অনুভূতিমূলক পোস্ট ||| সবাই মিলে বাঁচি ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সকলে সুস্থ আছেন এবং সুন্দরভাবে পরিবার নিয়ে ভালো সময় পার করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
আজকে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হতে চলেছি।আমার ব্লগগুলো আপনাদের কতটুকু দৃষ্টি আকর্ষণ করছে বা হৃদয়ে স্থান পাচ্ছে তা আসলে আপনাদের মন্তব্য গুলো পড়ে মোটামুটি বুঝতে পেরেছি।আজকে বাংলাদেশে একটি আকর্ষিক দুর্ঘটনা আমাকে অনেক বেশি চিন্তিত করেছে।সেই বিষয়টি নিয়ে আমার চিন্তাভাবনাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
হঠাৎ করে স্কুলের ওপরে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পড়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যে দুর্ঘটনাটি ঘটলো এতে কত জীবনের সমস্যার সৃষ্টি হল তা আসলে লিখে শেষ করার মতো নয়।এই বিদ্যালয়ে যে ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া করত, তারা কোন দিন চুলার আগুনের যে তাপ সে তাপ তাদের স্পর্শ করতে পারেনি। কারণ তাদের বাবা-মা এতো বেশি আদর যত্নে তাদেরকে মানুষ করেছে যে এই ছেলে-মেয়েরা কোন দিন চুলার আগুন এর কাছে যায়নি কিন্তু আজকে বিধাতার কি নিয়ম যে তাদেরকে দগ্ধ অবস্থায় তার বাবা-মার চোখের সামনে হাজির হতে হলো।
আজকে বাবা মা গুলো কিভাবে এই কষ্ট সহ্য করবে তা মাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন। প্রতিটি বাবা-মাকে মহান আল্লাহতালা ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করুক এবং প্রতিটি বাচ্চাকে খুব দ্রুততার সঙ্গে সুস্থতা দান করুক এই প্রার্থনায় মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে করি। এ ছাড়া আমাদের কি আর কোন উপায় আছে?
এ পৃথিবীতে আমরা এসেছি দুদিনের জন্য কিন্তু আমরা মনে করি আমরা কোনদিন এই পৃথিবী থেকে চলে যাব না। যার জন্য সবকিছু আমরা করছি ঠিক নিজেকে একটি ভালো অবস্থানে দাঁড় করানোর জন্য কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা যদি চায় সবকিছু করা শেষ কিন্তু আমরা নেই। তাহলে এত কিছু করার কোন দরকার আছে কি? তাই আমাদের সকলের উচিত সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে মিলেমিশে বেঁচে থাকা, সেটির মধ্যে আমার মনে হয় বেশি সফলতা এবং সৌন্দর্যবোধ রয়েছে।
বর্তমান মিডিয়া বান্ধব সমাজে অনেকেই ফটোগ্রাফি করার জন্য এই দুর্ঘটনা কবলিত স্থানে যায়,বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি নিয়েই ব্যস্ত থাকে।আবার তাদের ফটোগ্রাফি গুলো সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্নভাবে প্রচারিত হয় এবং অনেক ফলোয়ার ও ভিউ পাওয়া যায়। বাস্তবিক অর্থে একজন মানব অন্য একজন মানবের দুঃসময়ে ফটোগ্রাফি করা কি ঠিক?
তাই আসুন সবাই মিলে এক হয়ে এক কাতারে দাঁড়িয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমাজ গড়ি আর নয় তাড়াহুড়া, আর নয় হিংসা হিংসি,এখন সবাই মিলে এক সঙ্গে এক পরিবেশে বাঁচি।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।