শারদীয়া কনটেস্ট ১৪৩২, অষ্টমীর ফটোগ্রাফি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগে" প্রতিবারের মতো এবারও শারদীয় কনটেস্ট এর আয়োজন করা হয়েছে। তাই এই কনটেস্টে আমি অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আজ আমি অষ্টমীর ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
★★মহা অষ্টমী★★
থিমের নাম: "সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচিল"।
"এই প্যান্ডেলটি তৈরি করেছে সমাজ সেবী সংঘ। প্যান্ডেলের ভিতরে প্রবেশ করার আগেই প্রথম এই গেটটি পড়বে। প্যান্ডেলের ভেতরে প্রবেশ করার পর কিছু সময়ের জন্য থমকে যাবেন। কারণ শিল্পী খুব দক্ষতার সাথে ভেতরের পরিবেশটা সাজিয়েছে"।
"এই ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি গরুর গাড়ি। যেটি কিন্তু সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি। প্রাচীনকালের মানুষ এই গরুর গাড়িতে করে যাতায়াত করত। তার একটি চিত্র এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে"।
"এই প্যান্ডেলটি শিল্পী ছোট ছোট কাঠ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের চিত্র ফুটে তুলেছে। যেমন এখন যে ছবিটি আপনারা দেখতে পারছেন সেটি হল একটি গাড়ির চিত্র যেটা কিন্তু সম্পূর্ণ কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে"।
"এই চিত্রটি পৃথিবীর মানচিত্রের উপর তৈরি করা হয়েছে। যেখানে আপনারা দেখতে পারছেন একটি রাজ প্রাসাদের সামনের অংশ"।
"এখানে একটু খেয়াল করে দেখলে বুঝতে পারা যাবে এই চিত্রটিতে রয়েছেন দুজন ব্যক্তি একজন সাহেব অন্যজন মেম সাহেব। তাদের মাথার উপর রয়েছে ঝাড়বাতি আরো রয়েছে গাছের লতাপাতা"।
"শিল্পী তার নিখুঁত কাজের মাধ্যমে ছোট ছোট কাঠের টুকরো দিয়ে তৈরি করেছে শিল্প কলকারখানার একটি চিত্র"।
"প্যান্ডেলের ভিতরে যেদিকে চোখ যাবে সেদিকে অবাক হয়ে শুধু দেখতে হবে। সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচিল এটি একটি সিনেমা, তার ভিত্তিতেই এই প্যান্ডেলটি কিন্তু তৈরি করা হয়েছে"।
"প্যান্ডেলের মূল আকর্ষণ কিন্তু মায়ের মুখ। এখানে মাকে সাজানো হয়েছে খুব সাধারণ ভাবে সাধারণ পোশাকে। দেখে মনে হচ্ছে গ্রামের সাধারণ একটি মেয়ে। সব জায়গাতে মাকে কিন্তু সোনা দানা গহনা দিয়ে সাজানো হয়। কিন্তু এখানে সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে সাজানো হয়েছে মাকে। মায়ের মুখখানা দেখে সত্যি মনটা ভরে গেল"।
* মহাসপ্তমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A79 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:30/09/2025
লোকেশন
★★মহা অষ্টমী★★
থিমের নাম:" তামিলনাড়ুর অরুণা চলেশ্বরার মন্দির"।
"এই প্যান্ডেলটি তৈরি করেছে এক ডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাব। এটি হলো প্যান্ডেলে প্রবেশ করার প্রথম গেট যেটি রঙ্গিন আলোতে সাজিয়ে তোলা হয়েছে"।
"এই চিত্রটি সম্পূর্ণ রঙ্গিন আলো দিয়ে একটি মানুষের চিত্র ফুটে তোলা হয়েছে। এটি প্যান্ডেলের ভেতরে যাওয়ার ১০০ মিটার আগে রাস্তার পাশে করা হয়েছে"।
"দুটো রাজহংসী তার উপর একটি মানুষের চিত্র বিভিন্ন ধরনের রঙিন আলো দিয়ে ফুটে তোলা হয়েছে এটি মন্দিরে প্রবেশের ৫০ মিটার আগে"।
"এটি হলো মন্দিরের প্রবেশ করার তামিলনাড়ুর অরুণা চলেশ্বরার মন্দির প্রবেশ গেট। দূর থেকে দেখলে মনে হবে আকাশ ছুঁয়ে গিয়েছে। প্যান্ডেলের কাছে গেলে নিজেকে মনে হবে পিঁপড়ে হ্যাঁ এটাই সত্যি। হয়তো এটি অরিজিনাল নয় কিন্তু অবিকল হুবহু তৈরি করেছে "।
"প্যান্ডেলের ভিতরে প্রবেশ করতেই আপনি রঙ্গিন আলোতে সেজে উঠবেন। কারণ হলো উপরে রয়েছে বিভিন্ন লাইটিং এর ঝাড়বাতি।ঝাড়বাতির আলোতে প্যান্ডেলের ভিতরে পরিবেশটা আরো সুন্দর হয়ে উঠেছে "।
"প্যান্ডেলের চারিপাশে ছোট ছোট খোপ তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি ফুটে তোলা হয়েছে যেমন: শিব, মহাকালী, নারায়ণ, বিষ্ণু, লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, ব্রহ্মা, ইন্দ্র ইত্যাদি "।
"এখানে মা রুদ্ররূপে মহিষাসুরকে বধ করছে এবং তার চারিপাশে লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, স্বরসতী রয়েছে। দুর্গা মাকে বিভিন্ন অলংকারে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এই প্যান্ডেলে লোকের ভিড় অনেকটাই ছিল"।
* মহাসপ্তমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A79 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:30/09/2025
লোকেশন
★★মহা অষ্টমী★★
থিমের নাম:"নব চেতনায় অকালবোধন"।
"এই প্যান্ডেলটি তৈরি করেছে সিংহী পার্কের সদস্যগণ। প্যান্ডেলের প্রবেশের প্রথম গেট যেখানে শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকালের একটি চিত্র আলোক সজ্জার মাধ্যমে ফুটে তোলা হয়েছে"।
"এই ছবিতে আপনারা দেখতে পারছেন বিভিন্ন ধরনের আলোকসজ্জা দিয়ে একটি হাতির চিত্র তৈরি করা হয়েছে"।
"মূল গেট থেকে প্রবেশ করার পর আরো ৩০০ মিটারের মতন পায়ে হেঁটে তারপর মূল প্যান্ডেলে প্রবেশ করতে হবে"।
"প্রচন্ড ভিড় হয়েছিল কিন্তু একটি মুহূর্তে জন্য বোরিং হচ্ছিলাম না। কারণ রাস্তার দু'পাশে বিভিন্ন ধরনের আলোক সজ্জাতে বিভিন্ন ধরনের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যা দেখে মন ভরে যাচ্ছিল"।
"এটি প্যান্ডেলের দ্বিতীয় গেট কিন্তু গেটটি তৈরি করা হয়েছে রাবণের চিত্র দিয়ে এবং এটি প্রতি সেকেন্ডে রূপ পরিবর্তন করছে যা সত্যি মনমুগ্ধ কর"।
"সিংহী পার্কের সদস্যগণ তারা কিন্তু মাকে বিভিন্ন অলংকারে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই প্যান্ডেলটি ছোট কিন্তু এখানে লোকের ভিড় কিন্তু অনেকটাই বেশি। মায়ের সামনে দাঁড়ানো যাচ্ছে না এতটা ভিড় ছিল। চিনময়ী রূপে মা সকল সন্তানদের আশীর্বাদ করছে।
* মহাসপ্তমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A79 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:30/09/2025
লোকেশন
★★মহা অষ্টমী★★
থিমের নাম:"প্রথা"।
এই প্যান্ডেলটি তৈরি করেছে বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। এটি হলো প্যান্ডেলের প্রবেশ গেট।এই প্যান্ডেল টি সম্পূর্ণ কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে"।
এটি প্যান্ডেলের উপরে চিত্র। এই প্যান্ডেলের ভিতরে প্রবেশ করলেই আপনার মনে হবে আপনি কোন বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেছেন"।
দুই তালার একটি সম্পূর্ণ বাড়ি। সেখানে জানলা দরজা সবকিছুই রয়েছে। সম্পূর্ণ কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু একটি মুহূর্ত মনে হবে না এটি কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে। এতটা নিখুঁতভাবে শিল্পী তার কাজটাকে ফুটিয়ে তুলেছেন"।
মায়ের বিভিন্ন রূপ আমরা জানি মায়ের বিভিন্ন রূপ আমরা কিন্তু এই সময়টাতে দেখতে পাই। এই চিত্রতে আপনারা দেখতে পারছেন মায়ের উপরে রয়েছে মহাদেব, বিষ্ণু, ব্রহ্মা তার পাশে রয়েছে গণেশ, লক্ষ্মী, কার্তিক, স্বরসতী। এই প্যান্ডেলটি সাধারণভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে কিন্তু এটি অসাধারণে পরিণত হয়েছে"।
* মহাসপ্তমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A79 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:30/09/2025
লোকেশন
★★মহা অষ্টমী★★
থিমের নাম:"ধ্বনি"।
"এই প্যান্ডেলটি তৈরি করেছে ত্রিধারা সম্মিলনী ক্লাব। এটি প্যান্ডেলের প্রথম গেট গেটের উপরে দেখতে পারছেন একটি সার বসে রয়েছে। এটা কিন্তু সার নয় এটি মহাদেবের প্রিয় ভক্ত নন্দী। এই প্যান্ডেলটিতে আলোকসজ্জা খুবই কম ছিল"।
"যেখানে মানুষ শেষ করে আবার যেখানে মানুষ শুরু করে সেখানেই থাকে দেবের দেব মহাদেব। মহাদেব শ্মশান বাঁশি তিনি শ্মশানে থাকতে পছন্দ করে। তিনি যেমন শ্মশানের ছাই ভস্ম মেখে থাকেন তেমন তার ভক্ত গণ ও ছাই ভস্ম মেখে থাকে। এই চিত্রটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন শিবের সেই পাগল ভক্তরা তান্ডব নিত্য করছে"।
"এই চিত্রটিতে আপনারা দেখতে পারছেন রুদ্ররূপে মা কালী। পৃথিবীতে যখন অশ্রুরদের অত্যাচার বেড়ে যায় তখন মা কালী আবির্ভূত হন। মা কালী দূর্গা মায়ের একটি রূপ"।
"প্যান্ডেলের ভিতর আরো একটি ছোট্ট করে মন্দির তৈরি করা হয়েছে যেখানে মহাদেবের শিবলিঙ্গ স্থাপন করা হয়েছে"।
"প্যান্ডেলের অন্য পাশে গনেশ জির চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। প্রত্যেকটি চিত্রের সামনে দাঁড়ালে আপনার মনে হবে প্রাচীন কোন মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন"।
"এই চিত্রটি একটি সাপের যেটি সম্পূর্ণ লাইটিং দিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। সামনে যেয়ে দেখলে মনে হবে বাস্তব সাপ ফনা তুলে দাঁড়িয়ে আছে"।
" এটি হল প্যান্ডেলের সবথেকে আকর্ষণীয় দুর্গা মায়ের প্রতিমা। মায়ের প্রতিমা দেখে মনে হচ্ছে সম্পূর্ণ কষ্টি পাথরের তৈরি। আর এই প্যান্ডেলটি এত সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো হয়েছে দেখে মন ভরে যাচ্ছে। অল্প আলোতে এত সুন্দর প্যান্ডেল তৈরি করা যায় এখানে না আসলে কখনোই বুঝতে পারতাম না। আমার দেখা সেরা একটি প্যান্ডেল এটি"।
* মহাসপ্তমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A79 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:30/09/2025
লোকেশন
★★মহা অষ্টমী★★
থিমের নাম:"বিশ্বের সবথেকে বড় দুর্গা"।
"এই প্যান্ডেলটি তৈরি করেছে দেশপ্রিয় পার্ক। এই পার্কটি প্রায় ১০ বছর পর দুর্গাপূজা শুরু করলো। দশ বছর পর আবারো কিন্তু সবাইকে চমকে দিল এই প্যান্ডেলটি"।
"এটি তৈরি করা হয়েছে সম্পূর্ণ একটি পঙ্খি রাজের উপর। সম্পূর্ণ গোল্ডেন কালার দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই পঙ্খি রাজের উপর যখন আলোর রশ্নি এসে পড়ছে তখন পঙ্খিরাজ তার রূপ পরিবর্তন করছে"।
"পঙ্খিরাজের উপর আপনারা দেখতে পারছেন চারিপাশে কিন্তু যোদ্ধারা বসে রয়েছে"।
"এই চিত্রটি পঙ্খিরাজের সামনের দিকটি যেখানে আপনারা দেখতে পারছেন একটি ড্রাগনের মুখ। তার মুখের ভিতর দিয়ে যেন অগ্নি বের হচ্ছে"।
"এই চিত্রটি হলো প্যান্ডেলের ভিতরে যাওয়ার গেট। ভিতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে বিভিন্ন লাইটিং এর ঝাড়বাতি। আর ভেতরটি সম্পূর্ণ গোল্ডেন কালার দিয়ে সাজানো হয়েছে"।
"এই চিত্রটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন মহাদেবের একটি রুম। যার এক হাতে রয়েছে ত্রিশূল এবং মাথার উপরে রয়েছে সিংহের মুখ। শিল্পী তার নিখুঁত হাতে মহাদেবের এই রূপটি অপূর্ব ভাবে সৃষ্টি করেছে"।
"এটি হল দেশপ্রিয় পার্কের মা দুর্গার প্রতিমা। খুব সাধারনভাবে মা দুর্গাকে সাজানো হয়েছে। মায়ের শরীরে অলংকারের মাত্রা খুব কম ছিল। কিন্তু তারপরেও মা দুর্গা মাকে দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল।যেহেতু দেশ প্রিয় পার্ক ১০ বছর পর পূজা শুরু করেছে তার চমক টা তো একটু অন্যরকমই হবে। সত্যি বলতে মন ভরে গেল মায়ের মুখখানা দেখে।
* মহাসপ্তমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A79 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:30/09/2025
লোকেশন
আজ পোস্টটি এখানে শেষ করছি। সবাই খুব ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।
Wow, @saikat890, your মহা অষ্টমী photography is absolutely captivating! The way you've captured the essence of each pandal, highlighting the unique themes and artistry, is truly remarkable. From the nostalgic charm of "সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচিল" to the grandeur of "তামিলনাড়ুর অরুণা চলেশ্বরার মন্দির" and the innovative designs of the others, it feels like a virtual tour of the Durga Puja festivities.
I especially appreciate how you've described each scene, giving context to the stunning visuals. The details about the "বিশ্বের সবথেকে বড় দুর্গা" at Deshapriya Park are mind-blowing! The effort and creativity poured into these celebrations are truly inspiring. Thank you for sharing these vibrant glimpses of culture and tradition. Everyone, be sure to check out @saikat890's post and share your thoughts on your favorite pandal!