স্পোর্টস : ফ্রেন্ডলি ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের জয় //by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon বাংলাদেশের নাগরিক
- ফ্রেন্ডলি ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের জয়
- ১২, অক্টোবর ,২০২৫
- রবিবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে ফুটবল ম্যাচ দেখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ছবিঃ Kirar tv থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
ম্যাচের পরিসংখ্যান:
অ্যাটলেটিকো | ইন্টার মিলান |
---|---|
মোট শট-১৩ | মোট শট-০৫। |
টার্গেটের শট-০৮ | টার্গেটের শট-০৩। |
দৈর্ঘ্য | ৯০ মিনিট । |
বল পজিশন -৫৯% | বল পজিশন -৪১% |
পাস করে -৬৫২ | পাস করে -৪৫৫ |
পাস নির্ভুলতা-৮৯% | পাস নির্ভুলতা-৮৬% |
ফাউল-১৬ | ফাউল-১২ |
---|---|
হলুদ কার্ড- ০১ | হলুদ কার্ড - ০১ |
রেড কার্ড- ০০ | রেড কার্ড-০০ |
অফসাইডস-০১ | অফসাইডস-০৩ |
কোণ-০৫ | কোণ- ০২ |
সময়কাল রাত ১.০০ টায় | ০৫.০৭.২০২৫ইং |
ফলাফল : | অ্যাটলেটিকো-০১(৪) ইন্টার মিলান -০১(২) |
ম্যাচের সারসংক্ষেপ
আমার কাছে খেলাধুলা খুবই ভালো লাগে ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি আলাদাভাবে নেশাটা রয়েই গেছে। এখনো সময় পেলে ছোট ভাই ব্রাদারের সাথে এলাকায় খেলাধুলার মেতে ওঠা। যেটা অনেক বড় একটি নেশা খেলাধুলা শরীরের পক্ষে যেমন ভালো তেমনি মানসিক সকল ধরনের অবসাদ দূর করে দেয়। ছোট্টবেলার সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে এখনো ফিরে যেতে মন চায়। আসলে সেই স্বাধীন মুহূর্ত চাইলে যখন তখন খেলাধুলা নিয়ে মেতে উঠতাম এখন আর পারি নাহ। মাঝে মাঝে ছোট্ট বাচ্চাদের খেলাধুলা গুলো দেখে সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করি আর খেলাধুলা এখন নিয়মিত না করা হলেও রাত জেগে খেলা দেখার অভ্যাসটা এখনো রয়েই গেছে।
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ বনাম ইন্টার মিলান — এক উত্তেজনাপূর্ণ মুখোমুখি লড়াই, যেখানে ফুটবলের প্রতিটি মুহূর্তে নাটকীয়তা ও দক্ষতার ছাপ ফুটে উঠেছে। ম্যাচটি শেষ হয় ১–১ গোলে, তবে শেষ পর্যন্ত পেনাল্টিতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ৪–২ ব্যবধানে জয় পায়। এই ম্যাচে শুধু গোল নয়, পরিসংখ্যানও বলে দেয় কে কতটা প্রভাব বিস্তার করেছে মাঠে। নিচে ম্যাচটির উপর সাত প্যারায় বিশদ আলোচনা দেওয়া হলো।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দল আক্রমণ-প্রতিরক্ষায় নিজেদের সেরাটা দিতে চেষ্টা করে। ৩৫ মিনিটে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সি. মার্টিন দারুণ এক গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ইন্টার মিলান সমতায় ফেরে, ইয়ান বিসসেক ৫৯ মিনিটে গোল করে। এরপর আর কেউ গোল করতে পারেনি, ফলে ম্যাচটি গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শ্যুটআউটে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ৪–২ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয়।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ বল দখলে (পজেশন) ৫৯% সময় নিয়ন্ত্রণে রাখে, যেখানে ইন্টার মিলান ছিল ৪১%। এটি স্পষ্ট করে যে, অ্যাটলেটিকো বল পায়ে রেখে খেলা গঠন করতে চেয়েছে, ধৈর্য ধরে সুযোগ খুঁজেছে। অন্যদিকে ইন্টার তুলনামূলকভাবে কাউন্টার অ্যাটাকে ভরসা করেছে।
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ মোট ১৩টি শট নেয়, যার মধ্যে ৮টি ছিল টার্গেটে। বিপরীতে ইন্টার নেয় মাত্র ৫টি শট, যার মধ্যে ৩টি টার্গেটে ছিল। এই পরিসংখ্যান দেখায় যে অ্যাটলেটিকো সুযোগ সৃষ্টিতে অনেক বেশি সক্রিয় ছিল, তবে গোলের সামনে ফিনিশিং আরও উন্নত করা প্রয়োজন।
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ পাস দিয়েছে ৬৫২টি, আর ইন্টার দিয়েছে ৪৫৫টি। পাস একুরেসি বা পাসের নির্ভুলতা যথাক্রমে ৮৯% ও ৮৬%। উভয় দলই বল কন্ট্রোল এবং পজিশনাল খেলার ক্ষেত্রে দক্ষতা দেখালেও, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সামঞ্জস্যপূর্ণ পাসিং ও সমন্বয়ই তাদের আক্রমণকে আরও ধারালো করেছে।
ফাউলের সংখ্যায় অ্যাটলেটিকো এগিয়ে – তাদের ফাউল ১৬টি, যেখানে ইন্টার করেছে ১২টি। দুই দলই একটি করে হলুদ কার্ড পেলেও লাল কার্ড কেউ দেখেনি। এটি বোঝায় যে, ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল তীব্র, কিন্তু সীমা অতিক্রম করা হয়নি। উভয় দলই কঠোরভাবে খেললেও স্পোর্টসম্যানশিপ বজায় রেখেছে।ইন্টার মিলান তুলনামূলকভাবে রক্ষণে মনোযোগী ছিল। তারা বেশি সময় ডিফেন্সে ছিল এবং অ্যাটলেটিকোর আক্রমণ ঠেকাতে সমন্বিতভাবে কাজ করেছে। তবুও অ্যাটলেটিকোর ধারাবাহিক চাপ ইন্টারকে কিছুটা বিপদে ফেলেছিল। গোলরক্ষকদের পারফরম্যান্সও ছিল প্রশংসনীয়—উভয় দিকেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেভ ম্যাচের গতি পাল্টে দিয়েছে।

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ভিডিওর লিংক সমূহ
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
https://x.com/mahmudrr_r/status/1977429061086626052?t=JK1lSXEUWTDvQVCV6FUHOg&s=19
https://x.com/mahmudrr_r/status/1977429428071432390?t=gALY7LzVvHfLIKW15mLQ6A&s=19