বৃষ্টির দিনে দিনাজপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে ফুটবল খেলা
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শনিবার, ৩০ ই আগস্ট ২০২৫ ইং
আজ সকাল থেকেই আকাশে ছিল বৃষ্টির আমেজ। কখনো হালকা ফোঁটা, কখনো আবার একটু জোরে ঝরছিল। কিন্তু দুপুরে এসে হঠাৎ করেই বৃষ্টি নেমে গেল প্রবলভাবে। চারদিক তখন ভিজে একেবারে টলটলে হয়ে গেল। আমরা তখন আর অপেক্ষা করিনি, বলটা হাতে নিয়েই নেমে পড়লাম সরকারি কলেজের ক্যাম্পাস মাঠে।মাঠ তখন কাদা পানিতে ভরা। হাঁটতেই কাদা পায়ের সঙ্গে লেগে যাচ্ছিল, বলটাও ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণে আসছিল না। তবুও সেই অবস্থায় খেলতে খেলতেই মজার এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা হচ্ছিল।
সবাই তখন যেন ছোট বাচ্চার মতো হাসছিলাম, দৌড়াচ্ছিলাম, একে অপরকে মজা করে ফেলে দিচ্ছিলাম। গোল হলে তো কথাই নেই, একেকজন আনন্দে চিৎকার করে লাফিয়ে উঠছিল, কেউ আবার কাদার ভেতরে শুয়ে যাচ্ছিল হেসে খুন হয়ে।বৃষ্টির ফোঁটায় চুল থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছিল, জামাকাপড় একেবারে ভিজে গিয়েছিল, শরীর ঠান্ডায় কাঁপছিল কিন্তু সেই মুহূর্তে সবকিছুই তুচ্ছ মনে হচ্ছিল। কারণ বন্ধুদের সঙ্গে এই আনন্দটা ছিল একেবারে অন্যরকম।মাঠের চারপাশের গাছপালা তখন সবুজে ঝলমল করছিল।
হাওয়ায় ভেসে আসছিল ভেজা মাটির গন্ধ, আর সেই পরিবেশে ফুটবল খেলা যেন একেবারে উৎসবের মতো হয়ে উঠেছিল।খেলা শেষে সবাই বারান্দায় দাঁড়িয়ে ভিজে জামা থেকে পানি চিপে বের করছিলাম। সবার গায়ে কাদা লেগে গিয়েছিল, কিন্তু কারো মুখে কোনো বিরক্তি ছিল না। বরং হাসতে হাসতে সবাই বলছিল আজকের দিনটা সত্যিই মনে রাখার মতো।বৃষ্টিভেজা সেই বিকেলটা শুধু ফুটবল খেলা নয়, বরং বন্ধুত্ব আর নির্ভেজাল আনন্দের এক অসাধারণ স্মৃতি হয়ে থাকবে আমাদের সবার কাছে।
খেলার সময় মাঝে মাঝে জুতো খুলে খালি পায়ে দৌড়াতে শুরু করলাম। ভেজা ঘাস আর কাদার ওপর খালি পায়ে দৌড়ানোর মজা ছিল আলাদা। মনে হচ্ছিল যেন আমরা মাঠের সঙ্গে মিশে গিয়েছি।বৃষ্টি যত বাড়ছিল, খেলার তত বেশি রোমাঞ্চ হচ্ছিল। বল নিয়ে দৌড়ানোর সময় চোখে মুখে পানি এসে পড়ছিল, তবু সেই ভেজা অবস্থাই খেলাটাকে আরও আনন্দময় করে তুলেছিল।চারপাশে যারা দাঁড়িয়ে ছিল তারা আমাদের দেখে হেসে খুন হচ্ছিল। কেউ কেউ আবার মোবাইলে ভিডিও করছিল।
যেন আমরা নিজের অজান্তেই অন্যদের জন্য আনন্দের একটা দৃশ্য তৈরি করে ফেলেছিলাম।গোল করার পর বন্ধুদের হাসি আর উল্লাস দেখে মনে হচ্ছিল, পড়াশোনার চাপ বা জীবনের কোনো দুশ্চিন্তাই আর অবশিষ্ট নেই। শুধু তখনকার মুহূর্তটাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।খেলা শেষে যখন সবাই ভিজে ক্লান্ত শরীরে বসেছিলাম, তখন মনে হচ্ছিল আমরা হয়তো জীবনের অন্যতম সুন্দর একটা দিন কাটালাম। সেই আনন্দ আর মুক্তি হয়তো কোনোদিন ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.