ইন্দ্রার বা পাতকুয়ার ফটোগ্রাফি❤️

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

হ্যালো

কেমন আছেন সবাই। আশা করছি খুবই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি আপনাদের আশির্বাদে ও সৃষ্টি কর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো ইন্দ্রার, পাতকুয়ার ফটোগ্রাফি । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

InShot_20250518_171855952.jpg

আগের দিনের জলের উৎস ছিলো ইন্দ্রা।ইন্দ্রা আমাদের এলাকায় বলা হয়ে থাকে কিন্তু মূলত এটি নাম পাত কুয়া। স্নান, খাওয়ার জল, কাপড় কাচা সব কিছুতেই ইন্দ্রার মানে পাতকুয়ার জল ব্যাবহার করা হতো।এই ইন্দ্রাও ছিলো হাতে গোনা। সবার বাড়িতে ইন্দ্রা ছিলো না। রাজা জমিদার বাড়িতে ইন্দ্রা ছিলো শুধু আর সেখান থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে জল সংগ্রহ করতো মেয়েরা।

রাজা জমিদারের আমলের পর যারা বড়ো গিরস্থ ছিলো তাদের বাড়িতে শুধু ইন্দ্রা থাকতো সবাই সেখানে গিয়ে জল সংগ্রহ করতো।
কালের বিবর্তনে এখন আর ইন্দ্রা দেখা যায় না বল্লেই চলে।
এখন আর ইন্দ্রার ব্যাবহার নাই।আমার বাবার বাড়িতে একটি কুয়া ছিলো মানুষের জন্য বানিয়ে দেয়া সেখান থেকে জল সংগ্রহ করতো ও জলের চাহিদা মেটাতো আর আমাদের নিজেদের জন্য ছিলো একটা টিউবওয়েল তাও আবার পাকা নয় কাচা মানে টিউবওয়েলের গোড়া বাধানো ছিলো না।আমি কুয়া দেখিনি তবে সেই টিউবওয়েল দেখেছি।অনেকে হয়তো কুয়া চিনবেন না কুয়া হলো ইন্দ্রার মতো তবে সরু ও মাটির পাটের তৈরি আর ইন্দ্রা ইট,বালি সিমেন্টের তৈরি।

ইন্দ্রা পরিস্কার করার জন্য ইন্দ্রায় নামানোর রিং থাকে মাঝে মাঝে ইন্দ্র পরিস্কার করার জন্য লোক নামিয়ে পরিস্কার করে নিতের বা ইন্দ্রা থেকে জল তোলার সময় যদি বালতি বা কলস ইন্দ্রায় পড়তো তাহলে নেবে তুলতো।আমার শ্বশুর বাড়িতে একটি ইন্দ্রা ছিলো তবে বন্ধ করে দেওয়া জন্য তাতে নোংরা জিনিসপত্র ফেলে। বাড়িতে কোন কাঁচের জিনিসপত্র ঙভেঙে গেলে তা ওই পরিত্যাক্ত ইন্দ্রায় ফেলা হয়।

আমাদের গ্রামে এখনো এক বাড়িতে সচল ইন্দ্রা আছে তবে খুব বেশি ব্যাবহার হয় না জন্য আগাছা,এ শেওলা জন্ম নিয়েছে। দেখেই বোঝা যায় খুব সচল নয় এই পাতকুয়া টি। খুবই ভালো লাগে আসার ইন্দ্রা বা পাতকুয়া। আপসোস হয় আমাদের বাড়ির ইন্দ্রাটি বন্ধ করেছে জন্য। ইস যদি আমাদের বাড়িতে ইন্দ্রাটি থাকতো তাহলে করতোই না ভালো হতো স্নান করা যেতো।আমাদের বাড়িতে যে পরিমাণ আয়রন তাতে করে আমরা খুবই ভালো ভাবে স্নান করতে পারতাম কাপড় কাচতে পারতাম আয়রন মুক্ত ইন্দ্রার জলে।

আমি হাটতে হাটতে গিয়েছিলাম ইন্দ্রার পাড়ে এবং ইন্দ্রার ফটোগ্রাফি করছি। ইন্দ্রাটি কম বেশি সবাই ব্যাবহার করে বিশেষ করে স্নান করে। ইন্দ্রার জল দিয়ে চা করলে নাকি দারুন কালার আসে শুনি।

কিছু সময় ইন্দ্রার পাড়ে থেকে ভালো সময় কাটিয়ে ফটোগ্রাফি করে বেশ ভালো একটা সময় পার করলাম।

InShot_20250518_171847251.jpg

InShot_20250518_171855952.jpg
এই ছিলো আমার আজকের চমৎকার সুন্দর ঐতিহ্যবাহী ইন্দ্রার ফটোগ্রাফি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আবার ও দেখা হবে অন্য কোন পোষ্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।

টাটা

পোস্টবিবরণ
পোস্ট তৈরি@shapladatta
শ্রেণীফটোগ্রাফি
ডিভাইসOppoA95
লোকেশনবাংলাদেশ

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230826_182241.jpg

আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



IMG_20250517_174355.png

IMG_20250517_174340.png

Sort:  
 2 months ago 

আমার দাদার বাড়িতে কুয়া ছিল। আমরা যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম তখন এই কুয়া থেকে পানি তোলার চেস্টা করতাম ।কিন্তু ছোট ছিলাম বলে ঠিকভাবে পানি তুলতে পারতাম না। কাজিনরা তুলে দিতো । সেই পানিতে গোসল করতাম। বেশ ঠান্ডা সেই পানি। আপনার কুয়ার ফটোগ্রাফি দেখে সেই কথাই মনে পরে গেলো। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

Screenshot_2025-05-18-17-48-04-25_6604d2525654b46e33aa2968a0a78870.jpg

 2 months ago 

ইন্দ্রা নামটি প্রথম শুনলাম। তবে পাতকুয়া শুনেছি। শুনেছি বলতে বই পড়েছি। আমাদের এদিকে এগুলা কি কুয়া বলে। ঠিক বলেছেন দিদি, এখন আর এগুলো দেখা পাওয়া যায় না। আমাদের বাড়ির পাশে একটা ছিল সেটা ভরাট করে দেওয়া হয়েছে প্রায় ১০ বছর হয়ে গেল। আরও একটা আছে সেটা কেউ ব্যবহার করে না। আগেকার দিনে এইকুয়া মানুষ তাদের দৈনন্দিন নানান কাজে ব্যবহার করত। অনেকদিন পর পাতকুয়ার ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো। সেখানে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো দিদি।

 2 months ago 

আমাদের এলাকায় ছোট যেটি সেটিকে কুয়া বলে আর বড়ো সাইজের টিকে ইন্দ্রা বলে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

ছোটবেলা থেকে পাতকুয়া নামেই চিনি ইন্দ্রা নামটি এই প্রথম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। তবে সত্যিই এই পাতকুয়ার জল অনেক বেশি পরিষ্কার এবং বিভিন্নভাবে ব্যবহারযোগ্য। বর্তমানে পাতকুয়া কোথাও দেখা যায় না। আসলে এর গভীরতা অনেক বেশি থাকায় এটা খুবই বিপদজনক একটি জলাশয়। আপনি পাতকুয়া সম্পর্কে অনেক সুন্দর ভাবে ধারণা দিয়েছেন যা বর্তমানে যারা চেনে না তারা এই পাতকুয়া সম্পর্কে সুন্দর ধারণা পাবে। ধন্যবাদ।

 2 months ago 

আমাদের এলাকায় ইন্দ্রা বলে এটিকে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

পাত কুয়া কিন্তু আমাদের এদিকে দেখা যাই না। আগে শুনেছি আমাদের এইখানেও এরকম কুয়া ছিল। আর সময়ের কারণে এখন এই কুয়াগুলো নেই বলে চলে। তবে এ ধরনের কুয়াগুলা আমি বিদেশে দেখেছি অনেক। আর কুয়াগুলো সামনে থেকে দেখতে ভয় লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর করে পাত কুয়া পোস্ট এবং চমৎকার ফটোগ্রাফি করার জন্য।

 2 months ago 

একটা সময় খাবার পানির উৎস ছিল এই কুয়া। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় আজ এই কুয়া দেখা যায় না বললেই চলে। পাতকুয়া টা অনেক পুরাতন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বেশ সুন্দর ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

 2 months ago 

ঠিক বলেছেন আগের দিনে খাবার জলের উৎস ছিলো পাতকুয়া।

 2 months ago 

বাহ্ কি দারুণ এক পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। আপনার লেখনীতে যেমন স্মৃতির সুবাস আছে, তেমনি রয়েছে আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যের অনন্য এক চিত্র। ইন্দ্রা ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার লেগেছে , যেন হারিয়ে যাওয়া সময়ের এক দলিল।সত্যিই, আজকাল আর এমন দৃশ্য খুব কমই দেখা যায়। এমন ঐতিহাসিক ও তথ্যবহুল একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।