সৃষ্টিকর্তার আনুগত্য


clouds-16088_1920.jpg

Source

আমরা প্রত্যেকেই কোন না কোন ধর্মে বিশ্বাস করি, কোন না কোন ধর্মেই অনুসরণ করি। প্রতিটি ধর্মই কিন্তু ভালো জিনিসগুলো আমাদেরকে শেখায়। মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে, সমাজে ভালো মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে হবে, আমাদের আচার-আচরণে যেন কোন মানুষ কষ্ট না পায় সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে, দান করতে হবে, অসহায় দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এ ধরনের আরো অনেক অনেক কথা প্রত্যেকটি ধর্মগ্রন্থেই রয়েছে। কিন্তু আজকের এই সমাজে যখন আমরা বাস্তব চিত্র দেখি তখন কিন্তু এই ধর্মের বিষয়গুলো খুব একটা বেশি চোখে পড়ে না। সবাই দেখি ওয়েস্টার্ন কালচারে নিজেকে আনুগত্য করছে, তাদের যেন সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছুই নেই।

আমি এটা বলছি না যে সৃষ্টিকর্তাকে আপনাকে মানতেই হবে। আপনি যে অবস্থানে রয়েছেন আপনার দিক থেকে আপনি সঠিক রয়েছেন। কিন্তু যারা বিভিন্ন ধর্মে অবলম্বী রয়েছে বিভিন্ন ধর্ম অনুসরণ করে তাদের প্রত্যেকের উচিত তাদের সৃষ্টিকর্তাকে অবশ্যই স্মরণ করা এবং সৃষ্টিকর্তার দেখানো পথে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। আপনি যখন আপনার মনের কথাগুলো সৃষ্টিকর্তার সাথে শেয়ার করবেন তখন মনের মধ্যে একটি আলাদা প্রশান্তি আপনি অনুভব করতে পারবেন। যেটা হয়তো সবগুলো অনুভূতি থেকেও অনেকটা ভিন্ন হয়ে যাবে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যেই মানুষ তার নিজের ধর্মকে সত্য ভাবে মনে প্রানে বিশ্বাস করে এবং ধর্মে অনুসারী ব্যক্তিদের সাহায্য করে এবং সমাজে একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সেই মানুষ খারাপ হতে পারে না এবং তার দেখাদেখি সবাই সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করছে এটাও কিন্তু একটি ভালো বিষয়। ভালো দিক আপনারা সবাই নিজ নিজ ধর্মের অনুসরণ করার চেষ্টা করবেন এবং সৃষ্টিকর্তার আনুগত্য করার চেষ্টা করবেন। দেখবেন মন থেকে আপনি একটি আলাদা ধরনের শান্তি অনুভব করতে পারছেন, ধন্যবাদ সবাইকে।

ABB.gif

Sort:  

মহান সৃষ্টিকর্তার আনুগত্য করা প্রতিটি মানুষের জন্যই আবশ্যকীয় হুকুম। কিন্তু!কেউ আনুগত্য করেন আবার কেউবা আনুগত্যের বাহিরে জীবন যাপন করেন।
বলাবাহুল্য যে, যাঁরা প্রতিনিয়ত তাঁদের সৃষ্টিকর্তার আনুগত্য করে চলেছেন, তাঁরা আনুগত্যহীনদের থেকে সবচেয়ে বেশি মানসিক প্রশান্তি লাভ করেন।