নীল আকাশের নিচে, সবুজে মোড়া গ্রামীণ প্রকৃতির বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্ৰাফি।।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

প্রিয় হিন্দু ভাই-বোনদের জন্য আদাব ও ভালোবাসা 💗🙏। আমার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্নেহ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি, মহান আল্লাহর রহমতে এবং একে অপরের ভালোবাসায় আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও বেশ ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য,এই প্ল্যাটফর্মের সাথে আমার যাত্রা প্রায় এক বছর ধরে। সত্যি বলতে, এখানে আসতে পেরে আমার মনে হচ্ছে ! যেন নিজের আর একটি নতুন পরিবার খুঁজে পেয়েছি। প্রতিটি লেখা, প্রতিটি মন্তব্য, প্রতিটি বন্ধুত্ব আমাকে দিয়েছে আনন্দ, ভালোবাসা এক নতুন অধ্যায়ের স্বাদ।আজকে আমি আপনাদের সাথে নীল আকাশের নিচে, সবুজে মোড়া প্রকৃতি গ্রামীণ দৃশ্যর বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্ৰাফি শেয়ার করবো ।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

নীল আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে যখন চারপাশের দিকে তাকাই, তখন চোখের সামনে যেন এক অপূর্ব দৃশ্যপট খুলে যায়। কোথাও মেঘে ঢাকা হালকা সাদা আকাশ, আবার কোথাও টলটলে নীল আকাশের ফাঁকে সূর্য ছোঁয়া আলো। গাছের ডালে ডালে খেলা করা হাওয়া আর আকাশের এই রঙ বদল যেন প্রকৃতির নিজস্ব কাব্য রচনার মতো। আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলো এমনভাবে ছায়া ফেলেছে, যেন প্রকৃতি নিজেই আঁকছে এক নিরবচ্ছিন্ন চিত্রপট, প্রতিটি রঙে মিশে আছে একধরনের শান্তি, নির্ভরতা আর নীরবতার ভাষা।এই নিরবতা কেবল বাহ্যিক নয়, যেন মনকেও ধীর করে দেয়, চিন্তাকে স্বচ্ছ করে তোলে। এ এক ধরণের আবিষ্কার নিজেকে, প্রকৃতিকে এবং জীবনের নিঃশব্দ সৌন্দর্যকে নতুন করে চিনে নেওয়ার মুহূর্ত।

আলোর ভেলায় যেন গাছগুলো নিজেদের রূপটিকে আরও গভীর করে তুলেছে। সবুজ পাতার উপর আলো-ছায়ার খেলা, মাঝে মাঝে দূরের পাতা গুলোয় হাওয়ার ঝাপটা, এক অভূতপূর্ব গ্রামীণ দৃশ্য, যা কেবল মনকেই নয়, চোখকেও প্রশান্ত করে। কিছু ছবিতে দেখা যাচ্ছে দূরের মাঠ আর বিস্তৃত সবুজ বনানী, যেখানে দিগন্ত রেখা আকাশের সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে গেছে। এমন দৃশ্য দেখলে মন অবচেতন ভাবেই ছুটে যেতে চায় সেই ফেলে আসা দিনগুলোর কাছে, যেখানে প্রকৃতির সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠত আপন মনেই।সেই সম্পর্ক আজও টিকে আছে মনে-মগজে, তবে ঢাকা পড়ে গেছে ব্যস্ততার ধুলোতে। কিন্তু এমন দৃশ্যপট দেখে আবারও হৃদয়ের কোথাও উঁকি দেয় সেই পুরোনো টান।যেখানে প্রকৃতি মানে শুধু দৃশ্য নয়, অনুভবেরও এক অপার আশ্রয়।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে লম্বা গাছের সারি ঘেরা একটি গ্রামের পথ, যার দুই ধারে সবুজ গাছ ও ছোট ছোট গৃহস্থ বাড়ি। এই পথ যেন শুধুই চলার জায়গা নয়, এটি স্মৃতির রেখা। এমন পথে একা হাঁটলে সময় থেমে যায়, মন কথায় কথা বলে, আর চারপাশের প্রকৃতি নিজের ভাষায় বলে যায় অজস্র গল্প। পেছনে পড়ে থাকা গ্রামের সেই চেনা গন্ধ, সেই বৃষ্টিভেজা মাটির স্মৃতি, সবকিছু যেন ছবি হয়ে ফিরে আসে। এই পথ কেবল চলার নয়, নিজেকে খোঁজার, ফিরে দেখার এবং প্রকৃতিকে ছুঁয়ে দেখার সুযোগ এনে দেয়।আরও কিছু ছবিতে আছে প্রান্তরের নীরবতা। ধানক্ষেতের সবুজ বিস্তার, মাঝে মাঝে কিছু পাখির আনাগোনা, আর দূরে মেঘে ঢাকা নীল আকাশ সব মিলিয়ে এক শান্তির জগৎ। যেন প্রকৃতি নিজেই গায়ে জড়িয়ে রেখেছে নির্জনতা আর সৌন্দর্যের চাদর। এরকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের বারবার মনে করিয়ে দেয়, আমরা প্রকৃতির সন্তান, আর প্রকৃতিই আমাদের আশ্রয়। আমরা যতই শহরের ব্যস্ততায় জড়িয়ে পড়ি না কেন, প্রকৃতির টান থেকে কেউ মুক্ত নয়।

গ্রামের ছোট ছোট দৃশ্য রাস্তার পাশে লাল-সাদা দাগ দেওয়া বাঁশের খুঁটি, নিচে জংলা গাছপালা, ওপরে নীল আকাশের আলো সব একত্রে যেন এক জীবন্ত ছবি। এই ফ্রেম গুলো কেবল দৃষ্টির তৃপ্তি নয়, বরং হৃদয়ের খোরাক। এমন দৃশ্য পটের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। এখানে নেই কোনো কৃত্রিমতা, নেই কোনো কোলাহল ।শুধু প্রকৃতির সহজ সরল রূপ, যা হৃদয়ের গভীর ছোঁয়া দিয়ে যায়।এই ছবিগুলোর প্রতিটা ফ্রেম যেন বলে যাচ্ছে, প্রকৃতি কতটা উদার, কতটা শান্তিপূর্ণ এবং কতটা প্রাণবন্ত হতে পারে। এটি শুধুমাত্র আলোকচিত্র নয়, এটি সময়ের এক খণ্ড স্মৃতি, অনুভূতির প্রতিফলন। শহরের যান্ত্রিকতা থেকে একটু দূরে এসে যদি এমন একটি দিন কাটানো যায়, তবে আত্মাও যেন হালকা হয়ে যায়। প্রকৃতির কাছে ফিরে আসাই যেন আসল শান্তির পথ।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

প্রিয় হিন্দু ভাই-বোনদের জন্য আদাব ও ভালোবাসা 💗🙏। আমার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্নেহ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি, মহান আল্লাহর রহমতে এবং একে অপরের ভালোবাসায় আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও বেশ ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য,এই প্ল্যাটফর্মের সাথে আমার যাত্রা প্রায় এক বছর ধরে। সত্যি বলতে, এখানে আসতে পেরে আমার মনে হচ্ছে ! যেন নিজের আর একটি নতুন পরিবার খুঁজে পেয়েছি। প্রতিটি লেখা, প্রতিটি মন্তব্য, প্রতিটি বন্ধুত্ব আমাকে দিয়েছে আনন্দ, ভালোবাসা এক নতুন অধ্যায়ের স্বাদ।আজকে আমি আপনাদের সাথে অনুভূতি শেয়ার করবো ।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।