জেনারেল রাইটিং: গ্রামের মাঠ প্রকৃতির অবারিত মহিমার আঙিনা

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

প্রিয় হিন্দু ভাই-বোনদের জন্য আদাব ও ভালোবাসা 💗🙏। আমার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্নেহ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি, মহান আল্লাহর রহমতে এবং একে অপরের ভালোবাসায় আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও বেশ ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য,এই প্ল্যাটফর্মের সাথে আমার যাত্রা প্রায় এক বছর ধরে। সত্যি বলতে, এখানে আসতে পেরে আমার মনে হচ্ছে ! যেন নিজের আর একটি নতুন পরিবার খুঁজে পেয়েছি। প্রতিটি লেখা, প্রতিটি মন্তব্য, প্রতিটি বন্ধুত্ব আমাকে দিয়েছে আনন্দ, ভালোবাসা এক নতুন অধ্যায়ের স্বাদ।আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো ।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

Source

গ্রামের মাঠ যেন প্রকৃতির এক অমূল্য দান, যেখানে প্রতিটি দৃশ্য জীবনের একেকটি রঙে ভরে ওঠে। ভোরের আলো ফুটতেই সবুজ মাঠ জেগে ওঠে শিশির ভেজা ঘাসের মখমল বিছানায়। সকালের হালকা কুয়াশার ভেতর দিয়ে সূর্যের প্রথম রশ্মি যখন মাঠের বুক ছুঁয়ে যায়, তখন মনে হয় প্রকৃতি যেন নতুন করে তার রূপ খুলে ধরেছে মানুষের সামনে। এ মাঠের প্রতিটি ইঞ্চি জমি মানুষের পরিশ্রম, ভালোবাসা আর স্বপ্নের গল্প বলে যায়।গ্রামের মাঠ শুধু ধান, গম বা শাকসবজির আবাদ নয়।

এটি হলো জীবনের স্পন্দনের প্রতীক। কৃষকরা ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই মাঠে ছুটে যায়, হাতে থাকে লাঙল বা আধুনিক যন্ত্রপাতি। তাদের ঘামে ভিজে ওঠা মাঠই পরিণত হয় সোনালী ফসলে। মাঠ তাই শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য নয়, এটি জীবিকার অন্যতম অবলম্বন। এখানে প্রতিটি ঋতু নিয়ে আসে আলাদা রূপ, আলাদা সৌন্দর্য। কখনো মাঠ ভরে ওঠে সোনালী ধানের শীষে, কখনো সবুজের সমারোহে, আবার কখনো রঙিন সরিষা ফুলের হাসিতে।

গ্রামের মাঠ প্রকৃতির এক মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ও বটে। শিশুদের খেলা, পাখির গান, আর গরু ছাগলের চরাই মাঠকে করে তোলে এক অনন্য আঙিনা। মাঠে দাঁড়িয়ে দূরে তাকালে দেখা যায় দিগন্তজোড়া সবুজ, যেখানে আকাশ আর জমিন এক বিন্দুতে মিশে গেছে। এ দৃশ্য শহরের কোলাহল থেকে মুক্তি এনে দেয়, মনে জাগায় শান্তি আর প্রশান্তি। মানুষের মনকে সতেজ করে তোলে মাঠের এই অবারিত সৌন্দর্য।বৃষ্টির দিনে মাঠের রূপ একেবারেই ভিন্ন।

চারদিকে জমে ওঠা পানি যেন আয়নার মতো প্রতিফলিত করে আকাশের নীল রঙ। বৃষ্টির ফোঁটায় যখন ধানের চারা দুলতে থাকে, তখন মনে হয় প্রকৃতি যেন সুর তুলেছে অদৃশ্য বাঁশিতে। শরতের সাদা কাশফুলে ভরা মাঠ আবার এক ভিন্ন কবিতার জন্ম দেয়, যেখানে প্রকৃতি নিজেই কবি, আর তার প্রতিটি দৃশ্য কবিতার পংক্তি।সন্ধ্যা নামলে গ্রামের মাঠে নেমে আসে অন্য রকম আবহ। আকাশ জুড়ে লালচে রঙের আভা ছড়িয়ে পড়ে, পাখিরা ফিরতে থাকে নীড়ে।

মাঠ তখন শান্ত, নিস্তব্ধ, তবুও তার ভেতরে লুকিয়ে থাকে এক অদৃশ্য মহিমা। এই নীরবতায় মানুষ খুঁজে পায় শান্তির ছোঁয়া, প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মতার অনুভূতি।গ্রামের মাঠ তাই শুধু জমি নয়, এটি প্রকৃতির এক অবারিত মহিমার আঙিনা। এখানে জীবন, সৌন্দর্য, শ্রম আর আনন্দ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। যিনি একবার এই মাঠের বুক ভরে শ্বাস নিয়েছেন, তিনি জানেন প্রকৃতির আসল রূপ কতটা পবিত্র, কতটা মহিমান্বিত। শহরের ইটপাথরের ভিড়েও তাই মন বারবার ফিরে যেতে চায় সেই গ্রামের মাঠে, যেখানে প্রকৃতি এখনো তার অবারিত সৌন্দর্য নিয়ে অটুট, অক্ষয় আর চিরন্তন।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।