দার্জিলিং চা বাগানের সৌন্দর্য্য

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে সিকিম দার্জিলিং ট্যুরের নতুন একটি পর্ব শেয়ার করবো। গত দিন আপনাদের সঙ্গে ম্যালের চৌরাস্তার সৌন্দর্য শেয়ার করেছিলাম। আজকে আপনাদের সঙ্গে দার্জিলিংয়ের চা বাগানের সৌন্দর্য শেয়ার করবো। ঐদিন ম্যাল ঘুরে সকালবেলায় নাস্তা করে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম চা বাগানের উদ্দেশ্যে। চা বাগানটি দার্জিলিং থেকে খুব বেশি দূরে নয়। যেহেতু দার্জিলিং এ আমরা এর আগে একবার এসেছিলাম সেজন্য আমাদের সব জায়গায় ঘোরার ইচ্ছা ছিল না। যেসব জায়গাগুলো গতবার এসে বেশি ভালো লেগেছিল সেই জায়গাগুলোতে আমরা এবার গিয়েছিলাম। প্রথমে আমরা গিয়েছিলাম চা বাগানে। সেখানে থেকে ঘুরে এসে গিয়েছিলাম বাতাসিয়া লুপ। আজকে আপনাদের সঙ্গে চা বাগানের সৌন্দর্য শেয়ার করব।


IMG_6297.jpeg


IMG_6289.jpeg


আগেরবার এই চা বাগানে এসে চা বাগানে মেঘের লুকোচুরি দেখেছিলাম। এত ভালো লেগেছিল যে এবার শুরুতেই এই জায়গায় আসার লোভ সামলাতে পারলাম না। যদিও এবার আগের বারের মত মেঘ পাইনি কিন্তু এই জায়গাটা সৌন্দর্য অসম্ভব সুন্দর লাগে আমার কাছে। গতবারও যেমন সুন্দর লেগেছিল এবারও ঠিক তেমনটাই ভালো লেগেছে। এখানে ছোটদের এবং বড়দের ট্রেডিশনাল ড্রেস ভাড়া দেওয়া হয়। বড় ছেলেকে বলাতে সে পড়তে রাজি হয়ে গেল। বড় ছেলে পড়েছে আর ছোট ছেলে পড়বে না তা কি হয়। এজন্য দুই ছেলেকে ট্রেডিশনাল ড্রেস পরিয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। ওদেরকে খুব ভালো লাগছিল এই ড্রেস পড়াতে। যদিও আমাদেরকে বলছিল ড্রেস পড়ার জন্য কিন্তু আমার তেমন একটা আগ্রহ ছিল না জন্য পরিনি।


IMG_6268.jpeg


IMG_6261.jpeg


ড্রেস পরে ফটোগ্রাফি শেষ করে আমরা আরেকটু নিচে নামলাম চা বাগানের একদম ভেতরে যাওয়ার জন্য। সেদিন দার্জিলিঙে বৃষ্টি ছিল। তাই মেঘের সৌন্দর্য তেমন একটা দেখতে পেলাম না। তাছাড়া বৃষ্টির কারণে খুব একটা নিচে নামিনি। হুট করে বৃষ্টি চলে আসলে বাচ্চাদের নিয়ে দৌড়ে ওঠা সম্ভব নয়। বৃষ্টিতে ভিজতে হত তখন।


IMG_6259.jpeg

IMG_6257.jpeg

IMG_6248.jpeg

IMG_6245.jpeg

IMG_6243.jpeg


সবশেষে উপরে এসে আমরা এখানের বিখ্যাত চা খেলাম। এদের চা এত মজা লাগে যে বলে বোঝাতে পারবো না। চা বাগানের ভিতরে বসে চা খাওয়ার মজাই আলাদা। যদিও এই চা বাসায় নিয়ে আসার পর বানালে খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না। কারণ আমরা সাধারণত দানা চা খেয়ে অভ্যস্ত। আর ওরা এখানে পাতা চা বিক্রি করে। যা বেশিরভাগ রং চা খাওয়ার জন্য ভালো। আমরা যেহেতু রং চা খাই না তাই আর এখান থেকে চা কিনি নি।


IMG_6316.jpeg


এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phonei phone11
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

আপনারা দার্জিলিং চা বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলেন দেখে তো অনেক বেশি ভালো লাগলো। সিকিম দার্জিলিং ট্যুরের নতুন একটা পর্ব দেখে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। বৃষ্টি আসার কারণে আপনারা নিচে যেতে পারেনি শুনে খারাপ লাগলো। আর বাচ্চাদেরকে এই ড্রেসটা পড়ানোর কারণে তো আরো সুন্দর লাগছিল। অপরূপ সৌন্দর্যময় একটা জায়গার দৃশ্য দেখলাম আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে। আর বৃষ্টির কারণে আপনারা মেঘও ভালোভাবে উপভোগ করতে পারেনি জেনে খারাপ লাগলো।

 last year 

ধন্যবাদ আপু আমার পোষ্ট টি দেখার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

এই ধরনের এই ধরনের জায়গা গুলোতে গেলে খুবই ভালো সময় কাটানো যায়। আর আপনারাও অনেক বেশি ভালো সময় কাটিয়েছিলেন। আর বাচ্চাদেরকে অনেক সুন্দর ড্রেস পড়িয়েছিলেন। বলার সাথে সাথেই তারা রাজি হয়ে গিয়েছিল শুনে বিষয়টা আরো বেশি ভালো লাগলো। তাদের দুইজনকেই কিন্তু অনেক বেশি কিউট লাগছিল এই ড্রেসটা পড়ার পর। জায়গাটার সৌন্দর্য অনেক ভালোভাবে উপভোগ করেছিলেন। তবে বৃষ্টির কারণে নিচে নামতেই পারেননি। অবশ্য যদি নিচে নেমে যেতেন, তাহলে ভিজে ভিজে ওঠা লাগতো পরে। আর বাচ্চাদেরকে নিয়ে অনেক ঝামেলা হতো। আপনার আজকের সম্পূর্ণ পোস্ট সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

 last year 

আসলেই ভাইয়া এরকম জায়গায় গেলে সময় যে কোথা দিয়ে চলে যায় বোঝাই যায় না। এত সুন্দর পরিবেশে বসে থাকতেই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

দার্জিলিং চা বাগানের সৌন্দর্যের সাথে সাথে ছেলে দুটোর সৌন্দর্য ও দেখতে পেলাম আপু।সত্যি অসাধারণ লাগলো প্রকৃতির সতেজতা দেখে।সেদিন বৃষ্টি থাকাতে মেঘের দৃশ্য গুলো দেখতে পাননি।তারপরেও এর সৌন্দর্য কোন অংশে কম মনে হচ্ছে না।কোথাও ঘুরতে গেলে সেখানে বসে কোন কিছু খাওয়ার স্বাদই অন্য রকম। যা বাসায় এনে খাওয়া গেলেও সেই স্বাদ পাওয়া যায় না। আপনার মতো আমিও রঙ চা খাই না।দুধ চা দেখে লোভ লেগে গেলো।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু বৃষ্টি থাকার ফলে এর সৌন্দর্য কোন অংশে কমেনি। অন্যরকম সৌন্দর্য ধরা দিয়েছিল। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

বৃষ্টি থাকার কারণে আপনারা সেদিন দার্জিলিংয়ের মেঘের সৌন্দর্য তেমন একটা দেখতে পারেননি, জেনে আফসোস লাগলো আপু। তবে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফিতে দার্জিলিংয়ের যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পেলাম তাই দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমি নিজে কখনো দার্জিলিংয়ে যাইনি, তবে অনেকের শেয়ার করা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এই দার্জিলিংয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করেছি। যাইহোক, দার্জিলিংয়ের চা যে আপনার খুব ভালো লেগেছিল, জেনে খুব খুশি হলাম আপু। কারণ এই দার্জিলিং চা আমাদের ইন্ডিয়া ফেমাস।

 last year 

জি ভাইয়া এর আগের বার এই জায়গায় গিয়ে খুব সুন্দর মেঘের খেলা দেখেছিলাম। এইবার আর সেই রকম দেখতে পারিনি বৃষ্টির জন্য। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

এরকম দৃশ্য দেখা মিস হয়ে গেলে তো আফসোস লাগে আপু। তবে বৃষ্টি হলে কি আর করা যাবে! এটা তো প্রাকৃতিক বিষয়, এখানে কারোর কিছু করার থাকে না।

Posted using SteemPro Mobile