গল্প পোস্ট ||| ‎শেষ চিঠি পর্ব-০৭||| original writing by @saymaakter.

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago

আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সকলে সুস্থ আছেন এবং সপরিবারে ভালো সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ পরিবারসহ বেশ ভালো আছি।

woman-3037154_1280.jpg
source

আজকে আবারো আপনাদের মাঝে আমি আমার ছোট গল্প "শেষ চিঠি পর্ব-০৭" নিয়ে হাজির হয়েছি।এই গল্পের বিগত পর্বগুলো পড়ে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আর আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য গুলো পড়ে, গল্প লেখার আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পর্বে কি আছে তা দেখে নেওয়া যাক।

আমি আর কতদিন এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকব তুই আমাকে সময় কাটানোর জন্য একটি বউ মা এনে দে। আসে তার মার কথা শুনে বলল মা তুমি তো জানোই আমার সব ঘটনা সব কথা নতুন করে আর বলার কিছুই নেই আমি তোমাকে সব কিছু দিতে পারব কিন্তু তোমার এই কথা আমি রাখতে পারব না। প্রিয়াকে এই জীবনে ভুলতে পারবো না প্রিয়া আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেছে তবে আমার বিশ্বাস একদিন না একদিন আমি প্রিয়াকে খুঁজে পাবোই।সত্যিকারের ভালবাসি বেসেছিলাম প্রিয়াকে আর সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো মিথ্যে হয় না।

আশিকের মা আশিক কে বলল বাবা আমি তোমাকে কষ্ট দিয়ে ফেলেছি তোমাকে আর আমি কষ্ট দেবো না। তোমার যা ইচ্ছা তুমি করো তবে তোমাকে আমি আর কষ্টের ভিতর ফেলবো না জীবনে অনেক কষ্ট করেছো এবার একটু সুখ থাকো বাবা। এই বলে মা ছেলে নতুন ফ্ল্যাটে সুখ শান্তিতে বাস করতে লাগলো।আশিক তার মায়ের যত স্বপ্ন সব পূরণ করল চেষ্টা করলাম। জীবনে অনেক কষ্ট করেছে তাই তো আমার যত পোশাক যত খাওয়ার জিনিস আছে সব কিছুই মানা চাইতে মাকে কিনে দিত। আশিকের মা সেসব জিনিস দেখে প্রচণ্ড কান্না করতে এবং বলতো এগুলো আমি কখনো চোখে দেখিনি তোর বাবা চলে যাওয়ার পর তোকে কত কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে মানুষ করেছি।

আজ আল্লাহ আমার কষ্টের প্রতিদান দিলো। একদিন আশিকের বন্ধু তমাল হঠাৎ করে বলল দোস্ত আমার বিয়ে। তোকে সব কিছু আয়োজন করতে হবে আমার তো আর ভাই বোন নাই তুই আমার ভাই তুই আমার বন্ধু তুই সব। তমাল এর বিয়ের আয়োজন অনেক বড় করে করা হলো। আশিক সব কিছুর আয়োজন করেছে। কিন্তু আসিক তো তমালের হবু বউকে দেখেনি। যেদিন বরপক্ষ কনের বাড়িতে গেল। সেদিন অনেক খুশি মনে আশিক তার মা তমা তমাল এ আত্মীয়-স্বজন সবাই গিয়েছিল।

কিন্তু যখন আশিক দেখলো তমালের হবু বউ আর কেউ নাই তারই ভালোবাসার মানুষ প্রিয়া। আশিক তামালকে আর কিছু বলল না না বলে চুপচাপ নিজের কষ্ট নিজের মাঝে রেখে দিল। কিন্তু আশিক কিছুতেই প্রিয়ার সামনে পড়তে চাচ্ছিল না এবং আশিক তামাল কে বলল তমাল আমার খুব কষ্ট লাগছে আমি একটু বাইরে যাব কিছু মনে করিস না দোস্ত আমার খুব খারাপ লাগছে শরীর অসুস্থতা ফেল হচ্ছে।তো আশিকের মা সবকিছু বুঝতে পেরেছে এবং আশিকের সঙ্গেই চলে এসেছে আশিকের মা। সেদিন রাতে মা ছেলে দুজন বলতে লাগলো সৃষ্টিকর্তা আমাদের সাথে এ কোন খেলায় মেতে উঠেছে। যাকে এতটা ভালবাসি আজ তার চোখের কাটা হবো না তো।

কারণ আমার জীবনের সফলতার সব কিছুই একজনের জন্য হয়েছে আর সে হচ্ছে তমাল।তমালকে আমি কখনো কষ্ট দিতে পারব না।তমাল যখন তার বউকে তার বাসায় নিয়ে আসে তখনও তাদের পাশে আশিককে পাওয়া গেল না।আশিক কে ফোন করতে করতেযখন ফোন অফ ছিল ফোনে পাওয়া গেল না তখন তমাল চলে গেল আশিকের বাসায়।আশিকের বাসায় গিয়ে দেখে আশিকের চোখ মুখ কেমন যেন ফোলা ফোলা। আশিকের মাকে জিজ্ঞাসা করতেই বললো ও একটু অসুস্থ ফেল করছে বাবা।তোমার কোন কথা না বলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার কে ফোন দিল।ডাক্তার বলল তেমন কিছু না হয়তো কোন টেনশন করছে। তারপর মাসিকের এই অবস্থা দেখে তমাল চলে গেল তার বাসায়।কিছুদিন তমালদের বাসায় আর আশিক গেল না।

তমাল এতটাই তার ওয়াইফ পিয়াকে আশিকের কথা বলেছিল যে আমার একটি বন্ধু আছে সে অনেক ভালো তাকে ছাড়া আমি কখনো কোন কাজ করিনি সে আমার জীবনের আমার ব্যবসার সবকিছুর প্রেরণা অনেক সৎ ছেলেটি। একদিন প্রিয়া তমালকে বলল কোথায় তোমার সেই বন্ধুত্ব একবারও এলো না। তাই একদিন আশিককে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে এলো কামালের বাসায়। তমাল আশিককে নিয়ে এসে প্রিয়াকে বলছে প্রিয়া এইতো আমার সব থেকে প্রিয় বন্ধু চলে এসেছে।

আমার পরিচয়।

আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।

🇧🇩আল্লাহ হাফেজ🇧🇩

jnusq1Poy5a6FAcNT2ZJbuWBfw9vZex94Aucd6PoC8arjzkSd1TrgjnUQ92egMVBUBgY16AxTkPk8iutPydufw4c7P9FEW97wMZn52aJiZ...B7nRTXjNF5j7jo3UnR1bTmkwcW7kzfu1SuW9wuW9LbqKdskJWSgTciVSXVdYsW3ATLJVNxgL3oJPXmroZFoHhcFbm9518Ubq7J21bU6LZ5cjnd5b8AzThmsSX.webp

Messenger_creation_C0CFA08A-1A71-4C46-A406-1B2E6C0518BD.png

Messenger_creation_D04E6D07-EB13-429B-90AA-415E8FBB298A.png

Messenger_creation_EBBFAD6C-E031-4A75-98E8-ACEAD8EFF41F.png