ঈদের দিনটা কেমন কাটলো
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। ইতোমধ্যে ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতর উদযাপন হয়ে গেছে। ঈদের সালাত আদায় করার মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হলাম। আশা করব বেশ ভালো লাগবে আমার এই পোস্ট পড়ে।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় আনন্দের দিন ঈদুল ফিতরের দিনটা। দীর্ঘ এক মাস রোজা রেখে নামাজ পড়ে নিজেকে সংযত রেখে এই দিনটাকে পাওয়ার প্রত্যাশা করে। পবিত্র এই দিনে সবাই যে যার মত নতুন পোশাক পরিধান করে ঈদগাহ ময়দানে উপস্থিত হয়ে যায় দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব সালাত আদায় করার জন্য। ঠিক তেমনি গ্রামের অন্যান্য মুসলমানদের মত আমিও ঘুম থেকে উঠে, ওযু গোসল করে, হালকা খাবার খেয়ে, রেডি হয়ে বের হয়ে পড়লাম যথা সময়ে। ঈদগাহ ময়দানে উপস্থিত হয়ে দেখতে পারলাম আমাদের গ্রামের সকল মুসলমান ভাইয়েরা উপস্থিত হয়েছেন এবং হয়েছেন ঈদগা ময়দানে। চেনা অচেনা সকল মুখগুলো দেখতে পেরে যেন অন্যরকম ভালোলাগা খুঁজে পেয়েছিলাম। আমরা জানি ঈদের সালাতে সারা গ্রামের মানুষ এক এক জায়গায় সমবেত হওয়া যায়। সবাই নিজ নিজ অহংকার দুঃখ-কষ্ট ভুলের একসাথে উপস্থিত হতে পারে এবং দুই রাকাত সালাত আদায় করে থাকে। ঠিক সেভাবেই সবার উপস্থিতি দেখে মহা আনন্দে আনন্দিত হয়েছিলাম। শুধু অসুস্থ আব্বু আমাদের সাথে যেতে পারেনি এজন্য কষ্ট লাগছিল। দোয়া করব, আগামী বছর মহান সৃষ্টিকর্তা আমার আব্বুকে আমাদের সাথে ঈদগাহ ময়দানে সালাত আদায় করার সুযোগ করে দিবেন।
ঈদের সালাত আদায়ের সময় নির্ধারণ ছিল সকাল আটটা। আমরা সাড়ে সাতটার পরে পৌছে গেছিলাম। সেখানে ইমাম সাহেব সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বেশ কিছু কথা শুনতে পেয়েছিলাম। বেশ ফজিলত পূর্ণ কথা চলছিল তখন। এরপর সালাত আদায় হল। হুজুরের খুতবা ও তরজমা। এভাবে চলল অনেকটা সময়। আমাদের ঈদগাহ ময়দান যথেষ্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং বড় এরিয়া নিয়ে তৈরি। সামনে পিছনে টাইলসের কাজ সম্পন্ন হয়েছে শুধুমাত্র উত্তর দক্ষিণে পাচিরে কাজ বাকি রয়েছে। তাই নামাজ শেষে লক্ষ্য করলাম আমাদের গ্রামের সর্বশ্রেণীর মানুষ ঈদগাহ ময়দান আরো উন্নত করার জন্য নগদ ৬০ হাজার টাকা সহ ওয়াদাবদ্ধ হলো টাকা দেওয়ার জন্য। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে কিন্তু এভাবে আমাদের ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে। তাই যারাই আমাদের ঈদগাহ ময়দান টা দেখে তারাই অনেকটা আশ্চর্য হয়।
ঈদের সালাত শেষে বন্ধু সকল সহ বিভিন্ন মানুষের সাথে কথাবাত্রা, একই সাথে দীর্ঘক্ষণ চলাচল এভাবেই সময় পার হলো কিছুক্ষণ। ঈদের দিনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্তটা ছিল ঈদের সালাত আদায় করতে যাওয়ার সময় টা। পরবর্তীতে বিকেলে ঘোরাঘুরির বিষয়টা আমি তেমন একটা প্রাধান্য দেই না। হয়তো বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে মানুষের বেপরোয়া চলাচলটা বেড়ে গেছে। কিন্তু আমি আমার জীবনে এই বেপরোয়া চলাচলের মধ্যে শরিক হয় নাই। কারণ বাইরের পরিবেশটা তখন যতই মনমুগ্ধকর হোক না কেন, মানুষের বিভিন্ন পোশাকের বাহারি চলাচল গুলো নিজের মধ্যে খারাপ চিন্তা জাগ্রত করবে, খারাপ অনুভূতি সৃষ্টি করবে। আর এটা সবার মধ্যে কম বেশি হবেই হবে, কারণ এমন কিছু বিষয় চোখের সামনে এসে যাবে যেগুলো চোখে বাধলেই মনের মধ্যে প্রভাব ফেলবে। তাই আমি নিজেকে এই থেকে সারা জীবন সংযত রেখে এসেছি, এখনো সংযুক্ত রাখলাম। এটা আমার অহংকার নয়, সৃষ্টিকর্তার প্রতি অন্যরকম ভয়। এদিকে বিকেলে পুকুরে কিছু কাজ ছিল, মাছের খাবার দেওয়া ইত্যাদি।এছাড়া ঈদের দিনে ভালো-মন্দ খাওয়া দাওয়া ও বাড়ির মানুষের সাথে আনন্দ ইত্যাদি এর মধ্য দিয়ে সুন্দর দিনটা পার করলাম। আর এভাবেই ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতরের দিন অতিবাহিত করেছি।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিষয় | ঈদের দিন |
---|---|
লোকেশন | Location |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix hot 11s |
ফটোগ্রাফার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
04-04-25