স্মৃতিচারণ: শৈশবে পাড়ার ছেলেদের সাথে বর্ষার পানিতে ভিজিয়ে ফুটবল খেলার স্মৃতিচারণ

in আমার বাংলা ব্লগlast month (edited)

আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
রবিবার, ২৪ ই আগস্ট ২০২৫ ইং

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে শৈশবে পাড়ার ছেলেদের সাথে বর্ষার পানিতে ভিজিয়ে ফুটবল খেলার স্মৃতিচারণ শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।


IMG_1163.jpeg

Source

শৈশব মানেই একরাশ আনন্দ, একরাশ দুষ্টুমি আর অগণিত স্মৃতি। বর্ষাকাল এলে সেই স্মৃতিগুলো যেন আরও জীবন্ত হয়ে ওঠে। পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে ভিজে ভিজে ফুটবল খেলার সেই দিনগুলো আজও চোখের সামনে ভাসে। বৃষ্টি শুরু হলেই ঘরে বসে থাকার মানসিকতা আমাদের ছিল না। মাঠ ভিজে কাদা হয়ে যাওয়া, পা পিছলে যাওয়া, কাদা মাখা গায়ে লুটোপুটি খাওয়া এসব ছিল আমাদের কাছে যেন স্বর্গীয় আনন্দ।

সকালে হালকা বৃষ্টি শুরু হলেই খবর পৌঁছে যেত প্রতিটি বাড়িতে। একে একে সবাই দৌড়ে আসত মাঠে। কারও হাতে থাকত পুরনো, জীর্ণ ফুটবল, যেটাই ছিল আমাদের সেরা সম্পদ। মায়ের ডাক, পড়াশোনার চাপ, কিংবা শরীর ভিজে অসুস্থ হওয়ার ভয় এসব যেন তখন একেবারেই গুরুত্বহীন হয়ে যেত। মাঠে নামলেই শুরু হত আমাদের অন্যরকম এক জগৎ।

মাঠের মধ্যে বল নিয়ে ছোটা, কেউ পা পিছলে পড়ে গিয়ে সবার হাসির খোরাক হওয়া, আবার মাঝে মাঝে সত্যি সত্যি ছোটখাটো আঘাত পাওয়া এসবই খেলাটার অংশ ছিল। কারও জামা ভিজে কাদা হয়ে যেত, কারও মুখে বা হাতে কাদার দাগ লেগে থাকত, অথচ সবার চোখে মুখে ছিল এক ধরনের অদ্ভুত উচ্ছ্বাস। গোল হলেই আমরা চিৎকার করে উঠতাম, যেন বিশ্বকাপ জিতে গেছি। বৃষ্টির পানি আমাদের ক্লান্তি মুছে দিত, আর প্রতিটি মুহূর্তকে আরও মধুর করে তুলত।

খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আমাদের চেহারা দেখে অনেক সময় বকুনি খেতে হত। কিন্তু সেই বকুনির ভেতরও একটা মমতা লুকিয়ে থাকত, কারণ সবাই জানত এই খেলাগুলোই আমাদের শৈশবকে রঙিন করে তুলছে। ভিজে কাপড়, কাদামাখা শরীর আর অট্টহাসি এসবই আজ পরিণত হয়েছে অমূল্য স্মৃতিতে।

আজ বড় হয়ে দায়িত্বের বোঝা কাঁধে নিয়ে দাঁড়িয়ে যখন অতীতের দিকে তাকাই, তখন সেই বৃষ্টিভেজা ফুটবল খেলার দিনগুলো মনে পড়লে বুকের ভেতর অদ্ভুত এক শূন্যতা তৈরি হয়। হয়তো সেই দিনগুলো আর ফিরে পাওয়া যাবে না, কিন্তু স্মৃতির ভেতর তারা চিরকাল রঙিন হয়ে থাকবে। শৈশবের বর্ষার ফুটবল আমার জীবনের এক অনন্য অধ্যায়, যা আমাকে এখনও হাসায়, আবার কাঁদায়ও।

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ক্যামেরা পরিচিতি
DeviceiPhone 11
Camera11+11 MP
CountyBangladesh
LocationRangpur, Bangladesh

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAqqCDY5m5Sn.png

Vote@bangla.witness as witness

54TLbcUcnRm3sWQK3HKkuAMedF1JSX7yKgEqYjnyTKPwrcNLMcZnLnFrW5PDaQKxbWWqwrRezSAe39S7RTiEk7NCzgzD1reVavwZGUMbjasjujy1CQqSedvtuVGKXod3vcdSqiXp2.png

Or

Set@rme as your proxy

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WEX4nZPQpSChVhr5YUqUeT6qhYr1L6PMHKqtRnepY2a8e1tqsDtWfr4V8KDGvJtydqvz4V68PMUyu9EWpez2.png


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

1728830339945~3.jpg

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।