শৈশবের স্মৃতিতে খেলাধুলা।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১১ ই জুলাই ,শুক্রবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আজকেও হাজির হয়েছে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। শৈশব হলো আমাদের জীবনে কাটানো সব থেকে মধুর স্মৃতি। শৈশবের কথা মনে পড়লেই বারবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। শৈশবের কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত অনেক বেশি মিস করি। তবে সব থেকে বেশি মনে পড়ে সহপাঠীদের সাথে খেলাধুলার কথা। কতটাই না আনন্দ মুখর ছিল সময়টা। অনেকদিন পর মনের কোণে ভীষণভাবে স্মৃতিগুলো ভাসছে। সেটাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
শৈশব আমাদের জীবনের কাটিয়ে আশা এক অনন্য রকম সুন্দর মুহূর্ত। শৈশবের সুন্দর স্মৃতিগুলো আমরা কখনোই ভুলতে পারিনা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কারণে স্মৃতিগুলো মনের কোণে উঁকি দেয়। শতবার চাইলেও আর ফিরে যেতে পারব না সেই সুন্দর শৈশবে। শৈশবের মতো আনন্দ এখন আর পায়না। শৈশব ভীষণ ভাবে মনে পড়ে।
কালকে বাড়ি গিয়েছিলাম। কাল বিকেল বেলা দেখলাম পাড়ার ছেলেপেলে খুব মজা করে খেলাধুলা করছে। সঙ্গে আমার ছোট বোনটাও খেলছে। আমি যায়ে বোনকে বোকা দিলাম। তারপর একটা আন্টি বলল ছোটবেলায় তুমিও এরকম খেলাধুলা করতে। শুনতেই যেন ফিরে গেলাম সেই শৈশবে। আসলে আমরা কত মজা করে খেলাধুলা করতাম। মায়ের হাজারটা বারণ শাসন উপেক্ষা করে ছুটে যেতাম খেলাধুলা করতে। এই খেলাধুলা করার জন্য কতবার যে মায়ের বকুনি খেয়েছি তার হিসাব নেই।। সময় নেই অসময় নেই শুধু খেলা শুধু খেলা। খেলার মধ্যে যে তখন কি পেতাম সেটার এখন বুঝিনা।
সকালবেলা উঠে কোনমতো বই পড়তাম তারপর স্কুল। স্কুল থেকে এসেই দৌড়ে চলে যেতাম খেলার স্থানে। কতই রংবেরঙের খেলা যে খেলতাম তার কোন হিসাব নেই। যেদিন স্কুল ছুটি থাকত সেদিন তো সারাদিন শুধু খেলতাম। বাবা সন্ধ্যায় বই নিয়ে বসিয়ে কত যে বকা দিতেন। পড়া ধরতেন যখন পারতাম না লাঠি দিয়ে মারতেন আর বলতেন আর খেলতে যাবি? কান্না কন্ঠে বাবাকে বলতাম আর যাব না। কিন্তু তারপর দিন সকাল হতেই সে কথা আর মনে থাকতো না। আবার ছুটে যেতাম খেলতে।
কাল বোনকে বকা দেওয়ার পরে মনে হচ্ছিল খেলুক না হয়তো একদিন আমার মতই সময়টাকে মিস করবে। সবাই কত মজা করে বউ চুরি খেলছিল। একটা সময় এই খেলাটা আমরা খেলতাম। কত যে মজা খেলার মধ্যে সেটা এখন শুধু ওরা বুঝতে পারে। আমরা যখন ওদের এই আনন্দ গুলো দেখি আমাদেরও ভীষণভাবে মনে পড়ে কি হারিয়ে এসেছি আমরা। আহা সেই শৈশব আর কখনো ফিরবে না ঘরের দরজায়।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


https://x.com/PurnimaBis34652/status/1944079875444552099?t=ejdjGxfMfBWO7uZ1tOfisQ&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1944080433383452800?t=F13myR7QpETC3-e2iMEtXQ&s=19