অনুভূতিমূলক পোস্ট ||| বছর কয়েক পর হঠাৎ কথা ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই বোনেরা আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
source
বরাবরের মতো আবারও হাজির হলাম আপনাদের মাঝে ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট নিয়ে। আমি আজ আপনাদের মাঝে অনুভূতিমূলক একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ অনুভূতিমূলক পোস্ট "বছর কয়েক পর হঠাৎ কথা" নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল কথায় যাওয়া যাক।
সত্যি কথা বলতে আমার কেন জানি সবার সঙ্গে যোগাযোগ একটু কম হয় । একটা সময় আমি এতটা মিশুক ছিলাম বন্ধু বান্ধব সবাইকে নিয়ে অনেক আনন্দ করতাম। স্কুল কলেজ বন্ধ হলেই মিস করতাম শুক্রবার। মনে হতো কখন শুক্রবার চলে যাবে আবার সবার সঙ্গে কথা যোগাযোগ হবে।
আমরা কমার্স গ্রুপের বন্ধু বান্ধবীরা ছিলাম অন্যরকম। সবাই যেন সবার এক একটি আত্মা। প্রতি সপ্তাহে চলতো টি পার্টি বিভিন্ন খাবার আয়োজন। সবাই মিলে অল্প কিছু টাকা দিয়ে সামান্য কিছু কিনলেও তার ভিতরে ছিল কত আনন্দ। একজন আরেকজনের সাথে খাওয়া। কেড়ে নিয়ে খাওয়া সত্যিই সেই দিনগুলো কত মিস করি। কেউ একদিন কলেজ অথবা স্কুলে না আসলে অন্যজন তার হ্যান্ড নোট টা নিয়ে বাসায় গিয়ে পৌঁছে দিত।কারণ সবাই চাইতো এখানে কমার্স গ্রুপের সবাই ভালো রেজাল্ট করুক।
আর জন্মদিন হলে তো কথাই নেই। কত রকমের গিফট আনন্দ হতো যার জন্মদিন হতো তার বাসায়। অনেকদিন যোগাযোগ হয় না কারোর সঙ্গে সেই বন্ধুদের সঙ্গে একপ্রকার গ্যাপ করে গেছে সবার সাথে কিন্তু আমি বাদে সবাই সবার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। আমার খোঁজ জানি সবাই করেছে আমাকে কেউ পায়নি। সত্যি কথা বলতে ব্যস্ততা অসুস্থতা ও সংসারের নানান সমস্যা সবারই থাকে।কিন্তু আজ যখন হঠাৎ করে সেই ছোট্টবেলার বান্ধবী আমাকে ফোনে নক দিল তখন তার আইডিতে ঘুরে দেখলাম সে তো সত্যিই আমার ছোটবেলার বান্ধবী। তাইতো দেরি না করে মনের যত ছোটবেলার ছবি ভেসে উঠলো এবং তার সাথে কথা বলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।
ও যখন আমাকে ফোন দিল তখন আমার বাসার কারেন্ট চলে গেল আর কথা হল না। সন্ধ্যার পর যখন ওকে আমি ফোন দিলাম তখন ও একটু বাইরে ছিল তখনো কথা হলো না। দুই বান্ধবীর মনে কত কথা জমা ছিল সেটা দুজনেই শুধু অনুভব করতেছিলাম। যখন রাত দশটার পরে দুইজনে কথা বলতেছিলাম কত যে কথা হলো দুজনের মধ্যে মনে হয় কি শান্তি পাচ্ছিলাম।কত বছর যে কথা হয়নি ওদের সঙ্গে সবার খবর নিলাম। তারপর সেই বান্ধবীর কাছ থেকে শুনলাম সবাই আমার কথা বলেছিল এবং খোঁজ নিয়েছে কিন্তু কেউ আমাকে পায়নি।
আমি আমার দিক থেকে চেষ্টা করেছি তারপর যখন পায়নি তখন হতাশ হয়েছি। দীর্ঘ দুই ঘন্টা কথা বলার পরও মনে হচ্ছিল এই রাত যেন শেষ হবেনা আরো কত কথা দুজনের মধ্যে রয়ে গেছে । তারপরও খুব কথা বলতে ইচ্ছা করছিল।অপর প্রান্ত থেকে বান্ধবী আমাকে বলছিল দেখ দুই ঘন্টা পার হয়ে গেছে তারপরও মনে হচ্ছিল আমরা কিছুই বলিনি। সারারাত কথা বললেও আমাদের মনের কথা শেষ হবে না।তখন বললাম বাচ্চারা রাত্রে খায়নি পরে আবার কথা হবে। সত্যিই দিনগুলো কিভাবে হারিয়ে ফেলেছি ।
আজ বারবার মনে হচ্ছিল সেই তারাকান্দি জে এফ সি এল কলোনির কথা। এই জীবনে কখনো তারাকান্দি জেএফ সি এল কলোনির কথা ভুলতে পারবো কিনা সন্দেহ। তবে আমার জীবনে আমি এত সুন্দর জায়গা এত সুন্দর পরিবেশ কোথাও দেখিনি। তবে ইচ্ছা আছে সেখানে যাওয়ার আল্লাহ যদি আমাকে সেখানে নিয়ে যায় একবার যাব এবং সেখানকার কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। আজ জীবনের একটি প্রান্তে দাঁড়িয়ে সবকিছু উপলব্ধি করতে পারছি আগে কি সুন্দর দিন কাটাতাম।
আজ যাচ্ছি অন্য কোনদিন আবারো হাজির হব আপনাদের মাঝে অন্য কোন ব্লগ নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ ।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
🇧🇩আল্লাহ হাফেজ🇧🇩