বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে একটি ফটোগ্রাফি মূলক পোস্ট শেয়ার করব। আমার আজকের শেয়ার করা ফটোগ্রাফি হলো জংলি টগর ফুলের ফটোগ্রাফি। গ্রাম থেকে শহর সব জায়গাতেই বাড়ির আঙ্গিনা ও বাগান সাজানোর জন্য এসব টগর ফুল গাছ লাগানো হয়ে থাকে। টগর ফুল গাছ দুই থেকে ছয় ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এই গাছগুলো যখন বড় হয় গাছগুলো যদি ছেটে দেওয়া হয় অনেক সুন্দর ও আকর্ষণীয় আকার ধারণ করে। এই গাছের ডালগুলো কেটে বর্ষাকালে মাটিতে পুঁতে রাখলেও চারা হয়ে থাকে। এই গাছগুলোর জন্য কোন প্রকার যত্নের প্রয়োজন পড়ে না। এই গাছগুলো ঝোপঝাড়ে, জঙ্গলে, পথের ধারে, বাঁশ ঝাড়ে এমনিতেই জন্মে থাকে এবং প্রাকৃতিকভাবে বড় হয়ে ওঠে। এই টগর ফুল গুলো সবুজ পাতার মাঝে ছোট ছোট সাদা রঙ্গের টগর ফুলগুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে। টগর গাছে সারা বছরই ফুল হয় তবে বসন্তকালে সব থেকে বেশি এই ফুল ফোটে। টগর ফুল গন্ধহীন ও গন্ধ যুক্ত উভয়ই হয়। আমাদের হিন্দু ধর্মে এই টগর ফুল পূজোর কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই টগর গাছের অনেক ঔষধি গুণাগুণ ও রয়েছে। টগর গাছের মূল কাণ্ড পাতা সবকিছুই ঔষধি গুনাগুনের ভরপুর। যাইহোক, আমার আজকের শেয়ার করা এই টগর ফুল গাছের ফটোগ্রাফি আমি একটি মন্দিরের সামনে থেকে করেছি। কিছুদিন আগে আমি এবং আমরা বাড়ির সকলে মিলে আমাদের বাড়ির খুব কাছাকাছি একটি মন্দিরে গেছিলাম। সেখান থেকেই এই টগর ফুল গাছ দেখে আমি এর কিছু ফটোগ্রাফি করে নেই।যা আজকের এই ব্লগে তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম। তাহলে আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেওয়া যাক।





🎨পোস্ট বিবরণ🎨
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | বারাসাত, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
বন্ধুরা, আজকে শেয়ার করা এই পোস্ট টি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ সবাইকে

আমার পরিচয়
আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই জংলি টগর ফুল আমি বিভিন্ন জায়গায় দেখেছি ভীষণ সুন্দর লাগে দেখতে। আজকে আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে এই জংলি টগর ফুল গাছ সম্পর্কে পড়ে এবং এত সুন্দর ফুলের এবং ফুল গাছের ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো।
টগর ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লেগেছে।
ভাইয়া আপনি তো খুব সুন্দর করে টগর ফুলের চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। টগর ফুল গুলো কিন্তু আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আর এটি ঠিক বলেছেন টগর ফুল গাছ ওষুধে গাছ। যাইহোক মন্দির থেকে চমৎকার জংলি টগর ফুলের ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।