আমার বাংলা ব্লগের প্রতি ভালোবাসা

in আমার বাংলা ব্লগlast year


আসসালামু আলাইকুম




হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। শত সমস্যার মাঝেও "আমার বাংলা ব্লগ" কে ভালবাসি আমরা। আর তাইতো সর্দি কাশি জ্বরের মধ্য থেকেও একটিভ থাকার চেষ্টা করি সর্বদা। ঠিক তেমনি এক অনুভূতি আপনাদের মাঝে ব্যক্ত করলাম, যা আপনাদের অজানা ছিল।


IMG_20240502_222439_415.jpg


আমার বাংলা ব্লগের প্রতি ভালোবাসা:



আপনারা সকলে জানেন প্রচন্ড রোদ গরমে মানুষজন অতিষ্ঠ। ওই মুহূর্তে যখন হয়ে যায় লোডশেডিং, হয় অনেক কষ্ট। তবুও বাংলা ব্লগ কে ভালবাসি মনে প্রানে। আর সেই ভালোবাসার মানুষ একই পরিবারে রয়েছে চারজন। তার মধ্যে তিনজন সব সময় একই স্থান থেকে ব্লগ করার চেষ্টা করি। দিনের বেলায় লোডশেডিং হোক বা না হোক স্বস্তি রয়েছে সৌর প্যানেলের জন্য। প্রচন্ড গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাড়িতে ছোট ছোট ৫-৬টা সৌর প্যানেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে অবস্থান করি সেখানে সরাসরি প্যানেল থেকে ডিসি ১২ ভোল্ট এর ফ্যানের বাতাস। তবে সমস্যা আমার বাড়িতে ওয়াইফাই লাইনটা সাব-লাইন। লোডশেডিং এর সাথে তার কোন সাথী নেই আমাদের বাড়িতে। কারণ সৌর লাইনের সাথে কানেকশন করে থাকায়, কারেন্ট না থাকলেও লাইন থাকে থাকলেও লাইন থাকে। তবে সমস্যা হচ্ছে আমাদের লাইনটা অতিরিক্ত সমস্যা করে। একদিকে সাবলাইন নিয়েছি বন্ধুর বাড়িতে, তার বাড়িতে এমন সুবিধা নেই। কারেন্ট চলে গেলে ওয়াইফাই লাইন বন্ধুর বাড়িতে বন্ধ হয়ে যায়, মাঝেমধ্যে ব্যাটারিতে কানেকশন করে দেয় কিন্তু তার ঘরে একাধিক ডিভাইস থাকায় চার্জ থাকে না, তাই সমস্যাটা একটু বাড়তি হয়ে যায়। আবার যেকোনো মুহূর্তে লাইন আউট হয়ে যায়। বেশ কিছুদিন এই সমস্যায় ধরা পড়েছে অতিরিক্ত গরমের ফলে অনু গরম হয়ে লাইন আউট করে ফেলে। তাই আম লিচু গাছের মাঝামাঝি এই ছাপড়ার নিচেই আমাদের তিনজনার অবস্থান করতে হয় বেশি সময় ব্লগের কাজ করতে। গত বছর এই সময় সামনের পুকুরটাতে কত পাঙ্গাস তেলাপিয়া মাছ ছিল কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পুকুরে আর পানি দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি, মাছ দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাহলে বুঝতে পারছেন এই প্রচন্ড গরম কতটা সমস্যার সম্মুখীন এনে দিয়েছে আমাদের।


IMG_20240503_115436_702.jpg

IMG_20240502_151645_570.jpg



একদিকে যেমন প্রচন্ড গরম আরেকদিকে ওয়াইফাই লাইনের সমস্যা। সব সময় মোবাইলে ডাটা কিনে রাখি। হয়তো এতে এক্সট্রা ২০০/৩০০ টাকা বিল বেশি চলে যায় মাসে। তবুও ব্লগের কাজ করতে হবে। কিন্তু কথা হচ্ছে ঘরের মধ্যে মোটেও কোন সিমে নেটওয়ার্ক পায় না নেট পায় না। এই জন্য পুনরায় দিনের বেলায় যেমন কমবেশি এই জায়গায় থেকে কাজ করতে হয়, ঠিক সেভাবে রাত্রে কালীন মুহূর্তেও একই ভাবে এই জায়গায় অবস্থান করতে হয় আমাদের। এখানেও যে ভালো নেটওয়ার্ক পায় সেটা কিন্তু নয়। দিনের বেলায় সূর্য থেকে সরাসরি সোলার প্যানেলের মাধ্যমে ডিসি ফ্যান গুলো চালানো যায়। কিন্তু রাত হলে তো আর ফ্যান চলে না। এদিকে রুমের মধ্যেও নেটওয়ার্ক পায়না। তাই মাঝেমধ্যে সৌর প্যানেল থেকে ব্যাটারি খুলে এনে এবং ফ্যান এনে এখানেই বসতে হয়। তাহলে বুঝতে পারছেন টানাপাড়া কত একটা ঝামেলার বিষয়। তবুও তো ব্লগ করতে হবে তাই না। দিনের বেলায় যতই চেষ্টা করি সম্পূর্ণ কাজ করা হয়ে ওঠে না, বিভিন্ন ব্যস্ততার ফলে। আর প্রচন্ড গরমে তো কাজ আগাতে চায় না বুঝতে পারছেন। এদিকে ২-৩ সপ্তাহ হয়ে গেল সর্দি কাশি যেন আমার কমছে না।


IMG_20240502_222512_267.jpg

IMG_20240502_222419_336.jpg

IMG_20240502_222424_955.jpg



তাই রাত হলে ছাপড়ার নিচে টেবিলটা হয়ে যায় আমাদের প্রাণকেন্দ্র। আমরা চারিদিকে চেয়ার পেতে বসে, এই টেবিলের উপর মোবাইল রেখে কাজ শুরু করি। কিন্তু রাত্রে কালীন মুহূর্তে মশা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকার আক্রমণের শিকার হতে হয়। যেহেতু আশেপাশে বন জঙ্গল দেখতে পাচ্ছেন। একদিকে যেমন মশা কামড়াতে থাকে। আরেক দিকে মোবাইলের গ্লাসের আলোয় যত প্রকার পোকা আসতে পারে, এসে মোবাইলের গ্লাসে আর চোখে পড়তে থাকে ঝামেলা করতে থাকে। এত কষ্টের মাঝখান থেকে কাজ করাটা আরো যেন দুঃসহ হয়ে যায়। তাই পরবর্তীতে কিছুটা স্বস্তিতে কাজ করার জন্য মশারি টা কিনে আনা হয়েছে আড়াইশো টাকা দিয়ে। যদি রুমে ওয়াইফাই লাইন নিয়ে ডিস্টার্ব না করতো। অথবা মোবাইলের নেটওয়ার্ক ঠিক ভাবে সার্ভিস দিত তাহলে আর এত কষ্ট করা লাগবে না। হয়তো রাতে লোডশেডিং হলেও বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এই দুইটা সমস্যার জন্য আমাদের আরো বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই এভাবে বেশ অনেকদিন ধরে এখানেই চেষ্টা করছি মশারি টাঙিয়ে তার মধ্যে চেয়ার টেবিলে বসে ব্লগের কাজ চালিয়ে যাওয়ার। সাথে সব সময় বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি রাখার চেষ্টা করি এক জগ, পানি পান করে ভালো থাকার জন্য। কারণ মনে প্রাণে আমরা আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। স্টিমের বাজার যখন পড়ে যায় তখনও কিন্তু আমরা হাল ছাড়ি না। যত ঝামেলা কষ্ট হোক না কেন তার পরে আমরা একটিভ থাকার চেষ্টা করি এভাবে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সাথে। আলহামদুলিল্লাহ আজ রাতে এখানে বসে হ্যাং আউট শুনছিলাম আমরা তিনজন। আমি আর আমার বড় ভাবি জান্নাতুল টায়ার ওয়ানে রয়েছে জেনে খুবই খুশি হয়েছি। আপনারা কেমন সমস্যার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও কাজ চালিয়ে যান অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।


IMG_20240502_194552_106.jpg

IMG_20240502_194629_067.jpg

IMG_20240502_194603_272.jpg

IMG_20240502_194546_963.jpg


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif

পোস্ট বিবরণ


বিষয়কেনাকাটা
লোকেশনজুগীরগোফা, গাংনী-মেহেরপুর
ফটোগ্রাফি ডিভাইসInfinix hot 11s
ফটোগ্রাফার@sumon09
দেশবাংলাদেশ


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

ভাইয়া যখন কোনো কাজকে ভালোবেসে করা হয় আর দিনশেষে তার সফলতা পাওয়া যায় তখন এই ধরনের কষ্ট কে আর কষ্ট মনে হয় না। কথায় আছে না," কষ্ট করলেই কেষ্ট মেলে।" আপনারা এত কষ্ট করেও সব সময় আমার বাংলা ব্লগের পাশে রয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। যেহেতু কারেন্ট চলে গেলে আপনাদের ওয়াইফাই এর সমস্যা হয় তারজন্য বলবো আইপিএস নিয়ে আসেন। তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আইপিএস দিয়ে ফ্যান,লাইট কিংবা ওয়াইফাই সব চালাতে পারবেন। এতে কারেন্ট চলে গেলেও সমস্যা হবে না। আমার শ্বশুর বাড়ি গেলে আমারও এই সমস্যা হয় কিন্তু আমাদের গ্ৰামের বাড়িতে আইপিএস রয়েছে বলে আর কোনো সমস্যা হয়না। যাই হোক আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

সকল ব্যবস্থা আছে, সাব লাইনের জন্য সমস্যা হয়। আবার মেন লাইনেও ওয়াইফাই পায় না। এটা গ্রাম, ওয়াইফাই লাইন এবং নেটওয়ার্ক লাইন সবি সমস্যা সব সময়।

 last year 

চেষ্টা করলে উপায় হয়,আজকে আপনার ব্লগ পড়ে কিছুটা অবাক হলাম। আমরা কাজ না করার জন্য কত ধরনের বায়না ধরি। আর আপনি ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক বিদ্যুৎ এত সমস্যা নিয়েও প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছেন। রাতের বেলা কাজ করার জন্য আপনারা যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। একমাত্র আজকে মন থেকে ভালবাসলেই এটা সম্ভব। আশা করি আপনারা ভবিষ্যতে অনেক বড় কিছু করতে পারবেন। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

 last year 

কমিউনিটির প্রতি ভালবাসা

 last year 

আমার কাছে মনে হয় বর্তমানে অতিরিক্ত গরমের কারণে যারা গ্রামে থাকে সবাই এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। কারণ প্রতিটি গ্রামে লোডশেডিং এর পরিমাণ অনেক বেশি হয়। যাইহোক ভাই মশার থেকে বাঁচার জন্য মশারি টানিয়ে কাজ করেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। আমি রাতের বেলায় আমাদের মাচার উপর বসে আমার বাংলা ব্লগে কাজ করি বেশ ভালই লাগে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

আমাদের এখানে তেমন স্থান নেই, তবে এই জায়গাটাই বেশি গ্রহণযোগ্য, একটু বাতাস হয়।

 last year 

আমিও অনেক সমস্যা কে ফেস করি।তবে আমার নেট কিংবা ওয়াইফাইয়ের সমস্যা নয়।আমার পারিবারিক অনেক সমস্যা কে নিয়েই এখানে দুই বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি।নিতান্তই ভালোবাসার জন্য করে যাচ্ছি।তবে আপনাদের সমস্যা অনেক বেশি কষ্টদায়ক।আশাকরি আপনারা জিপি সিম ইউজ করে কাজ করবেন।এটার নেটওয়ার্ক ভালো। ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

 last year 

হ্যাঁ আপু, একা একজন এক এক রকম সমস্যা। তবে জিপি সিম আমাদের এখানে কাজই হবে না।

 last year 

বাহ দেখে তো বেশ ভালোই লাগলো আমার বাংলা ব্লগের প্রতি আপনার ভালোবাসার অনুভূতি। যখন যেখানে ভালোবাসার মায়া পড়ে যায় শত কষ্টের মাঝেও সেই মায়া গুলো চালিয়ে যেতে হয়। যেহেতু এখানে কাজ করতে বেশ ভালো লাগে। আমি তো শত ব্যস্ততার মাঝেও এখেনে উপস্থিত হয়ে স্বস্তি ফিরে পাই। শান্তি ফিরে পাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে পারলে। আপনি এতগুলো সমস্যার পরেও নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন নিয়মিত পোস্ট করে যাচ্ছেন এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। শেষমেষ বাইরে মশারি টাঙ্গিয়ে রাতে কাজ করেন এটা অত্যন্ত অনুপ্রেরণা সবার জন্য। অনেক ভালো লাগলো আপনার পুরো লেখা গুলো পড়ে।

 last year 

এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

কমিউনিটির প্রতি আপনাদের ভালোবাসা দেখে আমরা সবাই মুগ্ধ। মশা ও পোকা মাকড় থেকে বাঁচার জন্য মশারিটা লাগিয়ে বুদ্ধির কাজ করেছেন। তাছাড়া এখানে বসে কাজ করার কারনে এত গরম অনুভব হবে না। ধন্যবাদ।

 last year 

হ্যাঁ হ্যাঁ একদম ঠিক বলেছেন।