হতাশায় নিমজ্জিত
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা আমাদের জীবনের একটি লক্ষ্যের কথা যদি বলি। তাহলে আমরা সব সময় চাই সকলে যেমন পরিস্থিতিতেই থাকি না কেনো। যেমন পরিবেশে থাকি না কেনো। আমরা সব সময় ভালো থাকতে চাই। আর এই ভালো থাকাকে ঘিরেই কিন্তু আমাদের সকল কাজ অর্থাৎ আমরা সব সময় চাই আমরা যেনো সুখে থাকি। আমরা যেনো আমাদের যা রয়েছে তা নিয়েই ভালো থাকি। আর এই ভালো থাকার জন্যই কিন্তু আমাদের এতো পরিশ্রম, এতো কষ্ট এবং এতো কাজ করা। কারণ তা না হলে আমরা কিন্তু আসলে এতো কষ্ট কিংবা এতো কাজ করতাম না। অর্থাৎ আমরা এতো কষ্ট জীবনে করি ভালো থাকার জন্য।
কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হলো এবং সবচেয়ে কষ্টের কথা হলো, আসলে আমরা যতোই ভালো থাকতে চাই না কেনো প্রতিটি মানুষ কোনো না কোনো ভাবেই একটা হতাশার মধ্য দিয়ে যায়। হয়তো সে হতাশা কারো কারো জন্য অনেক বেশি থাকে। আবার হয়তো কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ হতাশা অনেক বেশি কম থাকে কিন্তু একটা মানুষ যখন একেবারে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে যায়। তখন সেটা সত্যি খুব দুঃখের হয়। কারণ এই হতাশা একটি মানুষকে ধীরে ধীরে একেবারে শেষ করে ফেলতে পারে। আর এই হতাশা যদি কোনো মানুষ এর জীবনে চলে আসে। তাহলে আসলে সেই হতাশা থেকে বের হয়ে আসা খুব মুশকিল হয়ে যায় মানুষ এর জন্য।
কারণ একটা মানুষ যদি হতাশায় ডুবে যায়। তখন সে হতাশা থেকে বের হওয়াটা একটা মানুষের জন্য অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে যায়। কারণ হতাশা থেকে বের হওয়া খুব কঠিন একটি কাজ। কারণ হতাশা এতোটাই ভয়ঙ্কর একটি বিষয়। যেটা আমাদের শরীরে ধীরে ধীরে তার জায়গা করে নেয় এবং সেই হতাশা খুব ধীরে ধীরে আমাদের সকল আনন্দকে তার নিজের মধ্যে করে নেয় এবং সকল আনন্দকে হতাশায় রূপ দেয়। আর এভাবে করেই আমরা হতাশায় নিমজ্জিত হতে থাকি এবং একটা সময় আমরা আমাদের মনের সকল আনন্দকে হারিয়ে ফেলি। শুধু তাই নয়, আমরা আসলে হতাশাগ্রস্ত হতে হতে স্বাভাবিক জীবন যাপনটাকেও অনেকটা অসম্ভব বানিয়ে ফেলি, যেটা উচিত নয়।