বৃষ্টিস্নাত সুন্দর একটি দিনে হরিপুর ব্রিজে কিছু মুহূর্ত।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১২ ই জুন,বৃহস্পতিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আজকে হাজির হয়েছে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।ঘোরাঘুরি করতে তো সবারই ভালো লাগে। আমি নিজেও ঘোরাঘুরি করতে অনেক পছন্দ করি। বৃষ্টির দিনে ঘোরাঘুরি টা যেন একটু বেশি জমে। কিছুদিন আগেই এক বৃষ্টি দিনে ঘুরতে গিয়েছিলাম হরিপুর ব্রিজের। সেখানে কাটানো মুহূর্ত আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
কুষ্টিয়ার মধ্যে যাদের বাড়ি তারা হরিপুর ব্রিজে যায়নি এমনটা হতে পারে না। আর যারা বাইরে থেকে কুষ্টিয়ায় ঘুরতে আসে তারাও হরিপুর ব্রিজে গিয়েছে। হরিপুর ব্রিজ হল কুষ্টিয়া জেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া গড়াই নদীর উপরে ব্রিজ। কুষ্টিয়ার মধ্যে হরিপুর ব্রিজ সুন্দরতম একটি জায়গা। এখানে কমবেশি সবাই ঘুরতে আসে। এই জায়গাটিতে যে আমি কতবার গিয়েছি তার কোন হিসাব নেই। কিছু কিছু জায়গা থাকে যেগুলো কখনোই পুরাতন হয় না। তার মধ্যে হরিপুর ব্রিজ একটি।আপনি এখানে যতবারই আসেন না কেন মনে হবে না, পুরাতন। এই ব্রিজের নিচে অদ্ভুত শান্তি অনুভব করা যায়।
হরিপুর ব্রিজ আমার প্রিয় একটি জায়গা হলেও অনেকদিন পরে এখানে যাওয়া হলো। তারপরেও প্রিয় জায়গাটিতে যাওয়া হয়নি। আমরা গিয়েছিলাম নদীর ওই ধারে। নদীর এ ধারে অনেকবার আসা হয়েছে। জায়গাটা খুব ভালো লাগে।বিশেষ করে বিকেল বেলায় যখন সূর্য অস্ত যায় সে দৃশ্যটা এই ব্রিজের নিচে নদীর ধারে বসে উপভোগ করার আনন্দটাই আলাদা । যারা প্রকৃতি প্রেমি তারা দৃশ্য দেখে সর্বদাই মুগ্ধ হবে।
সেদিন সারাদিনই প্রায় টুপটাপ বৃষ্টি হচ্ছিল। এই প্রচন্ড গরমের মধ্যে যদি একটু বৃষ্টির স্বস্তি পাওয়া যায় তাহলে সে যেন পরম পাওয়া। আমারও তেমনি একটু ঠান্ডা পড়লে কিংবা বৃষ্টি হলে খুব ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করে। তাই সেদিন একটু ঘুরতে যাব বলে ঠিক করলাম। নির্দিষ্ট কোথাও যাওয়ার ধারণা নিয়ে রুম থেকে বের হয়েছিলাম না। আমি যাওয়ার সময় আমার এক বন্ধুকে ডেকে নিলাম। দুজন মিলে ওই মেঘের মধ্যেই বিকেল চারটা নাগাদ ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম। রিক্সা করে আসার সময় হরিপুর ব্রিজে উঠতেই অসম্ভব শান্তি অনুভব করলাম। তখনই জোরে হাওয়া দিল। এত হাওয়া দিচ্ছিল যে রিকশাচালক মামা রিকশা চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। তারপরে ওভাবে আস্তে আস্তে আমরা ব্রিজ পার হলাম। ভেবেছিলাম ব্রিজের নিচে এসে এক কাপ খাব।
কিন্তু চা খাওয়া আর হলো না। তখনই নামলো ঝুম বৃষ্টি। আমরা তাড়াহুড়া করে রিকশা থেকে নেমে ব্রিজের নিচে থাকা একটি রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম। এই রেস্টুরেন্টে এর আগেও আসা হয়েছে। জায়গাটা অনেক সুন্দর। এই রেস্টুরেন্টের ছাদে বসে একসঙ্গে সুন্দর আকাশ, নদী, ব্রিজের সৌন্দর্য এবং মজাদার খাবার উপভোগ করা যায়। রেস্টুরেন্টের নাম নদীয়া রেস্টুরেন্ট। আমরা সেখানে গিয়ে কিছু খাবার অর্ডার করলাম। তারপর এই বৃষ্টি উপভোগ করছিলাম আর খাওয়া দাওয়া করছিলাম। তারপর চলে গেলাম রেস্টুরেন্টের ছাদে। সেখানে গিয়ে উপভোগ করলাম বৃষ্টি। ততক্ষণে অবশ্য বৃষ্টি অনেকটাই থেমে গিয়েছিল। টুপটাপ বৃষ্টি পড়ছিল। একদমই হালকাভাবে।
ছাদে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চারিপাশের সৌন্দর্য দেখছিলাম। কতটা যে ভালো লাগছিল বলে বোঝাতে পারবো না। দেখতে দেখতে সন্ধ্যে হয়ে আসলো। সন্ধ্যার পরে যখন ব্রীজের উপরে লাইটগুলো জ্বলতে থাকে তখন ব্রিজের সৌন্দর্য দ্বিগুণ হয়ে যায়। এ সময় বেশ দেখতে বেশি সুন্দর লাগে। আর ব্রিজের আশেপাশের সৌন্দর্য ও নজর কাড়ে। তারপর প্রাণ ভরে প্রকৃতির স্নিগ্ধতায় নিঃশ্বাস নেওয়ার পরে সেখান থেকে রুমে আসার প্রস্তুতি নিলাম। ততক্ষণে আর বৃষ্টি ছিল না। বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশ। তারপর আমরা সেখান থেকে একটি রিক্সা নিয়ে চলে আসলাম। ব্রিজের উপর দিয়ে আসতে তখন খুব ভালো লাগছিল। চারিপাশটা খুবই স্নিগ্ধ লাগছিল। বৃষ্টির পর প্রকৃতি যেন আরো সতেজ হয়ে যায়। এই সতেজ হওয়া শরীরকে ছুঁয়ে গেলে এর থেকে শান্তি আর কিছুই নেই।
আজ এই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৭শে মে২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


https://x.com/PurnimaBis34652/status/1933810378510839923?t=ixlYrP3p37SdlLRG84v1Iw&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1933810997636300856?t=3ZTUMNtb-gprs0BC01kWSQ&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1933811519579680844?t=jU7GFkKDshTeeuyI62Mlgg&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1933811914917982653?t=DB5eOSoCyPTicelFeUbCFQ&s=19