হঠাৎ করে গিয়েছিলাম সৈয়দপুর বিমানবন্দর
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শুক্রবার, ২৯ ই এপ্রিল ২০২৫ ইং
সৈয়দপুর বিমানবন্দর বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর। এটি নীলফামারী জেলায় অবস্থিত হলেও সৈয়দপুর শহরের নামেই পরিচিত। দেশের অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলে এটি একটি ব্যস্ত হাব, বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটে এই বিমানবন্দরটি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (CAAB) অধীনে পরিচালিত হয় এবং প্রতিদিন বহু যাত্রী সৈয়দপুর থেকে রাজধানী ও অন্যান্য বড় শহরে যাতায়াত করেন। এর রানওয়ে মাঝারি আকারের হলেও এটি দিনে বেশ কয়েকটি ফ্লাইট হ্যান্ডল করতে সক্ষম।
বেশ কয়েকদিন ধরে ভাবছিলাম যে, সৈয়দপুর বিমানবন্দর দেখতে যাবো।তো আজকে আমি এবং আমার একজন প্রিয় বন্ধু কে সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম সৈয়দপুর মার্কেটের মধ্যে বেশ কিছু জিনিস পত্র কেনাকাটা করার জন্য। জিনিস পত্র কেনাকাটা করা শেষে আমাদের হাতে একটি সময় ছিল। ভাবলাম যে এই সময়ের মধ্যে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে ঘুরে আসা যাক। আসলে এর আগে কখনো এই বিমান বন্দরে যাওয়া সম্ভব হয়নি।তাই এই বিমান বন্দরে যাওয়ার আগ্রহ অনেক বেশি ছিল। যাইহোক, আমরা একটি রিকশা ভাড়া করে চলে গেলাম সৈয়দপুর বিমানবন্দরে।
সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেট থেকে বিমান বন্দরের দুরুত্ব ছিল কিছুটা দূরে। রিকশা ওয়ালা মামা আমাদের কে অল্প কিছু সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরের সামনে নিয়ে যায়। বিমান বন্দরের সামনে গিয়ে দেখতে পারলাম বিভিন্ন ধরনের প্রাইভেট কার। আসলে উত্তর বঙ্গের জেলা গুলোর মানুষ এই বিমান বন্দর ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করে থাকে। এরপর আমরা চলে গেলাম বিমান বন্দরের একদম সামনে। সামনে গিয়ে দেখতে পারলাম বিভিন্ন ধরনের বাহিনীর সদস্যরা পুরো বিমান বন্দরটি কে পাহারা দিচ্ছেন। কেননা, এটি বাংলাদেশের একটি বেসামরিক বিমান বন্দর।
বিমানবন্দরের বাইরে চা-সিগারেটের দোকান, হাতে সময় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের স্বজন সব মিলিয়ে একটা পারিবারিক পরিবেশ। এমনকি নিরাপত্তাকর্মীরাও যেন অনকেই পরিচিত, হাসিমুখে কথা বলছেন পথচলতি মানুষের সঙ্গে।আমার ভেতরের একটা কৌতূহল থেকে আমি টার্মিনালের আশেপাশে ঘুরে দেখলাম। আশ্চর্য লেগেছে এটা দেখে যে, এত ছোট একটি জায়গা কী সুন্দরভাবে সাজানো এবং পরিচালিত। স্থানীয়দের মুখে শুনলাম, ভবিষ্যতে নাকি এটিকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করা হবে – শুনে ভালো লাগলো।
চোখে পড়লো কিছু যাত্রী কেউ ঢাকায় যাচ্ছে, কেউ ফিরছে বাড়ি। তাদের চোখে-মুখে তাড়াহুড়োর চেয়ে ছিলো দেখা-হওয়ার উত্তেজনা, বিদায়ের কষ্ট আর আশার ঝিলিক।ঘুরে দেখতে দেখতে সময় কেটে গেলো কখন টেরই পাইনি। মনে হচ্ছিলো, এখানে দাঁড়িয়ে থাকা মানে শুধু একটা জায়গা দেখা নয়, বরং এক টুকরো জীবনের গল্প শোনা। সকলেই সেখানে সকলের মতোই চলছে সেখানে।কারো চোখে পানি, আবার কারো মুখে মুখ ভরা হাসি।কেউ তাদের স্বজনদের কে বিদেশ পাঠিয়ে দিচ্ছেন। আবার কেউ তাদের পাঠানো স্বজনদের কে কাছে পেয়ে যাচ্ছে। আসলে বিমান বন্দর মানেই দুঃখ এবং হাসির জায়গা।
সব কিছু মিলিয়ে আমরা একটি দারুন সময় উপভোগ করেছিলাম। মাঝে মাঝে এরকম সুন্দর সময় উপভোগ করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Daily task
Link
https://x.com/Riyadx2P/status/1917211435459084303?t=UzWvkVKXmAs8XPQI1GPLJQ&s=19
Screenshot
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.