জেনারেল রাইটিংঃসম্পর্কের যত্ন নিন।

in আমার বাংলা ব্লগlast month

শুভেচ্ছা সবাইকে।

কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।প্রত্যাশা করি সবাই সবসময় ভালো থাকেন,নিরাপদে থাকেন। আজ ২২শে আষাঢ় ,বর্ষাকাল কাল ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৬ই জুলাই ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ। আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে প্রতি সপ্তাহে একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করার চেষ্টা করি। তারেই অংশ হিসেবে আজকের চেষ্টা। আশাকরি বরাবরের মতো সাথেই থাকবেন।

r1.jpg

source

বর্তমান সময়টি প্রতিযোগিতার। দম ফেলানোর সময় নেই, যন্ত্রের মত ছুটে চলছে মানুষ। আমাদের জীবন যাপনে, আচার আচরণে তার প্রভাব পড়ছে।গতানুগতিকতার বলয় থেকে বের হয়ে নিজস্ব গন্ডি ও জগৎ তৈরি করে নিচ্ছে, নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। নিজের গন্ডির বাইরে চারপাশে কি হচ্ছে তার খেয়াল নেই বা অগোচরে থাকছে। মানুষ একা হয়ে পড়ছে।, সবাই থেকেও কেউ নেই, যার ফলে মানুষ একা হয়ে পড়ছে। মানুষিক অস্থিরতা, একাকিত্ব গ্রাস করে ফেলছে। অবসাদ-বিষাদে ভরে উঠছে মন হৃদয়। এর থেকে বের হওয়ার উপায় খুঁজে পাচ্ছে না কেউ কেউ। কিন্তু যদি শুধু 'সম্পর্ক' গুলো ঠিক রাখা যায় তাহলে সহজেই প্রাণবন্ত মন ও কর্ম পরিবেশ ফিরে পাওয়া সম্ভব। হ্যাঁ বন্ধুরা, আমার আজকের জেনারেল রাইটিং এর বিষয় সম্পর্ক।


দুই বা ততধিক ব্যক্তির সাথে হতে পারে সম্পর্ক। সম্পর্ক হচ্ছে হৃদয়ের মিলন। একের সঙ্গে অপরের হৃদয়ের মিলন। আত্মিক সম্পর্ক। সেটা হতে পারে রক্তের সম্পর্ক, পারিবারিক সম্পর্ক, আইনী সম্পর্ক, প্রেমের সম্পর্ক, কাজের সম্পর্ক, বন্ধুত্বের সম্পর্ক ইত্যাদি। আপনি কোন সম্পর্কে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন সেটি আপনার বিষয়। তবে সম্পর্ক জরুরি। যে যত বড়ই হোক না কেন, সম্পর্ক ছাড়া এক সময় সে নিজেকে অসম্পূর্ণ মনে করে। যে মানুষের সম্পর্ক যত গভীর, সে মানুষ ভয়ডর হীন ভাবে উন্নতির শীর্ষে চলে যেতে পারে অনায়াসে। একারণেই অনেকেই বলে থাকেন উন্নতির শীর্ষে যেতে হলে একজন উপযুক্ত সঙ্গীর প্রয়োজন। আর সে সঙ্গীর সাথে যদি সম্পর্কের অবনতি হয় তাহলে উন্নতি তো দূরে থাক, জীবন যন্ত্রণাময় হয়ে উঠে। আমি একজন ব্যক্তিকে চিনি যিনি সফল ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন, মেধা ও মননের অভাব ছিল না। তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে এতই মগ্ন ছিলেন যে, সঙ্গী ও পরিবারের দিকে তাঁর নজর ছিল না! নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। আত্মকেন্দ্রীক হয়ে উঠেছিলেন। দিন শেষে একা হয়ে গিয়েছিলাম। আপজনদের কাছে দায়িত্বহীন ব্যক্রিতে পরিণত হয়ে, নিজের সঙ্গীকে হারিয়েছেন। এরকম ঘটনা আপনার আমার চারপাশে অনেক আছে। তাই আপনি যাই করুণ, সম্পর্কের উপর নজর দিন।


যত ব্যস্তই হোক, যদি সম্পর্ক ঠিক রাখতে না পারে সে অসম্পূর্ণ মানুষ। সম্পর্ক মধুর করতে, টিকেয়ে রাখতে বেশি কিছু করতে হয়না। সঙ্গীর প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা, শেয়ারিং জরুরি। সঙ্গীর সাথে মন খুলে কথা বললে,সময় দিলে, তাঁর ছোট খাট কাজে প্রশংসা করলে,মাঝে মধ্যে আউটিংয়ে গেলে নিজেরও ভালো লাগে এবং সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক দৃঢ় হয়। নিজের পছন্দ সঙ্গীর উপর জোর করে চাপিয়ে দিবেন না। আপনার যেমন নিজস্ব পছন্দ আছে তেমনি আপনার সঙ্গীরও নিজস্ব পছন্দ আছে। তার পছন্দেও সমর্থন দিন। সঙ্গীর কোন ভুলে রাগারাগি না করে স্বাভাবিক থাকুন। সময় সুযোগ বুঝে তাঁর ভুল নিয়ে আলোচনা করুণ। যখনেই সঙ্গীর সাথে সময় কাটাবেন তাঁর ভালো মন্দের খোঁজ নিন,তাঁর আপনজনের খোঁজ নিন। তাঁর কিছু দরকার আছে কিনা জেনে নিন। দেখবেন সম্পর্ক গুলো মধুর হয়ে উঠছে। সম্পর্কের টানপোড়েন আছে থাকবে।সেই সময় রাগান্বিত হয়ে সঙ্গীর মা বাবা ও পরিবার সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলবেন না। বাবা মা সম্পর্কে কারোই নেতিবাচক কোন কিছু শুনতে ভালো লাগে না।


একটি কথা আছে, পরিবারের সুখেই আসল সুখ। পরিবারে সুখ নেই কিন্তু বাইরে তিনি অনেক কিছু, আদতে তিনি অসফল ব্যক্রি। তাই ঘরে বাইরে সফল হতে গেলে সব ধরনের সম্পর্কের যত্ন নেয়া জরুরি। মানুষের জীবনে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্ক কাজের উদ্দীপনা জোগায়,ভীতি দূর করে। সম্পর্ক ব্যক্তির সুখ-শান্তি-নিরাপত্তা দেয়। কাজের গতি বাড়াতে ও মনের চাপ কমাতে সম্পর্কের যত্ন নিন।শুভ রাত্রি।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেনীজেনারেল রাইটিং
পোস্ট তৈরি@selina 75
তারিখ৬ই জুলাই, ২০২৫ ইং
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

image.png

image.png

image.png