প্রিয় পরিবারের,

সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করি বন্ধুরা আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে। যদিও সবার সময় ব্যস্ত যাচ্ছে কিন্তু শত ব্যস্ততার মাঝেও আমরা ভালো থাকার চেষ্টা করি। আমি মনে করি যত ব্যস্ত থাকা যায় জীবন ততই সুন্দর। কারণ ব্যস্ত থাকা মানে আমাদের জীবনটা খুব সুন্দর নিয়মের ভিতরে চলে। আমরা যখন কর্মব্যস্ত থাকি আমরা আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকি। আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকলে খুব সুন্দর ভাবে জীবন অতিবাহিত করা যায়। তাই আমি মনে করি কর্মই জীবন কর্মই শান্তি। যে জীবনে কর্ম নেই সে জীবন আসলে অবহেলিত। অবহেলিত জীবন মানেই খুব হতাশা জনক ব্যাপার। আমি চাই সবাই ব্যস্ত থাকেন সুন্দর সময় কাটান পরিবারের সবাইকে নিয়ে দিন শেষে। বন্ধুরা আজকে হাজির হয়েছি একটি রেসিপি নিয়ে। যদিও রেসিপি করা খুবই কষ্টকর হয়ে গেছে আমার জন্য ইদানিং। যেহেতু তেমন শারীরিকভাবে সুস্থ নয় তাই রেসিপি তৈরি করা বেশ কঠিন হয়ে যায়।

কেমন জানি সপ্তাহে একটি করে রেসিপি শেয়ার করতে না পারলে ভালো লাগে না। তাই চেষ্টা করি শত ব্যস্ততার মাঝে শত কষ্টের মাঝেও রেসিপি পোস্ট শেয়ার করতে। আমরা যতই অসুস্থ থাকি না কেন যতই কর্মব্যস্ত থাকি না কেন আমাদেরকে খাবার খেয়ে বাঁচতে হয়। তাই দৈনন্দিন জীবনে আমাদের রান্না বান্না গুলো করতে হয়। বিশেষ করে আমরা বিকেল বেলা কিংবা অন্যান্য সময় বিভিন্ন ধরনের নাস্তা তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করি। যদিও আমরা মাঝেমধ্যে বাইর থেকে খাবার কিনে খেয়ে থাকি। কিন্তু বেশির ভাগ সময় বাইরের খাবারগুলো খেতে খুব বেশি বাজে লাগে। তাই আমরা সময় সুযোগ পেলে কিছু তৈরি করার চেষ্টা করি। ঘরে যদি কিছু তৈরি করি তাহলে বাচ্চারা খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। তাই আমি আজকে একটি নাস্তার রেসিপি তৈরি করেছি। বিকেল বেলায় খাওয়ার জন্য সুজি দিয়ে খেজুর পিঠা তৈরি করেছিলাম। এই পিঠাগুলো বাচ্চারা খেতে খুব বেশি পছন্দ করে। তাছাড়াও চাইলে অনেক দিন সংগ্রহ করে রাখা যায়। সেই রেসিপিটি আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিব—

রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ |
সুজির খেজুর পিঠা তৈরীর ধাপ সমূহঃ
রান্নার ধাপ-১
বন্ধুরা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন প্রথমে আমি উপকরণসমূহ সবগুলো সাজিয়ে নিয়েছি পরিমাণ মতো।

রান্নার ধাপ-২
এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমি বড় একটি পাত্রের মধ্যে সুজি নিয়েছি। এরপরে অন্যান্য উপকরণ গুলো নিয়েছি যেগুলো আমি আগে আপনাদেরকে উল্লেখিত পরিমাণে দেখিয়েছি।

রান্নার ধাপ-৩
যখন সব উপকরণ গুলো দেওয়া শেষ তখন আমি হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিব সবগুলো। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমি হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিচ্ছি।

রান্নার ধাপ-৪
যখন সুজি মেখে নেওয়া শেষ তখন চুলায় একটি পাত্র বসায় দিলাম সেখানে পরিমাণ মতো তেল দিলাম। যখন তেল হালকা গরম হয়ে আসে তখন মেখে রাখা সুজি অল্প পরিমাণ নিয়ে একটি জালির মধ্যে চাপ দিয়ে খেজুর ডিজাইনের তৈরি করে নিয়েছি। এভাবে তৈরি করে তেলের মধ্যে ছেড়ে দিয়েছি।

রান্নার ধাপ-৫
খুব অল্প আঁচে সাবধানে সুজির পিঠাগুলো ভেজে নিতে হবে। কারণ বেশি জ্বাল দিলে সুজির পিঠাগুলো পুড়ে একদম কালো হয়ে যায় সেজন্য নেড়েচেড়ে অল্প আঁচের মধ্যে ভেজে নিতে হয়। ভেজে নেওয়া শেষ হয়ে গেলে একটি প্লেটের মধ্যে তুলে নিয়েছি।

রেসিপির পরিবেশনা
আমার আজকের শেয়ার করা সুজির পিঠা আপনাদের দেখে কেমন লাগলো বন্ধুরা। আশা করি আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগবে। এই পিঠা গুলো একটু সময় দিয়ে তেলের মধ্যে ভেজে নিলে খেতে খুব ভালো লাগে। একটু মিষ্টি বাড়িয়ে দিয়েছি বাচ্চারা যেহেতু খাবে তাই মিষ্টির পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে খেতে খুব সুস্বাদু হয়। তাছাড়াও এভাবে যদি ভেজে নেওয়া যায় তাহলে বেশ কয়েকদিন সংগ্রহ করে রাখা যায়। বিকেল বেলা কিংবা অন্যান্য সময় খেতে খুব ভালো লাগে। আশা করি আমার আজকের শেয়ার করা রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আপনাদের কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না। সময় দিয়ে দেখার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।





ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
@samhunnahar
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।



আপু আপনার সুজি দিয়ে খেজুর পিঠা তৈরির রেসিপি দেখে ভীষণ খেতে ইচ্ছে করছে। খুবই লোভনীয় ও আকর্ষণীয় হয়েছে দেখতে। আর প্রতিটি ধাপ তুলে ধরেছেন স্পষ্ট ভাবে দেখে ভালো লাগলো।
আপু কম সময়ের মধ্যে একদম সহজে তৈরি করে নিতে পারবেন। আপনিও তৈরি করে নেন একদিন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মজার মজার খাবার খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ তো একেবারে কম রয়েছে। আমার তো মনে হয় একটাও নেই। আমরা সবাই কিন্তু মজার মজার খাবার খেতে অনেক পছন্দ করি। এ ধরনের পিঠা রেসিপি গুলো দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে শুধু। তেমনি আপনার সুজি দিয়ে খেজুর পিঠা তৈরির রেসিপিটা দেখে আমার অনেক লোভ লেগেছে। আর ইচ্ছে করছে খেয়ে নিতে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি সুজি দিয়ে খেজুর পিঠা তৈরির রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলছেন যে কোন পিঠা আমারও খেতে ভালো লাগে। আর পিঠা দেখলে তো জিভে জল চলে আসে সেটা স্বাভাবিক।
আরে ওয়াহ, আপনি তো বেশ সুন্দর সুজির পিঠে বানিয়েছেন আর কি সহজ ভাবেই একটা ডিজাইন দিয়েছেন। খুব মুচমুচে হয়েছিল নিশ্চই খেতে৷ লোভনীয় রেসিপি৷
ঠিক বুঝতে পারছেন দিদি খাওয়ার সময় অনেক মুচমুচে ছিল।
https://x.com/nahar_hera/status/1843354340792381689?t=FInSsnv1XkK1NVubC0mj9w&s=19
আপু আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে সুজি দিয়ে খেজুর পিঠা তৈরির রেসিপি শেয়ার করেছেন। বেশ কিছুদিন আগে এই রেসিপি বাড়িতে তৈরি করে খাওয়া হয়েছিল সত্যি খেতে বেস সুস্বাদ। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরির প্রসেস আমাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ওয়াও তাহলে তো আপনার রিসিপির সাথে আমার রেসিপি মিলে গেল আজকে।
ঠিকই বলেছেন আপু যে জীবনে কর্ম নেই সেই জীবন অবহেলিত। আর্থিক স্বচ্ছলতা টা প্রায় সবাই চাই। সুজি দিয়ে খেজুর পিঠা টা দারুণ তৈরি করেছেন আপনি। পিঠা টা দেখতে অনেক টা খেজুরের মতো। এই পিঠা প্রথম দেখলাম। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথৃ পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
যেখানে কর্ম থাকে সেখানে স্বচ্ছলতা থাকে এবং আনন্দ থাকে।
আপু আপনি অনেক সুন্দর করে সুজির পিঠা বানিয়েছেন। এগুলো নিশ্চয়ই অনেক মুচমুচে ও সুস্বাদু ছিল। আর তৈরি পদ্ধতি ও অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
খুব সহজ ভাইয়া আপনিও তৈরি করে নিতে পারবেন এই রেসিপি।
দারুন একটা পিঠা আজ আপনি আমাদের মাঝে তৈরি করে দেখালেন। এত সুন্দর ক্রিটিভিটি রয়েছে এই পিঠার মধ্যে তা কিন্তু আপনার পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে। কেননা পিঠার উপর যে ডিজাইনটি আপনি তৈরি করলেন সেটি কিন্তু অনেকটা ক্রিয়েটিভ টাইপের। এছাড়া আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই পিঠা তৈরির বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভালো লাগলো দাদা আপনার কাছ থেকে এত সুন্দর অনুপ্রেরণামূলক মতামত পড়তে পেরে।
সুজি দিয়ে খেজুর পিঠা তৈরি করে নিয়েছেন দেখে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে। গরম গরম এবং মুচমুচে পিঠা খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। তেমনি আপনার তৈরি করা সুজি দিয়ে খেজুর পিঠা দেখে লোভ লেগে গেল। পিঠাগুলো তৈরি করার পর সুন্দর করে পরিবেশন করেছেন। নিশ্চয়ই গরম গরম মজা করে খেয়েছিলেন। কেউ চাইলে এই পিঠা সহজে তৈরি করে ফেলতে পারবে।
আপু কি আর তৈরি করব যখন পিঠা তৈরি করছিলাম তখন বাচ্চারা নিয়ে খেয়ে ফেলছিল সব 😊😊।