ফোটোগ্রাফি পোস্ট : "বাংলাদেশের পুজো -১০"
বকাসুর বধ । কৃষ্ণ ছিলেন মথুরাধিপতি কংসের ভাগ্নে । মামা কংস কৃষ্ণকে বধ করার নিমিত্তে বকাসুর নামক এক মায়াবী রাক্ষসকে গোকুলে প্রেরণ করেন । এই বকাসুর বিশাল এক বকের রূপ ধারণ করে রাখাল বালকদের গোচারণ ভূমির নিকট এক সরোবরের কাছে এসে বসে । কৃষ্ণ ও বলরাম সহ অনেক গোপালক যখন তৃষ্ণা নিবারণে এই সরোবরের কাছে এসে পড়ে তখন বকাসুর বিকট হাঁ করে তাঁদেরকে গিলতে গেলো । তখনই শ্রীকৃষ্ণ বকাসুরের দুই ঠোঁটের মধ্যবর্তী অংশে দাঁড়িয়ে দুই হাত দিয়ে তাকে পুরো চিরে ফেলেন । এই ভাবে বকাসুর শ্রীকৃষ্ণের হাতে নিহত হয় ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
শ্রীকৃষ্ণের কালীয় নাগ দমন । যমুনার তীরে গোচারণভূমি । কৃষ্ণ ও বলরাম সমভিব্যাহারে একদিন রাখাল বালকেরা খেলতে খেলতে যমুনা নদীর এক দহের কাছে এসে পড়ে । এই দহের নাম কালীয় দহ । এই দহের জল ছিল কৃষ্ণবর্ণ । কালীয় নাগের ছিল সহস্র ফণা । সহস্র ফণা দিয়ে অবিরত ধারায় গরল উদ্গীরণ হতো । সেই বিষের প্রভাবে যমুনার জল কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করে । জল হয়ে পড়ে ভয়ানক বিষাক্ত । রাখাল বালকেরা খেলতে খেলতে তৃষ্ণার্ত বোধ করায় সেই দহের জল পান করে । এবং, তারপরেই দারুন বিষের জ্বালায় অচৈতন্য হয়ে পড়ে সকলে । কৃষ্ণ তখন দারুন ক্রোধান্বিত হয়ে পড়েন । এবং, দহের জলে নেমে কালীয় নাগকে খুঁজতে থাকেন । কালীয় নিজের বাসস্থানে এই উপদ্রবে রাগন্বিত হয়ে কৃষ্ণকে আক্রমণ করে । তখন কৃষ্ণ এক লাফে কালীয় নাগের মাথার উপরে উঠে পড়েন । এরপরে শুরু হয় এক উদ্দাম নৃত্য । এক ফণা থেকে লাফিয়ে আরেক ফণার উপরে উঠে কৃষ্ণ নৃত্য করতে থাকেন । ক্রমাগত এই লাফালাফি ও নৃত্যে কালীয় ভীষণভাবে আহত হয়ে পড়ে । ক্রমাগত রক্তবমি করতে করতে ক্ষমা চায় সে কৃষ্ণের কাছে । অবশেষে কৃষ্ণ তাকে যমুনা নদী ছেড়ে যেতে বলে ক্ষমা করে দেন ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
বালক বয়সে কৃষ্ণ ছিলেন অত্যন্ত দুরন্ত এক শিশু । অন্যের গাছের ফল পাকুড় চুরির পাশাপাশি প্রত্যেক বাড়ি থেকে দুধ, ননী ও মাখন চুরি করে খেতেন । এই কাজের সঙ্গী ছিল তাঁর গোষ্ঠবালকেরা । ননী ও মাখনের ভান্ডগুলি অনেক উঁচুতে ঝোলানো থাকতো । তাই কৃষ্ণ ও বলরাম করতো কি এক জন বালকের ঘাড়ে ঘাড়ে আরেকজন চড়ে মানব পিরামিড রচনা করে সেই সব ননী-মাখনের ভান্ডের নাগাল পেতো । পরে সব ভান্ড সবাই মিলে সাবড়ে দিতো । এমন দুস্টু ছিল তারা ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
রাধা-কৃষ্ণের জগতবিদিত । রাধা ছিলেন কৃষ্ণের চাইতে বয়সে ১২ বছরের বড় এবং অন্যের পত্নী । রাধার স্বামী আয়ান ঘোষ আবার ছিলেন কৃষ্ণের পালক মাতা যশোদার দূরসম্পর্কের ভাই । ফলে রাধা সম্পর্কে ছিলেন কৃষ্ণের মামী । এতদসত্ত্বেও তাঁরা প্রেমে পড়েন । রাধা যখন সখী সমভিব্যাহারে যমুনার তীরে জল আনতে যেতেন কৃষ্ণ তখন তাঁদের পিছু নিতেন এবং জানান ভাবে রাধাকে প্রেম-নিপীড়ন করতেন । রাধা ও তাঁর সখীরাও খুব উপভোগ করতেন কৃষ্ণের এই দুষ্টুমি ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩
টাস্ক ৪০৬ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 6c5230e427acdb514181d5c134be1a93547afa45a28f82a30799311986016b0c
টাস্ক ৪০৬ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR


https://jalalarticle.blogspot.com/2023/11/ee-e-ee-e-1.html
দাদা দেখতে দেখতে এই সিরিজের দশম পর্ব শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। প্রতি পর্বের ন্যায় এই পর্বটিও বেশ উপভোগ করেছি। অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছি। বালক বয়সে তো দেখছি কৃষ্ণ বেশ দূরন্ত ছিলো। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
রাধা কৃষ্ণের মামি ছিলেন এটা কিন্তু আগে জানতাম না দাদা। আজকেই প্রথম জানতে পারলাম। আর রাধা কৃষ্ণের চাইতে ১২ বছরের বড় এটাও আজকে জানতে পারলাম। দাদা আপনি এত সুন্দর করে সেই ইতিহাস গুলো তুলে ধরেছেন পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলোও চমৎকার হয়েছে দাদা।
দাদা আপনার বাংলাদশের পুজোর পোস্টগুলো পড়ে অনেক ইতিহাস জানতে পারলাম। বেশ সুন্দর ও সহজ করে উপস্থাপন করেছেন। বেশ ভালো লাগলো পড়ে। সেই সাথে ফটোগ্রাফিগুলো ও বেশ সুন্দর হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য।
কৃষ্ণ অন্যের বাড়ির দুধ, ননী ও মাখন চুরি করে খেতেন এইটা কিছুটা জানতাম। তবে রাধা, কৃষ্ণের থেকে ১২ বছরের বড় ছিল এবং সম্পর্কে মামী হতো, এই ব্যাপারটা জানতাম না ভাই। তবে যাইহোক, ভালোবাসায় আসলে বয়স কোন ব্যাপার না।
এবারের পর্বটিও বেশ ভালোই উপভোগ করলাম ভাই।
শুভেচ্ছা রইল 🙏
দাদা দেখতে দেখতে বাংলাদেশের পুজোর ১০ পর্ব আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। খুলনার বাগেরহাট হতে ধারন করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি কিন্তু দারুন লেগেছে আমার কাছে। সেই সাথে দারুন লেগেছে আমার লেখা সেই গল্প। যা পড়ে অজানা কিছু তথ্য জানতে পারলাম। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
দাদা এই আপনার এই ফটোগ্রাফি পোস্টগুলো থেকে আসলে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের থেকেও যে রাধা দেবী ১২ বছরের বড় এটা সত্যি আগে জানা ছিল না। প্রতিটি ফটোগ্রাফির সাথে সাথে বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন বিষয়গুলো সুস্পষ্ট ধারণা দিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.