" হঠাৎ অসুস্থতা,ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হলো "
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে ভালো আছি।
বন্ধুরা,আমি @shimulakter"আমার বাংলা ব্লগ" এর একজন নিয়মিত ও অ্যাক্টিভ ইউজার।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে আমার অনেক বেশী ভালো লাগা কাজ করে মনের মাঝে।তাইতো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত মনের নানান অনুভূতি গুলো নিয়ে নানা রকমের পোস্ট শেয়ার করে থাকি।আজ ও আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিযে।আশাকরি সবাই সঙ্গেই থাকবেন।
হঠাৎ অসুস্থতা,ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হলোঃ
বন্ধুরা,আজ আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।আজ কিছু অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব।সুস্থতা আল্লাহর অশেষ নিয়ামতের একটি বড় নিয়ামত।আমার কাছে সব নিয়ামতের মধ্যে সুস্থতাকে বেশী বড় মনে হয়।কেননা সুস্থ না থাকলে কোনকিছুই শান্তির লাগে না।আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখবেন এমনটাই চাওয়া।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে সুস্থ ই থাকি।ডাক্তারের কাছে খুব একটা যেতে হয় না।টুকটাক অসুস্থতা আমি নিজে নিজেই প্রাথমিক ভাবে ঘরোয়া ভাবে সেরে নেই।
গত দশ এগারো দিন আগে হঠাৎ করে আমার ঘাড়ের কাছে হালকা ব্যথা অনুভব হয়।আমার ভালো লাগছিল না।মাথা সোজা রেখে কাজ করতে পারছিলাম না।তখন আমি প্রেশার মাপার মেশিনটি দিয়ে প্রেশার মেপে দেখি আমার লো প্রেশার।আমি কিছু সময় অপেক্ষা করে একটি স্যালাইন গুলিয়ে খেয়ে নিলাম।এভাবে গত ১০/১১ দিন এমন ই হচ্ছিল।গত এই কিছুদিন প্রেশার কমলেই আমি স্যালাইন গুলিয়ে খেয়ে ভালো ই ছিলাম।এমনি সময়টাতে আমার প্রেশার সব সময়ই স্বাভাবিক থাকে।কিন্তু হঠাৎ এতো কমে যাওয়াতে কি হলো আবার ভয় লাগছিলো।আর অন্য দিকে আম্মু ও বার বার বলছিলো আমি যেনো ডাক্তারের শরণাপন্ন হই।
ছেলের এক্সাম চলছিল এটা আপনাদের মাঝে জানিয়েছিলাম।মূলত ছেলেকে পড়ানো নিয়েই প্রেশার আমার এমবটা হচ্ছিল। আসলে কোন চাপ আমার জন্য নেয়া কষ্টকর।এমন অবস্থায় অনেকেরই প্রেশার হাই হয়ে যায়। কিন্তু আমার বেলা হয়েছে উল্টোটা পড়ার চাপে আমার প্রেশার কমে যাচ্ছিল।আর আমি স্যালাইন আর ডিম খেয়ে ঠিক রাখছিলাম আমার প্রেশার।এরপর ছেলের এক্সাম শেষ হলো বুধবার। আমার আম্মু আমাকে বার বার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বলায় আমি গতকাল আমার বাসার কাছেই ইবনে সিনা হাসপাতাল ধানমন্ডিতে যাই।আমি ডাঃ জিয়াউল হক নামের মেডিসিন ডাক্তারকে দেখাই।
ডাক্তার আমার প্রেশার মেপে কাল ভালো ই প্রেশার আছে বললেন।ছেলের এক্সাম শেষ আর প্রেশার ও এখন একদম পারফেক্ট আছে।এটা কিন্তু অবাক করার বিষয়ই বটে।ডাক্তার অনেক সময় নিয়ে নিয়ে প্রেসেন্ট দেখেন।এতো বেশী সময় নিয়ে ডাক্তার দেখেন বলেই আমি বসে না থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম।তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম। উনি খুব সুন্দর করেই আমাকে বুঝিয়ে বললেন।আমাকে প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে বললেন।আর প্রয়োজনীয় সব খাবারই পরিমিত আহার করতে বললেন।ডাকৃতার দেখাতে দেখাতে রাত ১০ টা বেজে গিয়েছিল।আমরা রাত ১০ টার সময় বাসায় এসে পরি।এই ছিল আমার ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার অনুভূতি গুলো। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে আমার অনুভূতি গুলো পড়ে।
আজ আর নয়।সেদিনের কিছু অনুভূতি আজ শেয়ার করে নিলাম।আশাকরি সবার ভালো লেগেছে। আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | ভ্রমন |
---|---|
ফটোগ্রাফির জন্য ডিভাইস | Samsung A20 |
ফটোগ্রাফার | shimulakter |
স্থান | ইবনে সিনা হাসপাতাল, ধানমন্ডি |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে আর নতুন নতুন রেসিপি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সবার টেনশন করলে প্রেশার বাড়ে আর আপনার কমে। বেশ অদ্ভুত। তবে প্রেশার লো হওয়ার কারনে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছুটা দিন নিজে সুস্থ্য রাখতে পারলেন । কিন্তু হাই প্রেশার হলে দেরী না করে ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার। তবে শেষ পর্যন্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েছে জেনে ভালো লাগলো। যাইহোক প্রেশার এখন নর্মাল আছে তা জেনে বেশ স্বস্থি পেলাম।