ধানের দেশ, প্রাণের বাংলাদেশ।
এখন চলছে গ্রাম বাংলার কর্মব্যাস্থতার মাস। অর্থাৎ বোরো ধান কাটার শেষ সময়। কথিত আছে, ধানের দেশ,গানের দেশ,পাখির দেশ- বাংলাদেশ।
কৃষিই মানব সভ্যতার জাগরণ শুরু করেছে সেই আদি কাল থেকে। কৃষিই হচ্ছে কৃষ্টির মুল।বাঙ্গালীর প্রাচীন উৎসব হচ্ছে ধান কাটার মৌসুম। তাই তো প্রতিটা কৃষকের ঘরে এখন উৎসব মুখর।
বোরো ধান হচ্ছে বাংলাদেশের একটি বাসন্তিক ধান।তবে এ ধান চৈত্র মাস থেকে কাটা শুরু হয় বলে কৃষকেরা একে চৈত্রী বা চৈত্র মাসের ধানও বলে থাকেন। তবে ভারতে একে বৈশাখী ধানও বলা হয়। বোরো মৌসুমের ধান সাধারণত রোপন শুরু হয় অক্টোবর থেকে নভেম্বর( কার্তিক-অঘ্রায়ন)মাস থেকে এবং ধান কাটার সময় চলে চৈত্র থেকে জৈষ্ঠ্যমাস পর্যন্ত ( এপ্রিল থেকে জুন) মাস পর্যন্ত।
এই ধান রোপনের সময় থেকেই সাধারণ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুবই কম হয়।তাই এই ধান সেচের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। বোরো ধানের ফলন বাংলাদেশের অঞ্চলভেদে বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তবে এ বছর অসময়ে কয়েকদিন একটানা বৃষ্টিপাতের ফলে কৃষকের অনেক ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বছর নতুন ধান কাটার পর মহাব্যাস্থ হয়ে পড়েন কৃষক ও কৃষির উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলো। পাড়ায় পাড়ায় মধুমাসে আমের সাথে যেন নতুন ধানের চিড়ার জুটি কৃষক পরিবারের সেই প্রাচীন কাল থেকেই। এই উৎসব শুধু ফসল ঘরে তোলার নয়—এটি ঘাম ঝরানো শ্রমের ফল উদযাপনের মুহূর্ত। এ যেন বাংলার মাটির ঘ্রাণে মিশে থাকা আনন্দ, ঐতিহ্য আর আত্মতৃপ্তির গল্প। শ্রম আর সৃষ্টির এই অনন্য মিলনই আমাদের গ্রামীণ জীবনের সত্যিকারের রূপ—যেখানে ধান শুধু খাদ্য নয়, ভালোবাসা ও জীবনধারার প্রতীক। এই বাংলা, এই কৃষক, এই ধান কাটা—চিরকাল রয়ে যাবে আমাদের গর্ব আর কৃতজ্ঞতার স্থায়ী স্মারক হয়ে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

খুব সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া।এই দেশ ধানের দেশ।আর এই ধান কষ্ট করে কৃষকরা ফলায়।কৃষকরা না থাকলে আমরা ধান পেতাম না।ধান থেকে চাল ও হতো না।ধানের দেশ যেমন আমাদের গর্বের তেমনি কৃষকগন আমাদের অহংকার।
হ্যাঁ চলতি বছরে অসময়ের বৃষ্টির কারণে কৃষকেরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমনকি টিভি চ্যানেলে নিউজ দেখেছি বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে অনেক কৃষকের ধান পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছে।