ভ্রমণ :- লালন ফকিরের মাজার পরিদর্শন ( পর্ব ৫ )

in আমার বাংলা ব্লগ23 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।

এভাবে আপনাদের মাঝে লালন ফকিরের জাদুঘর পরিদর্শন করে পুরোটাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। এরপর আমরা মাজারের সামনের অংশটা পরিদর্শন করতে আসলাম। এখানে দেখলাম প্রায় অনেকগুলো দোকানটা রয়েছে। যেখানে রয়েছে খুব সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র। আমি বেশ কিছুক্ষণ ধরে সেখানেই হাঁটাহাঁটি করছিলাম। আর সবগুলো দোকানের ঘোরাঘুরি করে জিনিসপত্র গুলো দেখছিলাম। এখানে খুব সুন্দর কাঠের কিছু জিনিসপত্র দেখতে পেলাম। কাঠের তৈরি জিনিস দেখলে আমার এমনিতেই অনেক ভালো লাগে।

IMG-20250625-WA0070.jpg

IMG-20250625-WA0071.jpg

আবার দেখতে পেলাম কাঠের তৈরি অনেকগুলো একতারা। এগুলো দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে এখান থেকে আমার অনেক জিনিসপত্র কিনতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু আসলে ওইখানে জিনিসপত্র কিনে সেগুলো নিয়ে আবার নিজেদের এলাকাতে নিয়ে আসা এটা অনেক কঠিন। কারণ কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা আবার ঢাকা থেকে ফেনী এতগুলো জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। তাই জন্য কোন কিছুই কিনিনি। শুধুমাত্র দেখছিলাম আর কিছু ফটোগ্রাফি করছিলাম। দেখতে যেন ভালো লাগতেছিল।

IMG-20250625-WA0067.jpg

IMG-20250625-WA0066.jpg

এখানে এমন এমন কিছু জিনিসপত্র দেখলাম যেগুলা এর আগে আমি দেখিনি। সত্যিই কাঠের এই জিনিসপত্রগুলো ঘরে সাজিয়ে রাখলে কিন্তু বেশ ভালো লাগে দেখতে। আর এইসব জিনিসপত্র দিয়ে সজাতে আমার খুবই ভালো লাগে। এখানে আমি খুব সুন্দর পাখির বাসা দেখতে পেলাম। পাশের বাসা গুলো দেখে খুবই দারুণ লেগেছে আমার কাছে। এরকম সুন্দর কৃত্রিম পাখির বাসা গুলো ঘরে সাজিয়ে রাখলে আমার মনে হয় বেশ দারুন লাগবে। ফটোগ্রাফি করে নিয়ে নিলাম। এটাই হচ্ছে একটুখানি শান্তি পাওয়া আর কি।

IMG-20250625-WA0068.jpg

IMG-20250625-WA0069.jpg

তবে এখান থেকে নাশিয়া জন্য একটা ছোট্ট খেলনা কিনেছিলাম। সে তো অনেক কিছু কিনে দেওয়ার জন্য একেবারে লাফালাফি করতেছে। ওকে নিয়ে কোথাও গেলেই কেনাকাটা করার জন্য কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে একটা ছোট্ট খেলনা কিনে দিলাম। আরো অনেক কিছু কেনাকাটা করার জন্য বলতেছিল। পরে কিনে দিবো বলে একটু বুঝিয়ে দিলাম। এখানে আবার বাচ্চাদের অনেক ধরনের খেলনা ছিল। আমি বেশ কিছুক্ষণ সবগুলা দোকান ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। এদিকে আবার দুপুর পেরিয়ে বিকাল হতে চলল। আমাদের দুপুরের খাওয়া দাওয়া করা হয়নি।

IMG-20250625-WA0072.jpg

IMG-20250625-WA0073.jpg

এখানে প্রায় অনেকগুলো দোকান ছিল। সবগুলো ছিল খুব সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র। আমি কিন্তু আরো অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছি। আরো কিছু দেখলাম সেগুলো আপনাদের মাঝে পরবর্তীতে শেয়ার করবো। এদিকে আবার আমার মেয়েটা যতক্ষণ ছিল একটু পরপর এই বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনার জন্য বায়না ধরে। কিছুক্ষণ বুঝেই সুজিয়ে রাখি, কিছুক্ষণ পরে আবারও শুরু করে। আমার কাছে এখানকার সবগুলো জিনিসপত্র ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বে আরো কিছুটা জিনিসপত্র আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আজকে এ পর্যন্ত।

IMG-20250625-WA0076.jpg

IMG-20250625-WA0077.jpg

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

IMG-20220501-WA0005.jpg

Posted using SteemX

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি
Sort:  

🎉 Congratulations!

Your post has been upvoted by the SteemX Team! 🚀

SteemX is a modern, user-friendly and powerful platform built for the Steem community.

🔗 Visit us: www.steemx.org

✅ Support our work — Vote for our witness: bountyking5

banner.jpg

 22 days ago 

Screenshot_2025-09-09-18-08-40-42_0b2fce7a16bf2b728d6ffa28c8d60efb.jpg