প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কিছু ফটোগ্রাফি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১৩ ই জুন, শুক্রবার , ২০২৫খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আজকে হাজির হয়েছিল নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ফটোগ্রাফি করতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। ফুল এবং প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি করতে বেশি ভালো লাগে। আজকেও কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছি ফটোগ্রাফি গুলা আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেওয়া যাক।
ফটোগ্রাফি নং-১
আমার প্রথম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে সবুজ প্রকৃতি এবং সূর্যের ফটোগ্রাফি। এ ফটোগ্রাফিতে যে সবুজ গাছ গুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো হলো পাটগাছ। সেদিন মাঠের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ায় অনুভূতি নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলাম। সেদিনই ফটোগ্রাফিগুলো করেছি। এখন মাঠের মধ্যে পাটগাছগুলো অনেকটাই বড় হয়ে গেছে। সূর্য যেন পাট খেতে মিশে যায়। এখন সূর্যাস্তে যাওয়ার দৃশ্য দেখলে এমনটাই মনে হয়। ফটোগ্রাফিটি দেখে মনে হচ্ছে পাট ক্ষেতের উপর সূর্য রয়েছে। এরকম দেশগুলো বাস্তবে দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। মাঠের পর মাঠ এখন শুধু পাট ক্ষেতের দেখা মেলে। সেদিন সূর্যটা বেশ চমৎকার দেখাচ্ছিল। বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এটি তার মধ্যে একটি।
ফটোগ্রাফি নং-২
আমার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি তে রয়েছে সাদাই সাদা অর্থাৎ সাদা মেঘের ভেলার সাথে তিল ফুলের চমৎকার কম্বিনেশন। এ ফটোগ্রাফিটি করার মূল উদ্দেশ্য ছিল তিল ফুলের ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করা। পরে ব্যাকগ্রাউন্ডে খেয়াল করে দেখি সাদা মেঘের ভেলা দেখা যাচ্ছে। তারপর দুটি দৃশ্য এক ফ্রেমে বন্দী করি। তিলফুল এখন মাঠে নেই বললেই চলে। হাতেগোনা দুই একটা দেখতে পাওয়া যায়। তেমনি সেদিন হাঁটতে হাঁটতে এই একটাই আমার চোখে পড়েছিল। নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলা চমৎকার লাগছিল দেখতে। ছবিটি দেখে মনে হচ্ছিল একদম ছবির মত সুন্দর। দুটি দৃশ্য এক ফ্রেমে দেখতে আমার তো ভীষণ ভালো লেগেছে।
ফটোগ্রাফি নং-৩
আমার এই ফটোগ্রাফি তে রয়েছে একটি কলার ছড়ার ফটোগ্রাফি। আমি তো এটাকে কলার ছড়া বলি তবে গ্রামে এগুলাকে কলার কাঁদি বলা হয়। মাঠের মধ্যে যাওয়ার সময় ছোট্ট একটি কলাবাগান রয়েছে। সেই কলা বাগান পাড়ি দিয়ে মাঠের মধ্যে যেতে হয়। যেতে যেতে আমার চোখে পড়ে এই সুন্দর এক ছড়া কলার। তাই ফটোগ্রাফি করে রাখলাম। কলাটি দেখে মনে হচ্ছে সবরী কলা । এই কলা পাকার পরে খেতে ভীষণ ভালো লাগে।আমার মনে হয় আমরা সকলেই এই কলা খেয়েছি। কলার কাঁদির বেশ খানিকটা অংশ পাতা দিয়ে ঢাকা থাকায় সম্পন্ন অংশ আমি ফোন ক্যামেরায় বন্দি করতে পারেনি। তবে যতটুকু এসেছে বেশ ভালই লাগছিল দেখতে।
ফটোগ্রাফি নং-৪
আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে এক ধরনের বন্যফুল। এই ফুলগুলো অযত্নে যেখানে সেখানে বেড়ে ওঠে। এই ফুলগুলোর নাম আমার জানা নেই। তবে ছোটবেলায় খেলনা পাতি খেলার সময় এই ফুলগুলো খুবই কাজের ছিল। আমরা এগুলোকে কখনো হলুদ আবার কখনো বা জিরা হিসেবে ব্যবহার করতাম। মূলত হাঁটতে হাঁটতে পথের ধারে এই এর ফুলের দেখা পাই। ফুলগুলো দেখতে শৈশবের কথা মনে পড়ছিল। ফুলগুলো সে সময় আমাদের কাছে কতটাই না গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিছু কিছু অযত্নে বেড়ে উঠালে ফুলের সৌন্দর্য দেখে আমরা অবাক হয়ে। একসাথে অনেকগুলো এই ফুল দেখতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে।
ফটোগ্রাফি নং-৫
আর এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে কলার মোচার ফটোগ্রাফি। এই কলার মোচা রান্না করে খেতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। কলার মোচা আবার বিভিন্নভাবে রান্না করা যায়। এক এক ভাবে রান্না করলে এক এক রকমের স্বাদ হয়। এটা কি কলার মোচা আমার আবার জানা নেই। তবে সব কলার মোচা কিন্তু খাওয়া যায় না। যেতে যেতে পথের ধারে এই কলার মোচাটি দেখতে পেয়ে ক্যামেরাবন্দি করেছিলাম। কলার মোচা আমার ভীষণ পছন্দের একটি খাবার। তবে এই মোচা রান্না করার জন্য বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। সেজন্য খুব একটা খাওয়া হয় না। তবে রান্না করলে ভীষণ ভালো লাগে। এই মোচা থেকে আবার কলা হয়ে থাকে।
ফটোগ্রাফি নং-৬
আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে সূর্য অস্তে যাওয়ার একটি দৃশ্য। প্রকৃতির শেষে ওই দূরে সূর্য মিছে যাচ্ছে। সূর্য যখন পড়বো আকাশ হতে আস্তে আস্তে পশ্চিমে নেমে যায় তখন যেন দেখতে অপূর্ব সুন্দর লাগে। পশ্চিম আকাশের চারিদিকে গোধূলি বর্ণ দেখা যায়। আর প্রকৃতির শেষে টুপ করে ডুব দেয় সূর্য। চারি পাশের সবুজ প্রকৃতি গুলোও নিরবয় হয়ে যায়। এটা তেমনি একটি সূর্যাস্তের ফটোগ্রাফি ছিল। মাঠ থেকে আসার সময় দেখলাম এই দৃশ্যটা। তাই ফোন ক্যামেরায় বন্দি করে রেখেছিলাম। সূর্যাস্তে যাওয়ার দৃশ্য সব সময় অনেক ভালো লাগে।
ফটোগ্রাফি নং-৭
আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে ঝিঙে ফুলের ফটোগ্রাফি। ছোটবেলায় আমরা তো সকলেই পড়েছি ঝিঙে ফুল কবিতাটি। কেন জানিনা ঝিঙে ফুলে ফটোগ্রাফি করতে গেলেই আমার সেই কবিতার কথা মনে পড়ে। এটা আমাদের মাঠ থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। আমাদের খেতে অনেক ঝিঙে এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি গাছ রয়েছে। হলুদ রঙের ঝিঙে ফুল গুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগে। শুধু ঝিঙে ফুল নয় মাঠে অনেক ধরনের সবজির ফুল রয়েছে। যেগুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছিল। আজ আপনাদের সাথে ঝিঙে ফুলে ফটোগ্রাফিটি ক্যাপচার করলাম। পরবর্তীতে বাকি ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করব।
আজ এই পর্যন্তই।
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ:৫ ই জুন ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


https://x.com/PurnimaBis34652/status/1933813796872880604?t=HLaSZuXly7jJgD48mAl-TA&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1933814159436906858?t=fIIY9Zdd_66Ax86W0MFU_A&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1933814510214848562?t=q7Fhkt82tZ7ZRC30aDk7AA&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1933814852507845037?t=JPVJrPhqMM3O0fB5Psj3qQ&s=19
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপু। ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে ঝিঙে ফুলের ফটোগ্রাফিটি। এছাড়াও বাকি ফটোগ্ৰাফি গুলো বেশ দারুন হয়েছে আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি সবসময় অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে থাকেন। আমার কাছে আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে সব সময় খুব ভালো লাগে। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি দেখে আমি তো মুগ্ধ হয়ে এক নজরে তাকিয়ে ছিলাম। কারণ প্রতিটা ফটোগ্রাফি ছিল তাকিয়ে থাকার মত। আমার কাছে আপনার এক নাম্বার ফটোগ্রাফি টা সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে দেখতে।
এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনি কিন্তু সব সময় খুব ভালো ফটোগ্রাফি করে থাকেন। ফটোগ্রাফি গুলো করার পর সুন্দর করে বর্ণনা করে শেয়ার করলেন, এটা দেখে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
বাহ বেশ সুন্দর। বিভিন্ন অবজেক্ট এর ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন আপু। দারুণ ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। মোটামুটি সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
সবসময়ই আপনি একেবারে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করে আসছেন। আজকে যেভাবে আপনি এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করে আসছেন সেগুলো দেখে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না৷ আজকে যেভাবে এত চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এর মধ্যে ৭ নাম্বারে আপনি যে সুন্দর ঝিঙে ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন তা আমার অনেক ভালো লেগেছে৷
ওয়াও আপু আপনি অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন।আপনার তোলা প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।ফটোগ্রাফির পাশাপাশি বেশ সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করছেন।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।