দুই ভাই বোন মিলে নৌকা ভ্রমণ। (প্রথম পর্ব)
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ০৬ আগস্ট,বুধবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।
ক্রিয়েটিভিটির পাশাপাশি দৈনন্দিন আনন্দ , এবং দুঃখের মুহূর্ত গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ভালো লাগে। প্রায় এক মাস ধরে আমার পরীক্ষা চলছে। প্রত্যেকবার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হলে এক মাস ধরেই চলে। অনেকদিন হলো কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না। এর আগে পরীক্ষার মাঝে ছয় দিন মত ছুটি ছিল। তখন আমি আর আমার ভাই মিলে কুষ্টিয়া গড়াই নদীতে নৌকা ভ্রমণে গিয়েছিলাম। সেদিনের মুহূর্তে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
আমার ভাই ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কুষ্টিয়া কোচিং এ ভর্তি হয়েছে। প্রায় এক মাস হচ্ছে সে এখানে এসেছে। সে আমার পিসিমণির বাসায় থাকে। বাসার মধ্যে একা একা সারাদিন থাকে। আমার উচিত ওকে একটু ঘুরতে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু পরীক্ষার কারণে আমি ওকে নিয়ে বের হতেই পারছি না। তাই সেদিন একটু সময় পেয়ে ভাইকে ফোন করে বললাম চল ঘুরতে নিয়ে যায়। আমার ভাই আবার ঘোরাঘুরি করতে খুব একটা পছন্দ করে না। সে যেতে চাইছিল না। আমি জোর করে কোনো মত নিয়ে গেলাম।
আমি আর ভাই দুজন মিলে প্রথমে হরিপুর ব্রিজের যাওয়া সিদ্ধান্ত নিলাম। কুষ্টিয়ার মধ্যে কাছাকাছি কোথাও ঘুরার জায়গা বলতে আমার কাছে হরিপুর ব্রিজ। তবে বেশ অনেকদিন ধরে হরিপুর ব্রিজের নিচে যাওয়া হয় না। সেজন্য সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। পরীক্ষার কারণে অনেক প্রেসারে ছিলাম। সেজন্য আরো নদীর ধারে যেতে চাইলাম। নদীর ধারে গিয়ে কিছু সময় বসে থাকলে মনটা এমনিতেই শান্ত হয়ে যায়।
বিকাল ৪ঃ০০ টা নাগাদ দুই ভাইবোন বেরিয়ে গেলাম নদীর ধারের উদ্দেশ্যে। আমার এখান থেকে আমি একটি অটো নিয়ে গেলাম। তারপর আমার ভাই জেলখানা মোড়ে দাঁড়িয়েছিলো।সেখান থেকে একটা অটো নিয়ে দুই ভাই বোন পৌঁছে গেলাম হরিপুর ব্রিজে।তারপর দুজন পায়ে হেঁটে নিজে নিচে গেলাম। সেখানে সচরাচর সন্ধ্যার পরে মানুষজন বের করে। আমরা গিয়েছিলাম অনেকটাই রোদ ছিল তখন। সে কারণে বেশি মানুষের ভিড় হয়েছিল না।
রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে আমাদেরও ভালো লাগছিল না। তারপর দুই ভাই বোন মিলে এদের সাথে একটু ঘুরলাম। ভাইকে বললাম কিছু খাবে কিনা?সে তো এক কথায় শিখেছে না খাব না। তারপর আর কী,দুজন মিলে বেশ খানিক সময় ধরে হাঁটাহাঁটি করলাম। তারপর এক মাঝি জোরে জোরে ডাকছিল। কেউ নৌকায় যাবে কিনা সেটা বলে। তারপর আমি ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম। সে তো সবকিছুতেই না বলে।
তারপর আমি নিজেই জোর করে বললাম চল ঘুরে আসি। তারপর সে রাজি হল। তারপর দুই ভাই বোন গিয়ে নৌকা উঠে বসলাম। বেশ খানিকটা সময় সেখানে বসে অপেক্ষা করলাম। আমাদের সাথে আরো মানুষ বসে অপেক্ষা করছি। যতক্ষণ না ২০ জন মানুষ হচ্ছে ততক্ষণ নৌকা ছাড়বে না। এক ঘন্টার জন্য যাবে সেক্ষেত্রে তো কিছু মানুষের দরকার আছে। বেশ খানিক সময় ধরে অপেক্ষা করলাম। তারপর কিছু সময় পর মানুষ আস্তে আস্তে আসতে লাগল। তারপর মাঝে নৌকা ছেড়ে দিলো।বাকি অংশ পরবর্তী পর্বে শেয়ার করব।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২০শে জুলাই ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


https://x.com/PurnimaBis34652/status/1953514289190633690?t=NYqUxVNTUjnDBHy5F40t_A&s=19