ফাইনালে ভারত

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

ChatGPT Image Sep 25, 2025, 03_01_07 AM.png

Image Created by OpenAI

আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল এশিয়া কাপের সুপার ৪ এর আরো একটা ম্যাচ ছিল আর এটা ছিল ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে। ভারত এবং বাংলাদেশের এই খেলার মাধ্যমে একটা বড়ো নির্নায়ক ম্যাচ ছিল। কারণ উভয় টিম প্রথম ম্যাচ জিতে একটা ভালো অবস্থানে ছিল। আর এই ম্যাচের মাধ্যমে ফাইনালের একটা বড়ো নির্নায়ক ম্যাচ ছিল। যদিও বাংলাদেশের এখনও আশা বেঁচে আছে সামনের ম্যাচের মাধ্যমে। তবে অনেক হার্ড আছে। কারণ ফাইনালে যেতে গেলে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সাথে একটু বেশি রানে জিততে হবে অথবা অলআউট করতে হবে।

এটা অনেকটা স্বপ্নের মতো বিষয়। যাইহোক এই ম্যাচটা ছিল দুবাই এর পিচে। আর এই দুবাই এর পিচ এবং আবহাওয়া আবু ধাবির থেকে জঘন্য। যেমন গরম আর তার উপরে খুবই স্লো পিচ । এছাড়া বাউন্ডারি লেভেল অনেক বড়ো। যদিও ক্রিকেটে এটা বেশি গুরুত্বপূর্ন না। কিন্তু স্লো পিচ হলে খুবই জটিল হয়ে যায় রান করাটা। বাংলাদেশ টস জিতেছিল এবং আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। তবে এই সিদ্ধান্তটা খারাপ ছিল না। বাংলাদেশের বোলাররা ভালো বোলিং শুরু করলেও ইন্ডিয়া ওপেনিং ছিল অসাধারণ। দুই বন্ধু মিলে যেনো একটা বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেছিলো।

যদিও এখানে প্রথম ১-৩ ওভারে তুলনামূলক রান অনেকটা কম ছিল। তবে বাকি ৩ ওভারে রান রেট ১২ এর উপরে চলে যায়, একটা অসম্ভবকে সাধন করার মতো যেটা হয় আর কি। ৬ ওভারে ৭২ রান যেখানে, সেখানে এই ধারাবাহিকতায় হিসেবে রান ২০০ ক্রস হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এখানে একটা বিষয় হলো, যখন রান একতরফা একটা তালে চলতে থাকে, সেখানে এই পার্টনারশিপ যদি যেকোনো একজনের দিক থেকে ভেঙে যায়, তাহলে সেই হারে রান রেটে ধস নেমে যায়। এখানে গিল আউট হয়ে গেলেও অভিষেক শর্মা তার নিজস্ব তালে ব্যাটিং করে গিয়েছে।

রান রেট পড়তে দেয়নি। কিন্তু অভিষেক শর্মার ওখানে আউটটা অস্বাভাবিক ছিল, কারণ ওখানে রান আউট হলেও আসলে বোঝার একটা ভুল ছিল। অভিষেক একটু বেশি ক্রিস ছেড়ে চলে গিয়েছিলো, ওটা বেরিয়ে যাওয়ার চিন্তা করে এই ভুলটা হয়। তবে যাইহোক, পরে যে ব্যাটসম্যান এসেছিল, তা একটা ব্যালান্সহীন সাজানো ছিল। কারণ দুবেকে ওখানে পাঠানোর কোনো কারণ আছে বলে মনে করিনা। স্যামসন এর মতো একজন ব্যাটসম্যান থাকা সত্বেও তাকে বসিয়ে রেখেছে, একদম বাজে স্কোয়াড সাজানো ছিল। যাইহোক, তাও রান ১৬০ পার করেছিলো, কিন্তু আশা ছিল আরো অনেক রানের। এখন বাংলাদেশের এই রান অনেক, কারণ ১৫০ পার হলেই বাংলাদেশ ঘাবড়িয়ে যায়।

ইন্ডিয়া বোলিং ভালো শুরু করেছিলো আর বাংলাদেশের সাইফ অসাধারণ ব্যাটিং করেছে, তবে তার অনেকগুলো সুযোগ হয়েছে ওখানে, কারণ প্রায় ৪-৫ টা ক্যাচ ড্রপ হয়েছে। ভারত এক্ষেত্রে খুবই বাজে ফিল্ডিং করেছে। এইরকম ক্যাচ মিস আগে কোনো ম্যাচে দেখিনি। অসম্ভব ক্যাচ মিস যাকে বলে, হাতের ক্যাচও মিস। তার পরেও বাংলাদেশ অনেক রানে হারলো। তবে সাইফ এখানে একা এইটুকু টেনে না আনলে আরো বেশি রানে হারত। লিটন আজকে খেলেনি, যাকে তাকে ক্যাপ্টেন করলে আর যাইহোক, ম্যাচ জেতা যায় না। যাইহোক ইন্ডিয়া ফাইনালে চলে গিয়েছে। তবে বাংলাদেশের লাস্ট একটা সুযোগ পাকিস্তানের সাথে, দেখা যাক কি করতে পারে।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  
 3 days ago 

ইন্ডিয়ার অভিষেক একাই পুরো ম্যাচটাকে একদম রানের উচ্চ অবস্থানে নিয়ে গেছে। শেষে অবশ্য হার্দিক মোটামুটি ভালই খেলেছে। তবে বোলিং হিসেবে রিসাদ আমাদের খুবই ভালোই করেছে। এদিক থেকে ইন্ডিয়ার বলার রাও মোটামুটি চাপই রেখেছিল আমাদের দেশের ব্যাটারদের। তারপরেও সাইফ হাসান দারুন একটা ইনিংস উপহার দিয়েছে। এই ছেলেটার সাথে যদি আর অন্য কেউ একটু সহযোগিতা করতো তাহলে ম্যাচটা জেতারই সম্ভাবনা ছিল। যাইহোক টিম ইন্ডিয়ার জন্য অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল ফাইনালে যাওয়ার জন্য। দেখা যাক পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশ কি করে।