের মধ্যে ওর বুকের ভেতর ঠান্ডা ঢেউ ছড়িয়ে গেল। চোখ তুলে দেখলো একটা মুখ।ধবধবে সাদা, চোখ দুটো ফাঁকা, আর ঠোঁট নীলচে। মুখটা হাসছে।
আরিফ চিৎকার করে দরজায় ধাক্কা দিলো, কিন্তু কোনো শব্দ বের হলো না। যেন গলা বন্ধ হয়ে গেছে।হঠাৎ আলো নিভে গেল। সবকিছু অন্ধকার।শুধু শোনা গেল এক ফিসফিস,তুই দেরি করেছিস।সকালে গ্রামের মানুষ দেখলো, পুরনো বাড়ির দরজা খোলা। ভেতরে আরিফের মোটরসাইকেলটা আছে, পাশে ওর টর্চলাইট।কিন্তু আরিফ নেই।তিন দিন পর কাছের পুকুরে একটা দেহ ভেসে উঠলো। মুখটা বিকৃত, চোখ খোলা, ঠোঁটে অদ্ভুত হাসি।যারা দেখেছে, তারা বলে ওর ঠোঁটে এখনো সেই শব্দটা শোনা যায়,তুই দেরি করেছিস।গল্প টি এখানেই শেষ হয়ে যায়। তো আপনাদের কাছে গল্প টি কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন। |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
![]() |
---|