প্রোটিয়াদের দুর্দান্ত সমন্বয়!

আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলা হয়েছে। আগের টি২০ সিরিজ মোটামুটি বেশ ইন্টারেস্টিং হয়েছে। গতকালের ওয়ানডে ম্যাচটি একপ্রকার খুবই ভালো হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। আসলে বিগত টি২০ সিরিজে একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম যে, এদের উভয় টিমের ব্যাটিং ফর্ম অনেকের খুবই ডাউন। তবে ফিল্ডিং আর বোলিং বেশ ভালোই আছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার টিমে মোটামুটি টি২০ সিরিজে যারা যারা ছিল, তারাই ৯০% আছে।

একই প্লেয়ার উভয় ফরম্যাট এর জন্য, তবে আগে এটা ছিল না, তাদের আলাদা আলাদা ফরম্যাট এর প্লেয়ার আছে কিন্তু। তবে অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু প্লেয়ার পরিবর্তিত আছে এখানে। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বেশ ভালো শুরু করেছিলো। টি২০ ফরম্যাট-এ যে মার্করম এবং রিকেলটন একটাও ভালো খেলতে পারেনি, তারাই এই ৫০ ওভারের ফরম্যাটে বেশ ভালো শুরু করেছিলো। বিশেষ করে মার্করম। দক্ষিণ আফ্রিকার বাভুমা কিন্তু একজন ভালো অধিনায়ক আর ভালো লিডার করতে পারে সব ফরম্যাটে। বাভুমা বর্তমানে শুধু ওয়ানডে ম্যাচ খেলে থাকে আর মাঝে মাঝে টেস্ট খেলে থাকে।

বর্তমানে মনে হয় এই সামনের বিশ্বকাপে খেলে রিটায়ার্ড নেবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমানে হাল ধরার মধ্যে আছে মার্করম। যাইহোক, রিকেলটন তেমন বেশিক্ষণ খেলতে পারেনি, তবে মার্করম বেশ অনেকক্ষণ ধরে খেয়েছিল। মার্করম এর সময় বেশি মানে শর্টকাট, খুব দ্রুত রান তোলে। ওপেনাররা বর্তমানে যে গতিতে ব্যাট করে, তাতে টিকে গেলে ভালো রান তুলে দেয় আর নাহলে কয়েক ওভারের মধ্যে আউট হয়ে যায়। যেটা টি২০ সিরিজে দেখা গিয়েছে। এদের একটা ভালো সুবিধা হলো, এরা বেশি বল খায় না আর ধৈর্য ধরেও বেশি খেলে না। খুব দ্রুত বলের সাথে সাথে রান করে।

রিকেলটন আউট হওয়ার পরে রানের ক্ষেত্রে তেমন বেশি একটা খারাপ প্রভাব পড়িনি। কারণ বাভুমা এসে মার্করম এর সাথে বেশ ভালো একটা পার্টনারশিপ গঠন করে । ফলে প্রথম দিকে রানের স্পিড যেমন গতিতে ছিল, পরেও বেশ ভালো একটা শক্ত ভিত্তি তৈরী করে দুইজন। এরপরে আরেকজন প্লেয়ার ৫৭ রানের দুর্দান্ত একটা রান করে দিয়ে যায়, এটা অনেক গুরুত্বপূর্ন রান ছিল, কারণ বাভুমার পরে এই ব্যাটসম্যান এর রান অনেক গুরুত্বপূর্ন ছিল ভালো একটা জায়গায় রান নিয়ে যাওয়ার জন্য। আসলে উঠে উঠে পরপর এই ৪ জন ব্যাটসম্যান এর কারণে ২৯৬ রানের একটা অসাধারণ রান তৈরী করতে সক্ষম হয় অস্ট্রেলিয়াকে।

যদিও ৫০ ওভারে এই রান তেমন একটা বর্তমান ক্রিকেটে বড়ো ইফেক্ট পড়ে না। তাও আবার অস্ট্রেলিয়ার সামনে, কারণ অস্ট্রেলিয়া তো ৩৫০ রান পর্যন্ত চেজ করতে পারার রেকর্ড আছে। তবে এই রান যে অস্ট্রেলিয়াকে গ্রাস করে নেবে, সেটা সহজে বুঝতে পারিনি কেউ। মারাত্মক বাজে খেলেছে অস্ট্রেলিয়া বলতে গেলে, কারণ এত রানে হারাটা সত্যি বলতে একটু লজ্জার বিষয়, লড়াই করে যদি ৩০-৪০ রানে হারে, তাহলে তেমন কোনো সমস্যা হয় না এক্ষেত্রে। কিন্তু এত বড়ো টিম হওয়া সত্বেও ১০০ রানে হারাটা একটু খারাপ বিষয় হয়ে যায়। একমাত্র মিশেল মার্শ ছাড়া সবাই বাজে খেলেছে। খেলার মতো তেমন কোনো প্লেয়ার দেখলাম না বাস্তবে এই টিমের মধ্যে, হাতে গোনা কয়েকজন পুরোনো প্লেয়ার, তার মধ্যে বেশি বোলার। অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্স ভালো না হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং আর ফিল্ডিং দেখে বেশ ভালো লেগেছে।