স্পোর্টস :হাইভোল্টেজ ম্যাচে চেলসির জয় //by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon বাংলাদেশের নাগরিক
- হাইভোল্টেজ ম্যাচে চেলসির জয়
- ০৫, অক্টোবর ,২০২৫
- রবিবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে ফুটবল ম্যাচ দেখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ছবিঃ Kirar tv থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
ম্যাচের পরিসংখ্যান:
চেলসি | লিভারপুল |
---|---|
মোট শট-১২ | মোট শট-১২। |
টার্গেটের শট-০৬ | টার্গেটের শট-০২। |
দৈর্ঘ্য | ৯০ মিনিট । |
বল পজিশন -৫৪% | বল পজিশন -৪৬% |
পাস করে -৫০৮ | পাস করে -৪৫০ |
পাস নির্ভুলতা-৮৩% | পাস নির্ভুলতা-৮২% |
ফাউল-০৯ | ফাউল-০৮ |
---|---|
হলুদ কার্ড- ০০ | হলুদ কার্ড - ০২ |
রেড কার্ড- ০০ | রেড কার্ড-০০ |
অফসাইডস-০২ | অফসাইডস-০২ |
কোণ-০৭ | কোণ- ০২ |
সময়কাল রাত ১০.৩০ টায় | ০৫.১০.২০২৫ইং |
ফলাফল : | চেলসি-০২ লিভারপুল -০১ |
ম্যাচের সারসংক্ষেপ
আমার কাছে খেলাধুলা খুবই ভালো লাগে ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি আলাদাভাবে নেশাটা রয়েই গেছে। এখনো সময় পেলে ছোট ভাই ব্রাদারের সাথে এলাকায় খেলাধুলার মেতে ওঠা। যেটা অনেক বড় একটি নেশা খেলাধুলা শরীরের পক্ষে যেমন ভালো তেমনি মানসিক সকল ধরনের অবসাদ দূর করে দেয়। ছোট্টবেলার সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে এখনো ফিরে যেতে মন চায়। আসলে সেই স্বাধীন মুহূর্ত চাইলে যখন তখন খেলাধুলা নিয়ে মেতে উঠতাম এখন আর পারি নাহ। মাঝে মাঝে ছোট্ট বাচ্চাদের খেলাধুলা গুলো দেখে সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করি আর খেলাধুলা এখন নিয়মিত না করা হলেও রাত জেগে খেলা দেখার অভ্যাসটা এখনো রয়েই গেছে।
চেলসি বনাম লিভারপুলের এই ম্যাচটি ছিল একদম উচ্চমানের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফুটবল লড়াই, যেখানে শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নেয় চেলসি ২–১ গোলের ব্যবধানে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় লন্ডনের বিখ্যাত স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ স্টেডিয়ামে, আর দুই দলই মাঠে নামার আগেই সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। চেলসির সাম্প্রতিক ফর্ম ও তরুণ স্কোয়াডের ওপর ভর করে তাদের সমর্থকেরা আশাবাদী ছিল, অন্যদিকে লিভারপুলও নিজেদের আক্রমণভাগের ধার দেখানোর প্রত্যাশায় ছিল।
প্রথমার্ধে খেলার শুরু থেকেই চেলসি দারুণ নিয়ন্ত্রণ নেয়। তারা ৫৪% পজেশন ধরে রাখে এবং খেলার ছন্দ নিজেরাই তৈরি করে। ম্যাচের ১৪তম মিনিটে মইসেস কাইসেডো এক অসাধারণ দূরপাল্লার শটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। এই গোলটি ছিল তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্তগুলোর একটি, কারণ তিনি শুধু গোলই করেননি—বরং মিডফিল্ড থেকে পুরো খেলার ছন্দও নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন। লিভারপুল এই ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করলেও প্রথমার্ধে খুব একটা কার্যকর আক্রমণ গড়ে তুলতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুল কিছুটা আগ্রাসীভাবে খেলায় ফেরে। কোচ ক্লপ দলের কৌশলে পরিবর্তন আনেন, যার ফলস্বরূপ ৬৩তম মিনিটে কোডি গ্যাকপো এক দারুণ সমতা সূচক গোল করেন। লিভারপুলের এই সময়ে বলের নিয়ন্ত্রণ কিছুটা বাড়লেও, তাদের ফিনিশিং দুর্বল ছিল—মোট ১২টি শটের মধ্যে মাত্র ২টি ছিল অন টার্গেট, যা বড় পার্থক্য তৈরি করে দেয় ম্যাচের ফলাফলে।
চেলসি দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে আবারও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেয়। দলের তরুণ প্রতিভা এস্তেভাও ৯০+৫ মিনিটে ইনজুরি টাইমে গোল করে চেলসিকে জয়সূচক লিড এনে দেন। এই গোলের মুহূর্তটি ছিল নাটকীয়, কারণ সবাই প্রায় ধরে নিয়েছিল ম্যাচ ড্র হয়ে শেষ হবে। কিন্তু এস্তেভাওয়ের বুদ্ধিদীপ্ত রান ও নিখুঁত শট লিভারপুলের গোলরক্ষককে হার মানায়।
পরিসংখ্যানের দিক থেকে দেখলে চেলসি সামান্য এগিয়ে ছিল। তারা বলের নিয়ন্ত্রণে (৫৪%), পাসের সংখ্যায় (৫০৮ বনাম ৪৫০), এবং পাসের সঠিকতায় (৮৩%) লিভারপুলকে ছাড়িয়ে যায়। লিভারপুল যদিও সমান সংখ্যক (১২) শট নিয়েছিল, কিন্তু অন টার্গেট শটের সংখ্যা ছিল মাত্র ২টি, যেখানে চেলসির ছিল ৬টি—যা তাদের আক্রমণভাগের কার্যকারিতা প্রমাণ করে।
ম্যাচজুড়ে চেলসির রক্ষণভাগও প্রশংসনীয় ছিল। থিয়াগো সিলভা ও কোলউইলের নেতৃত্বে রক্ষণদুর্গ প্রায় ভাঙার অযোগ্য হয়ে ওঠে। লিভারপুলের ফরোয়ার্ডরা কয়েকটি সম্ভাবনাময় আক্রমণ করলেও চেলসির রক্ষণের সমন্বয় ও গোলরক্ষক সাঙ্কারের দৃঢ়তা তাদের প্রতিটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়।শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফলাফল চেলসির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জয় হিসেবে বিবেচিত হবে। এই জয় শুধু তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে না, বরং লীগ টেবিলেও মূল্যবান তিন পয়েন্ট এনে দেবে। অন্যদিকে লিভারপুলের জন্য এটি একটি শিক্ষা, বিশেষ করে তাদের ফিনিশিং এবং মিডফিল্ড নিয়ন্ত্রণ উন্নত করার প্রয়োজনীয়তা আবারও সামনে এসেছে। সার্বিকভাবে বলা যায়, এটি ছিল এক উত্তেজনাপূর্ণ, কৌশলসমৃদ্ধ, এবং নাটকীয় ম্যাচ—যা ফুটবলপ্রেমীদের দীর্ঘদিন মনে থাকবে।

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ভিডিওর লিংক সমূহ
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
https://x.com/mahmudrr_r/status/1974752619769090150?t=YIW3fCNexRLp2VxVah9tig&s=19
https://x.com/mahmudrr_r/status/1974752955875438772?t=aIiCCamul6qOwe8-GvL6OA&s=19