হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ৪ জুলাই , শুক্রবার , ২০২৫ খ্রিঃ।

কভার ফটো

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।

---

---

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। ক্রিয়েটিভিটির সাথে সাথে নিজেদের মধ্যে কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে অনেক পছন্দ করি। অনেকদিন পর মেসের আপুদের সাথে ঘোরাঘুরি করতে গিয়েছিলাম। পাঁচজন মিলে চমৎকার একটি সময় উপভোগ করেছিলাম। শান্ত ময় এবং সুন্দরের সজ্জিত প্রকৃতির সাথে সবাই মিলে এরকম আড্ডা বারবার ফিরে আসুক। চলুন তাহলে ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত শেয়ার করে নেওয়া যাক।

---

---

সবাই মিলে কোথাও ঘুরতে যাওয়া মানেই হলো মজা। অনেকদিন ধরে ইচ্ছে ছিল সবাই মিলে একসাথে ঘুরতে যাব। কিন্তু সেরকম সময় এবং সুযোগের অপেক্ষায় যাওয়া হচ্ছিল না। আজকে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হঠাৎ করে আমার এক বড় আপু জানালো তারা দিঘির পাড়ে যাবে আমি যাব কিনা? আমি বললাম আপনারা গেলে আমি যাব। আমার আবার সবার সাথে মিলেমিশে কোথাও ঘুরতে যেতে বেশি পছন্দ হয়। যেমন কথা তেমন কাজ। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বিকেল বেলায় বের হব। চারজন বড় আপু এবং আমি ঠিক বিকেল পাঁচটা নাগাদ রেডি হয়ে বের হয়ে পড়লাম দিঘির পাড়ের উদ্দেশ্যে।

হ্যাঁ দিঘির পাড়। জায়গাটার সাথে আপনারা যারা আমার পোস্ট প্রতিনিয়ত করেন তারা নিশ্চয়ই পরিচিত। কারণ এই জায়গাটিতে আমি তিন থেকে চারবার গিয়েছি। এবং প্রত্যেকবার আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছি। জায়গাটা এতই শান্তির যে বারবার প্রকৃতি আমাকে সেখানেই টেনে নিয়ে যায়। শুধু আমি না আমার মনে হয় যারা প্রকৃতি ভালোবাসে তারা প্রত্যেকে এই জায়গায় একবার আসলে দ্বিতীয়বার আসতে বাধ্য। যেদিন আকাশ সুন্দর লাগে কিংবা আবহাওয়া ভালো থাকে সেদিন জায়গাটা বেশি ভালো লাগে। আজকে অবশ্য মেঘলা ছিল চায়ের সাথে আড্ডা দেওয়ার মতো। তাই গিয়েছিলাম সেখানে।

সেখানকারটা আমার খুব একটা পছন্দ নয় তবে জায়গাটা আমার পছন্দের তালিকায় প্রথমে। আমার মত মেসের আপুরাও ওই জায়গাটা পছন্দ করেন। আমরা একটি অটো নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে প্রথমে আমরা চা অর্ডার করলাম। যেহেতু বৃষ্টিতে চা ভালো লাগে। প্রথমেই গিয়ে দোলনাতে একটু সময় কাটালাম। তারপর বসলাম নিচে। নিজে সুন্দর চড়াট সিস্টেম করা আছে তার উপরে আবার চেয়ার দেওয়া। প্রথমে কিছুক্ষণ চেয়ারের উপর বসে প্রকৃত উপভোগ করলাম, সবাই মিলে গল্প আড্ডা দিলাম এবং চা খেলাম। আমি তো আবার ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। তাই ফটোগ্রাফিও করে নিলাম।

আস্তে আস্তে হাওয়া দিতে থাকলো। দিঘির জল হওয়ার তালে তালে দুলতে থাকলো। আকাশ জুড়ে কালো মেঘ আস্তে আস্তে ঘনিয়ে আসছিল। সে যেন প্রকৃতির অন্যতম শান্তিময় দৃশ্য। চড়াটের উপর বসে পা দুলিয়ে দিলাম। এভাবে বসে থাকতে যেন মনটা ভীষণ শান্ত হয়ে গেল।এভাবে ভীষণভাবে উপভোগ করলাম প্রকৃতিকে। প্রথমে ব্যাপারটি একটি বড় আপুর শুরু করল পরে আমিও জয়েন হলাম। আপুটা ভীষণই মজার। বড় আপুর কথা শুনে আমি যে আজ কত হেসেছি সেটা আর বলে বোঝাতে পারবো না। সবাই মিলে দিব্যি প্রকৃতি উপভোগ করছিলাম। এরই মধ্যে হঠাৎ করে চলে এলো বৃষ্টি। সবাই তাড়াতাড়ি করে দৌড়ে উপরে উঠে আসলাম।। উপরে উঠে ছাউনির নিচে কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকলাম।

গিয়েছিলাম চা খেতে এবং প্রকৃতির সৌন্দর্যের কাছে একটু শান্তি চাইতে। শান্তি নেওয়া শেষে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আসার সময় সবাই মিলে একটি অটো ঠিক করে দিব্যি চলে এলাম নিজেদের গন্তব্য স্থানে। আজকের দিনটা পুরোটাই মজায় ভরপুর ছিল। আরো কিছু মজা আছে সেগুলো পরে শেয়ার করে নেব। তবে আমি চাই এরকম দিন আমার জীবনে বারবার ফিরে আসো। সবার সাথে মিলেমিশে মজাই আড্ডাই মেতে থাকতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক, আজ এই পর্যন্তই।

---

---

ছবির বিবরণ

ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৫ই জুলাই২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া

---

---

প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।

---

---

আমি কে !

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।

---

---

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14

---

---

VOTE@bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

💞 সৃষ্টিকর্তা সহায় 💞