ছোটবেলার দুর্গাপুজো।

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ২৮ শে সেপ্টেম্বর,রবিবার ২০২৫ খ্রিঃ

কভার ফটো


1000064920.jpg

Source: Pixabay

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।

আজ আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। এখন দুর্গাপূজার সময়। বাঙালির এক বছরের অপেক্ষায় এই দুর্গাপূজা নিয়ে। কত অপেক্ষার পরে এই দুর্গাপূজা আসেন। আজ লিখবো ছোটবেলার দুর্গাপূজা কতটা আমাদের ছিল। বড় হয়ে সেসব আনন্দ হারানোর পথে। চলুন তাহলে আজকের পোস্ট পড়ে নেওয়া যাক।



আজ মহা ষষ্ঠী। প্রথমেই জানাই সবাইকে মহাষষ্ঠীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দুর্গা পুজো এক আবেগের নাম। এই দুর্গাপুজোকে ঘিরে আনন্দ উল্লাসের কমতি নেই। দুর্গাপুজো হলো আমাদের সবথেকে বড় এবং আনন্দের উৎসব। ছোটবেলায় এই আনন্দ যেন আরও বেশি ছিল। যতই বড় হচ্ছি ততই যেন পুজোর আনন্দ আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছে। মহা ষষ্ঠীতে বাচ্চাদের কত আনন্দ। আর আমাদের যেন কোন পুজো দেখার ইচ্ছা বা তাড়াহুড় কোনটাই আর আগের মত নেই। ছোটবেলায় পূজা শুরু হতো সেই পঞ্চমী থেকে। আর এখন পূজা শুরু হয় অষ্টমী থেকে।

আমার ভীষণ মনে পড়ে সেই ছোটবেলার দুর্গাপূজার কথা। অবশ্য ছোটবেলায় একরকম ছিল এখন অন্যরকম পড়বে। ছোটবেলায় আমাদের বাড়ির সামনে পূজা হতো। যেদিন থেকে ঠাকুর বানানো শুরু হতো সেদিন থেকেই পুজোর আমেজ লেগে যেত মনে। কত আনন্দ হতো তখন। স্কুলে যাওয়ার সময় একবার মন্দিরের সামনে দিয়ে এবং স্কুল থেকে আসার সময় আরেকবার মন্দিরের সামনে দিয়ে আসতাম। দুবেলা মন্দির দর্শন না করলে যেন ভালই লাগত না। আরও সেই এক কথা পুজো আর কদিন বাদে! কত আনন্দে ভরা ছিল সেই দিনগুলো। মনে পড়লেই ভীষণ ভালো লাগে। খুব ইচ্ছে করে সেই ছোটবেলার পুজোর দিনগুলোতে ফিরে চাই।

পূজা শুরু হলে পঞ্চমী থেকে কত যে মজা হত। সারাদিন হই-হুল্লোর লেগেই থাকতো। সারারাত ধরে মন্দিরেই থাকতাম। বাড়িতে আসার কোন ইচ্ছেই হতো না। সকালে যখন ঘুম থেকে উঠতাম তখনও মন্দিরের ঢাকের বাড়ি শুনে ঘুম ভাঙতো আমার। ইস সেই পুজোর দিনগুলো কেন ফিরে আসে না। এখন আর বাড়ির পাশের মন্দিরে পূজা হয় না। সারাদিনেও একবার ঢাকের বাড়ির শব্দ শুনতে পায় না। খুবই খারাপ লাগে ঘরে বসে কাটাতেন। ছোটবেলায় মাঝে মাঝে পুজোর দিনে মামার বাড়ি যেতাম। সেটাও ছিল আরেক রকম আনন্দ। কত কিছু খাওয়া দাওয়া করতাম ঘোরাঘুরি করতাম আরো কত কি। রাত জেগে মন্দিরের বিভিন্ন খেলা ধরে অংশ নিতাম। আমাকে পুরষ্কার নিতে হবে এরকম একটা ভাবনা কাজ করতো মনের মধ্যে। নাচ গান হই-হুল্লোরে মেতে থাকতো সারাদিন সারারাত।

এখন আগের মত মামা রাও নেই, মামার বাড়ি পুজোও নেই, নিজের বাড়ির পূজাও নেই, আর সব থেকে বড় যেটা নেই সেটা হল আগের মত মনের আনন্দ। এখন মনে হয় না প্রতিদিন ঠাকুর দেখতে যায়। ছোটবেলায় ভীষণ মনে হতো।ছোটবেলার পুজোর দিনগুলো যদি ফিরে পেতাম কতইনা ভালো হতো। নতুন জামা কেনার ও ইচ্ছে হয় না এখন। সময়ের সাথে সাথে কতটা বদলে গেছে সেটাই ভাবি। আনন্দগুলোও বদলে গেছে।

পূজা আসলে শৈশবেই সুন্দর ছিলো।



ছবির বিবরণ

ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif