ক্রিয়েটিভ রাইটিং - শিশুদের মানসিকতা
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসি, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আজ আপনাদের সাথে একটি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেয়ার করব। যার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে, শিশুদের মানসিকতা।

কলেজ জীবনে আমি দু-বছর চতুর্থ সাবজেক্ট হিসেবে মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা করেছিলাম। সেখানে মনোবিজ্ঞান বইতে লেখা ছিল, শিশুদের মানসিকতার বিকাশ ঘটে তার জন্মের প্রথম পাঁচ বছরেই। অর্থাৎ, শিশুর জন্ম থেকে ৫ বছর হওয়া পর্যন্ত তার মানসিক বিকাশের ৯৯% তখন হয়ে থাকে। বাকি জীবন সে সেই মানসিকতা পরিপক্ব হয়।
যাইহোক, আমার এই লেখার বিষয়বস্তু হচ্ছে শিশুদের মানসিকতা। আমরা সকলেই জানি শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। তারা নিজেরা কিছুই জানেনা। তারা যা কিছু করে, তা তাদের আশেপাশের মানুষদের কাছ থেকে শিখেই করে। একদম শিশুসুলভ কয়েকটি বিষয় বাদে, তাদের সব কাজকর্মই তাদের আশেপাশের মানুষের কাছ থেকে শেখা।
আমার ঘরেই একটি তরতাজা উদাহরণ রয়েছে। তার কানে বেশ ময়লা জমেছে। তার মা সেগুলো পরিষ্কার করবে। কয়েকবার ঘুমের মধ্যে পরিষ্কার করার চেষ্টা করেও সফল হয়নি। অবশেষে, আমরা একটি পরিকল্পনা করলাম। সে যখন আদর নেওয়ার জন্য আমার কোলে উঠে বসলো, তখন আমি কটনবাট নিয়ে নিজেই নিজের কান পরিষ্কার করার ভান ধরলাম। তার হাতেও কটন বাট দেওয়া ছিল। কিছুক্ষণ পর আমার দেখাদেখি সে নিজেও কটনবাট তার কানে ঢুকানোর চেষ্টা করল। যাইহোক, এই পদ্ধতি খাটিয়ে তাকে শেষ পর্যন্ত কান পরিষ্কার করতে সফল হলাম।
আমি মাঝে মাঝে ছবি আঁকা শেখার চেষ্টা করি। যখন আমি আঁকি, সে তখনই সেখানে হাজির হয় এবং হাতে একটি পেন্সিল নিয়ে নিজেও আমার সাথে আঁকার চেষ্টা করে। বিষয়টি আমার বেশ ভালো লাগে। তখন আমিও তার সাথে প্রতিযোগিতা করে ছবি আঁকি। যদিও সবার কাছে এগুলো আঁকিবুকি মনে হয়, কিন্তু আমি জানি, আমি আর আমার ছেলে দুজনে মিলে বেশ সুন্দর একটি ছবি এঁকেছি।
এ কারণে বাবা-মাদের অনেক সচেতন হতে হবে। তারা যদি নিজেরা বাচ্চাদের সামনে মোবাইল, টিভি, এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকে; তাহলে বাচ্চারাও এসবই শিখবে। তারা বইয়ের চেয়ে মোবাইলকে নিয়ে বেশি পড়ে থাকবে। এ বিষয়ে আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয় চৌকস, মেধাবী এবং বুদ্ধিমান। বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী নয়।
ডিভাইস | TECNO SPARK 6 |
---|---|
মডেল | KE7 |
স্থান | বিরুলিয়া, সাভার |
![]() | ![]() |
---|