হ্যা_{^{লো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid420 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।}}

source

স্বার্থান্ধ মানুষ সমাজে এক ধরনের বিশেষ চরিত্র বহন করে, যারা নিজেদের স্বার্থকে সবার ওপরে স্থান দেয়। এরা সাধারণত অন্যের সুখ, দুঃখ কিংবা প্রয়োজনের প্রতি তেমন গুরুত্ব দেয় না, বরং সবসময় খোঁজে কিভাবে নিজের লাভ নিশ্চিত করা যায়। স্বার্থান্ধ মানুষকে প্রথমে চিনে ফেলা অনেক সময় কঠিন হলেও, সময়ের সাথে তাদের আসল রূপ প্রকাশ পেতে থাকে। শুরুতে তারা অনেক মিষ্টি কথা বলে, সাহায্যের ভান করে কিংবা আপন করে নেওয়ার অভিনয় করে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারা সবসময় নিজেদের সুবিধার কথা ভাবে। সমাজের প্রায় প্রতিটি স্তরে স্বার্থান্ধ মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়—ব্যক্তিগত সম্পর্ক, পরিবার, কর্মক্ষেত্র কিংবা বন্ধুত্বের সম্পর্ক সব জায়গাতেই তাদের ছাপ থাকে।

একজন স্বার্থান্ধ মানুষ কখনোই নিঃস্বার্থভাবে কোনো কাজ করে না। তারা যদি সাহায্য করে, তার পেছনেও কোনো না কোনো উদ্দেশ্য লুকিয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ হয়তো বন্ধুকে সমস্যার সময়ে পাশে দাঁড়াল, কিন্তু পরে সেই সাহায্যের বিনিময়ে বিশেষ সুবিধা আদায় করার চেষ্টা করল। এভাবে তারা আস্তে আস্তে সম্পর্ককে কলুষিত করে ফেলে। স্বার্থান্ধ মানুষের কারণে অনেক সময় বিশ্বাস ভেঙে যায় এবং সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। তাদের জন্য সমাজে প্রকৃত আন্তরিকতা কমে যায়, কারণ তারা নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে অন্যের ক্ষতিও করতে দ্বিধা করে না।

এদের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো—তারা খুব ভালোভাবে অভিনয় করতে জানে। তারা পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেদের সাজিয়ে নেয়, কখনো দুঃখী সাজার ভান করে সহানুভূতি আদায় করে, আবার কখনো অত্যন্ত উদার হওয়ার ভান করে সবার সামনে ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত হতে চায়। কিন্তু সুযোগ এলে তাদের আসল স্বভাব প্রকাশ পায়। স্বার্থান্ধ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করলে শুরুতে বোঝা যায় না, কিন্তু যখনই কঠিন পরিস্থিতি আসে, তখন তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং শুধু নিজেদের নিরাপদ রাখে।

সমাজে উন্নতির জন্য স্বার্থান্ধ মানুষদের চিনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, এরা শুধু নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে জানে, কিন্তু অন্যদের জন্য প্রকৃত অবদান রাখতে আগ্রহী নয়। একজন প্রকৃত মানুষ যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা আর সহযোগিতাকে প্রাধান্য দেয়, সেখানে স্বার্থান্ধ মানুষ কেবল নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য অন্যকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে। তাই স্বার্থান্ধ মানুষ থেকে দূরে থাকা যেমন প্রয়োজন, তেমনি তাদের আচরণ থেকে শিক্ষা নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বোঝা উচিত, জীবনে স্থায়ী সম্মান, ভালোবাসা আর আস্থা কখনোই কেবল নিজের স্বার্থ চিন্তা করে অর্জন করা যায় না। বরং নিঃস্বার্থতা ও মানবিকতা দিয়েই প্রকৃত অর্থে জীবনের সার্থকতা খুঁজে পাওয়া সম্ভব।