অতিরঞ্জিত হয়তো বিপদ ডেকে আনে!

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg


আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

যে কোনো ব্যাপার অনেক বাড়িয়ে চাড়িয়ে দেখানো কখনোই উচিত নয়। কারণ হয়তো কোনো একটা ব্যাপার নিয়ে আমরা অনেক বেশি হাসি তামাশা করছি, অনেক মজা করছি। বন্ধুদের মধ্যে অনেক ফাইজলামো করছি। কিন্তু সেই ব্যাপারটি আমরা মজা করতে করতে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যাই। অর্থাৎ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাপারটি দেখবেন যে কোনো একটা বিষয় নিয়ে আমরা এতো বেশি মজা করি যে সেটা যে অন্য কারো জীবনে কতোটা ইফেক্ট ফেলছে। সেই বিষয়ে আমরা মোটেও বিবেচনা করে দেখি না।

কিন্তু এই বিষয়টা অবশ্যই আমাদের বিবেচনা করে দেখা উচিত। যেমন একটা সত্যিকারের ঘটনা যদি বলি। একজন মেয়ে কিছু একটা তৈরি করেছিলো ফেসবুকে যে নিউজটি দেখতে মোটেও শোভনীয় ছিলো না। অর্থাৎ একেবারেই যে অনেক বেশি গুজব ছড়াতে হবে। তেমন কোন ব্যাপারও ছিলো না।কিন্তু মানুষ এটাকে নিয়ে অর্থাৎ মেয়েটাকে নিয়ে এতো কথা চালাচালি করলো।অর্থাৎ মেয়েটাকে নিয়ে এতো কথা বলাবলি করলো এবং মেয়েটাকে এতো ভাইরাল করলো যে, শেষ পর্যন্ত সেই ব্যাপারগুলো তার পরিবারের সামনে গেলো।

এরপরে যা হওয়ার তাই হলো। অর্থাৎ মেয়েটি এই মেন্টাল প্রেসার এবং চারিদিকের এই মানুষ এর বাজে বাজে মন্তব্য আর সইতে না পেরে এবং পরিবারের সামনে অপদস্ত হয়ে ব্যাপারটি আর মেনে নিতে না পেরে শেষ পর্যন্ত সে সুইসাইড করলো এবং সুইসাইড করার পরে মানুষ আসলে অনেক হা হুতাশ করতে থাকলো, যে মানুষ এরকম না করলেও পারতো কিংবা এই ধরনের কাজগুলো না হলেও পারতো কিংবা তাকে নিয়ে এতো কথা না বললেও হতো।কিন্তু এখন এসব বলেন নিশ্চয়ই কোনো লাভ নেই, তাই না? তাই আমার কাছে মনে হয় যে কোনো বিষয়কে এতোটা অতিরঞ্জিত করে তোলা উচিত নয়। যাতে করে মানুষ এর নজর এদিকেই চলে আসে। কারণ কখন কোন বিষয় অনেক বেশি বেড়ে যায় এবং বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায়। সেটা কিন্তু কারোরই হাতে থাকে না। তাই যে কোনো বিষয়কে স্বাভাবিকভাবে নেওয়া উচিত এবং সবকিছুকে অতিরঞ্জিত করে বিপদ ডেকে না আনা ই বুদ্ধিমান এর কাজ।

ABB.gif