ভ্রমণ :- ( কুষ্টিয়া ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। ( পর্ব ৩)
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
গত পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম আমরা রবীন্দ্রনাথ কুঠিবাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তো বাইরে কিছুটা সময় কাটিয়ে এরপর আমরা কুঠিবাড়ির ভেতরে প্রবেশ করি। এখানে কিন্তু প্রায় অনেকগুলো জিনিসপত্র দেখতে পেয়েছি। বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথের ব্যবহারকৃত জিনিসপত্র গুলো দেখতে পেয়েছিলাম। এখানে নিচে একটা খুব সুন্দর কাঠের নৌকা দেখতে পেয়েছি। এটাই তো আমার কাছে দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমার এখানে বেশ কয়েকটা বড় বড় কিছু ফটো ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের।
এখানে আবার দেখতে পেয়েছি একটা ব্যবহৃত পুরনো কাঠের টেবিল। এই জিনিসপত্র গুলোকে দেখলাম আলাদা আলাদাভাবে সুন্দর ভাবে রাখা হয়েছে। আমরা হেঁটে হেঁটে এইসব জিনিসগুলো দেখতেছিলাম। আর আমি কিন্তু সব জিনিসপত্রগুলোর ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে আস্তে আস্তে শেয়ার করব। এরপরে এখানে কিন্তু আবার দেখতে পেলাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাল্যকালের ছবি। যেখানে অনেক কিছু লেখা রয়েছে। আমরা যখন ভেতরে প্রবেশ করছিলাম দেখলাম অনেকগুলো মানুষজন রয়েছে।
এরপরে আমরা এখানে কিন্তু আরো বেশ কয়েকটা জিনিসপত্র দেখতে পেলাম। আলাদা আলাদা রুমে এগুলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এখানে একটা দেখতে পেলাম ঘাস কাটার যন্ত্র। নিচে আপনারা এই যন্ত্রটা দেখতে পাচ্ছেন। আমি এখানে দেখতে পেলাম আরো একটা যন্ত্র যেটা নাকি মাটির মসৃণ করার যন্ত্র। এই যন্ত্রটাও একটা পাশে রাখা ছিল। দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমি কিন্তু হেঁটে হেঁটে সবগুলো জিনিস দেখছিলাম। আসলে এগুলো দেখার অনেক ইচ্ছে ছিল। তাই অনেক দূর থেকে এখানে এসে বেশ ভালই লাগছে।
এরপরে আমি দেখতে পেলাম এখানে একটা লোহার সিন্দুক। এই লোহার সিন্দুক গুলো আগেকার দিনে দেখা যেত আমাদের বাড়িতে একজনের ঘরে আমি এরকম দেখেছিলাম। তবে সেটা ছিল একটু অন্যরকম। তাই আমি এটা দেখে একটু অবাক হলাম। এরপরে আমি দেখলাম এখানে একটা কাঠের আলমারি রয়েছে। এই কাঠের আলমারিটা নাকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহারকৃত। আসলে প্রত্যেকটা রুমে এসব জিনিসপত্রগুলো সাজানো রয়েছে। আমরা সেদিন প্রত্যেকটা জিনিস ঘুরে ঘুরে দেখতেছিলাম।
এরপরে দেখলাম এখানে একটা পানি পরিশ্রুত করার যন্ত্র রয়েছে। এই যন্ত্রটাও মনে হয় লোহার। অনেক আগেকার সময়ের যন্ত্র গুলো দেখতে পেলাম সেখানে গিয়ে। অন্যরকম একটা অনুভূতি হয়েছিল। আবার আমার কাছে কিন্তু অনেক বেশি ভালো লেগেছে। যদিও এখানে কিন্তু আরো অনেক দিন জিনিসপত্র হয়েছে। যেগুলো পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। এরপরে নিচের দিকে আবার অনেকগুলো ছবিও দেখেছি লাগানো। এগুলোর ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারও শেয়ার করব নতুন কিছু।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://x.com/TASonya5/status/1911978473888834029?t=8W1LZCh5YFO217UZx1rAww&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি ঠিক বলেছেন আপু ঘরের মধ্যে থাকলে সারাক্ষণ কাজের মধ্যে থাকতে হয়।আর মাঝে মাঝে এভাবে বাইরে গেলে অনেক ভালো লাগে। আর রবীন্দ্রনাথের কুঠির বাড়ির ঐতিহ্য গুলো দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। অনেক আগে আমি ও গিয়েছিলাম। নিশ্চয় বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু, অনেক ভালো সময় কাটিয়েছিলাম।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি আমার হয়তো জীবনেও যাওয়া হবে না তবে আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরে এবং ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি ভ্রমণ শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি মুহূর্তটা সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/TASonya5/status/1912363236139192441?t=tPFbZbtR-xGJB6lkhh5PWw&s=19