স্পোর্টস : ফ্ল্যামেঙ্গোর শ্বাসরুদ্ধকর জয় //by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon বাংলাদেশের নাগরিক
- ফ্ল্যামেঙ্গোর শ্বাসরুদ্ধকর জয়
- ২৪, জুলাই ,২০২৫
- বৃহস্পতিবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে ফুটবল ম্যাচ দেখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ছবিঃ Kirar tv থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
ম্যাচের পরিসংখ্যান:
ফ্ল্যামেঙ্গো | ব্রাগান্টিনো |
---|---|
মোট শট-১৪ | মোট শট-১০। |
টার্গেটের শট-০৬ | টার্গেটের শট-০৩। |
দৈর্ঘ্য | ৯০ মিনিট । |
বল পজিশন -৬৩% | বল পজিশন -৩৭% |
পাস করে -৫৮৩ | পাস করে -৩৪৬ |
পাস নির্ভুলতা-৮৯% | পাস নির্ভুলতা-৮০% |
ফাউল-১৭ | ফাউল-১১ |
---|---|
হলুদ কার্ড- ০৫ | হলুদ কার্ড - ০১ |
রেড কার্ড- ০০ | রেড কার্ড-০০ |
অফসাইডস-০৩ | অফসাইডস-০২ |
কোণ-০৫ | কোণ- ০২ |
সময়কাল রাত ১.০০ টায় | ২৪.০৭.২০২৫ইং |
ফলাফল : | ফ্ল্যামেঙ্গো-০২ ব্রাগান্টিনো -০১ |
ম্যাচের সারসংক্ষেপ
আমার কাছে খেলাধুলা খুবই ভালো লাগে ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি আলাদাভাবে নেশাটা রয়েই গেছে। এখনো সময় পেলে ছোট ভাই ব্রাদারের সাথে এলাকায় খেলাধুলার মেতে ওঠা। যেটা অনেক বড় একটি নেশা খেলাধুলা শরীরের পক্ষে যেমন ভালো তেমনি মানসিক সকল ধরনের অবসাদ দূর করে দেয়। ছোট্টবেলার সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে এখনো ফিরে যেতে মন চায়। আসলে সেই স্বাধীন মুহূর্ত চাইলে যখন তখন খেলাধুলা নিয়ে মেতে উঠতাম এখন আর পারি নাহ। মাঝে মাঝে ছোট্ট বাচ্চাদের খেলাধুলা গুলো দেখে সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করি আর খেলাধুলা এখন নিয়মিত না করা হলেও রাত জেগে খেলা দেখার অভ্যাসটা এখনো রয়েই গেছে।
এই ম্যাচে ব্রাগান্টিনো দল ১-২ গোলে পরাজিত হয়েছে ফ্ল্যামেঙ্গো-এর কাছে। ফলাফলটি থেকেই বোঝা যায়, ম্যাচটি ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও উত্তেজনাপূর্ণ। শেষ পর্যন্ত ফ্ল্যামেঙ্গো জয় ছিনিয়ে নেয়, যদিও ব্রাগান্টিনো পুরো ম্যাচে লড়াই করে গেছে।
ফ্ল্যামেঙ্গো ম্যাচে স্পষ্টভাবে বলের নিয়ন্ত্রণে ছিল, যার প্রমাণ তাদের ৬৩% পজেশন। বিপরীতে ব্রাগান্টিনো মাত্র ৩৭% সময় বল নিজেদের পায়ে রাখতে পেরেছে। এটি বোঝায় যে ফ্ল্যামেঙ্গো মাঝমাঠে অনেক বেশি সংগঠিত ও কার্যকরভাবে খেলেছে।
ফ্ল্যামেঙ্গো ১৪টি শট নিয়েছে যার মধ্যে ৬টি ছিল অন টার্গেট। অন্যদিকে ব্রাগান্টিনো ১০টি শট নিয়েও মাত্র ২টি লক্ষ্য বরাবর রাখতে পেরেছে। এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় যে ফ্ল্যামেঙ্গো-এর আক্রমণ ছিল বেশি কার্যকর ও গোলের সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে বেশি সফল।
ফ্ল্যামেঙ্গো মোট ৫৮৩টি পাস দিয়েছে এবং তাদের পাসিং অ্যাকিউরেসি ছিল ৮৯%, যা তাদের খেলার পরিপক্বতা এবং টেকনিক্যাল শ্রেষ্ঠতাকে বোঝায়। Red Bull ৩৪৬টি পাস দিয়ে ৮০% পাসিং সঠিক রাখতে পেরেছে, যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
ম্যাচে মোট ফাউলের সংখ্যা ছিল যথেষ্ট বেশি—ব্রাগান্টিনো ১১টি ও ফ্ল্যামেঙ্গো ১৮টি ফাউল করেছে। Flamengo-এর খেলোয়াড়রা ৫টি হলুদ কার্ড পেয়েছে, যা তাদের রক্ষণাত্মক আগ্রাসী স্টাইলকেও নির্দেশ করে। Red Bull পেয়েছে মাত্র একটি হলুদ কার্ড।
ফ্ল্যামেঙ্গো ৩টি কর্নার পেয়েছে যেখানে ব্রাগান্টিনো পেয়েছে ২টি। এছাড়া অফসাইডের ক্ষেত্রেও ফ্ল্যামেঙ্গো একটু এগিয়ে—তাদের ছিল ৩টি অফসাইড, Red Bull-এর ২টি। এটি দেখায় যে ফ্ল্যামেঙ্গো আরও বেশি অ্যাটাকিং লাইন ধরে খেলছিল।সমগ্র পরিসংখ্যান বিবেচনায় বলা যায়, ফ্ল্যামেঙ্গো খেলার প্রতিটি দিকেই Red Bull-এর চেয়ে এগিয়ে ছিল—পজেশন, পাসিং, আক্রমণ ও ফিনিশিং। তাই ২-১ ব্যবধানে তাদের জয় ন্যায্যই ছিল। তবে Red Bull-এর প্রতিরোধ ও সুযোগ তৈরির চেষ্টা প্রমাণ করে তারা সহজে হার মানেনি।

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ভিডিওর লিংক সমূহ
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
https://x.com/mahmudrr_r/status/1948299265689722957?t=s0TpZwSAKiLgrQuNuBlcdw&s=19
https://x.com/mahmudrr_r/status/1948299589141839970?t=UGVb0jqUX55Nz_AjlFSBbQ&s=19