জেনারেল রাইটিংঃবায়ু দুষণ ও নাগরিক দায়িত্ব।

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago (edited)

সবাইকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা।

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,কেমন আছেন? আশাকরি সবাই ভালো আছেন-নিরাপদে আছেন। আমিও ভালো আছি ।আজ ২৩ শে জ্যৈষ্ঠ ,গ্রীষ্মকাল ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,৬ ই জুন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ ।আজ একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।আশাকরি সাথেই থাকবেন।

g1.jpg

source

রাত পোহালেই ঈদ।ঈদ উদযাপনের সর্বশেষ প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ব্যাপক তোড়জোড় চলছে।সৌদি আরব সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবশ্য আজ ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়েছে। সৌদির সাথে মিল রেখে বাংলাদেশেও কিছু জায়গায় আজ ঈদ উদযাপিত হয়েছে। ঈদুল আযহা মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও ত্যাগের সর্বোচ্চ নিদর্শন ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহা আমাদের ত্যাগ ও মহিমার শিক্ষা দেয়। আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্থন ও আত্মদানের পবিত্র ঈদুল আযহা আল্লাহর দরবারে কবুল হোক।


বন্ধুরা, প্রতি সপ্তাহে আমার বাংলা ব্লগে একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করার চেষ্টা করি। তারেই অংশ হিসেবে বায়ূ দূষণ নিয়ে আমার আজকের আর্টিকেল। ঢাকা দূষিত বায়ুর নগরী। আজ নয়,গত কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের অন্যান্য নগরী গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান ঢাকা। বায়ুদূষণ শুধু ঢাকার সমস্যা নয়, এখন সারা দেশের সমস্যা। হ্যাঁ ঢাকার বায়ু দেশের অন্যান্য জায়গার তুলনায় অনেক বেশি দূষিত।


আকাশে ধুলা ও ধোঁয়ার স্তর বেশি হলেই বায়ুদূষণ। আর এই বায়ুদূষণ কেন হয়, কি কারণে হয় কমবেশি আমরা সবাই জানি।বায়ুদূষণে রাষ্ট্রের দায় আছে। তবে এই বায়ুদূষণের দায় আমার ও আপনারও আছে। দেশে বায়ুদূষণ প্রতিরোধে আইনও আছে। আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন নেই। প্রতিযোগিতা চলছে বায়ুদূষণে। দেখার কেউ নেই। অথচ বায়ুদূষণের ফলে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শুধু মানুষ কেন অন্যান্য জীবজন্তুও বায়ুদূষণের শিকার হচ্ছে। ২০২১ সালের এক রিপোর্টে ২ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষের মৃত্যুর জন্য বায়ুদূষণকে দায়ি করা হয়েছে। এই সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরো ভয়াবহ খবর হচ্ছে পৃথিবীতে ৭০ লক্ষ মানুষ, প্রতিবছর বায়ুদূষণের শিকার হয়ে মারা যায়।আমাদের উচিত এখনেই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া। সরকারি, বেসরকারি যৌথ উদ্যাগ জরুরি। বায়ুদূষণ প্রতিরোধে যে আইন ও নির্দেশনা আছে তার কঠোর প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন খুব জরুরি। এজন্য আমাদের সোচ্চার হতে হবে।

বায়ুদূষণ প্রতিরোধে যে আইন ও নির্দেশনা আছে তা বাস্তবায়নে যেমন আমাদের সোচ্চার হতে হবে।তেমনি নাগরিক হিসেবে আমার যে দায় আছে সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে। কি কি বিষয়ে সচেতন হবো সে বিষয়ে আলোকপাত করেই আমার আজকের জেনারেল রাইটিং শেষ করবো। আমি বা আমরা জেনে ও না জেনে ঘরে বাইরে বায়ুদূষণ করে থাকি। যেমন জ্বালানি ব্যবহার করে রান্না,মশার কয়েল জ্বালানো,কড়া পারফিউম ব্যবহার করা,বিছানা, বালিশ,জাজিম অপরিস্কার রাখা,ধুমপান করা।এছাড়া আমরা যত্রতত্র ময়লা ফেলি। যেমন থুথু-কফ,বিডি সিগারেটের অবশিষ্টাংশ, পানের পিক, ব্যবহৃত টিস্যু, পলিথিন, বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা ও কলকারখানার বর্জ্য। আর হ্যাঁ ঘরে ফ্রেশনার ব্যবহার না করে পিউরিফায়ার ব্যবহার করা উচিত।

সরকার বায়ুদূষণ রক্ষায় কতটুকু করবে আমাদের জানা নেই। আমাদের কাজ করে যেতে হবে। আগামী প্রচন্মকে রক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে। শুধু বাংলাদেশ নয় বায়ুদূষণ রোধে এশিয়া মহাদেশের দেশ গুলো ভয়াবহ ভাবে পিছিয়ে। বিশ্বের শীর্ষ ২০টি বায়ুদূষণ শহরের মধ্যে ১৯ টি শহর এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত । আসুন বায়ুদূষণ রোধ করে আমাদের পরিবেশ রক্ষা করি। বেশি করে গাছ লাগাই,পরিবেশ বাঁচাই। সবার জীবন ত্যাগের মহিময়ায় উদ্ভাসিত হোক।

ঈদ মোবারক।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেনীজেনারেল রাইটিং
পোস্ট তৈরি@selina 75
তারিখ৬ই জুন, ২০২৫ ইং
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

image.png

image.png

image.png