সিরাজের ম্যাজিক-লাস্ট টেস্টে থ্রিলার জয়!
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতদিনের টেস্ট খেলা অর্থাৎ পঞ্চম টেস্টের শেষের দিন মিলিয়ে টেস্ট সিরিজ শেষ হলো। লাস্টের টেস্ট ছিল খুবই লড়াই সম্পন্ন। কারণ ওভালের পিচ খুব একটা সুবিধার ছিল না ব্যাটিং এর ক্ষেত্রে, সেটা উভয় টিমের ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে। বরাবরের মতো ইন্ডিয়া টসে এই টেস্টেও হেরে যায়, মূল কথা একটাতেও টস জিততে পারেনি। তাও তাদের প্রথম থেকে বাইরের দেশের মাটিতে নতুন টিম হিসেবে অত্যন্ত ভালো খেলা উপহার দিয়েছে। এদিকে শুভমন গিলও তার জায়গা থেকে অধিনায়ক+ব্যাটিং এর দিক থেকে সেরাটা দিয়েছে। তো ওভালের পিচটা আসলে একটু হার্ড ছিল আর তারপরে বৃষ্টির আবহাওয়া চলছিল। সবমিলিয়ে পিচের কন্ডিশন একটু জোরালো ছিলোও বটে।
তো প্রথম ইনিংসে ইন্ডিয়া ব্যাট করতে নেমে খুবই খারাপ অবস্থা সৃষ্টি হয়, কারণ যাইস্বল এসেই lbw এর স্বীকার হয় এবং সেই সাথে বেশ খানিক্ষন রাহুল পিচে দাঁড়িয়ে থাকলেও তেমন কোনো সুবিধা করতে পারেনি। সাই সুদর্শনও এসে যথেষ্ট সময় এবং অনেকটা বল খেলেও একটু দাঁড়ানোর পজিশনে গিয়েছিলো, কিন্তু একটা ভুল শর্ট আর ক্যাচের শিকার হয়ে যায়। এখানেও একটা বড়ো ধাক্কা সামলাতে হয় তাদের। গিলও এসে ধরতে পারলো না, আসলে গিল লাস্ট দুটো টেস্টে একটু খারাপ খেলেছে, এটাও ঠিক, একজন ব্যাটসম্যান আসলে সব সিরিজে ভালো খেলতে পারে না। তারপরেও চেষ্টা করেছিল। তো রান আসলে খুবই খারাপ পজিশনে ছিল আর তারপরে উইকেটও বেশ কয়েকটা পড়ে গিয়েছে। একটা চাপের মুখে ছিল পুরো টিমটা।
করুন নাইর এই প্লেয়ার কোনো ম্যাচে ভালো না খেললেও এই খারাপ পরিস্থিতিতে একটা ভালো রানের পার্টনারশিপ করেছিল, তবে তাও আসলে এভারেজ। কিন্তু এই কঠিন পরিস্থিতিতে এটা ভালো ছিল। জাদেজাও এখানে একদমই দাঁড়াতে পারেনি। এরপরে ওয়াশিংটনও এসে কোনোমতে ২৬ করে আউট হয়ে যায়। আসলে কেউই তেমন দাঁড়াতেই পারেনি। আর তারপরে যারা এসেছিলো সব জিরো রানে আউট হয়ে যায়। এক পর্যায়ে বলা যায় যে, ইন্ডিয়া প্রথম ইনিংসে মারাত্মক খারাপ রান করে। কিন্তু ইংল্যান্ড এর একটা ব্যাপার এখানে প্রথম থেকে দেখলাম যে, তারা প্রথম থেকে ওয়ানডে সিরিজের মতো রান করে চলেছে। এদের এই ম্যাচে টার্গেট ছিল বেশি রানের লিড দিয়ে দিলে ইন্ডিয়া ওই রান তুলে বেশি আর টার্গেট দিতে পারবে না।
কিন্তু সিরাজ আর প্রশিদ্ধ কৃষ্ণা তাদের জন্য যথেষ্ট ছিল শেষ মুহূর্তে। ইংল্যান্ড প্রথম দিকে এতো বেগে রান তুলেছিল যে, এই রান মনে হয় এই তুলে ফেললো। ২০ ওভারে ১০০ পার করে ফেলেছে, যেটা নরমালি ৫০ ওভারের ম্যাচে হয়ে থাকে। সেই ফরম্যাটে ধরেছিলো। কিন্তু ২৪৭ রানেই তাদের অলআউট করে দেয়। এখানে অবশ্যই মূল ভূমিকা রেখেছিলো সিরাজ আর প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। ইন্ডিয়াকে তারা যে ২২ রানের লিড দিয়েছিলো, তা ইন্ডিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ধরে খেলে গেছে। যাইস্বল এখানে ১০০ রানের দারুন একটা ইনিংস খেলে। তারপরে আকাশ দ্বীপ একজন নতুন প্লেয়ার হিসেবে দারুন ব্যাট করেছে, ৬৬ রান বহু মূল্যবান রান এই পিচে। জাদেজা, ওয়াশিংটন সবাই মিলে বেশ ভালোই ধৌর্য ধরে এই রান করে টার্গেট দিতে সক্ষম হয়, ৩৭৫ রানের।
এই ওভালের পিচে ৩৭৫ মানে অনেক রান। তাও টেস্টে একটা ভয় থাকে এতো কম রানে, আর হাতেও পুরো দুইদিন। ইংল্যান্ড কিন্তু বেশ ভালোই খেলে যাচ্ছিলো, বিশেষ করে রুট আর ব্ৰুক ভালোমত সেট হয়ে গেছিলো, তাদের উইকেট নেওয়া একটা চাপের সৃষ্টি হয়েছিল। তারা দুইজনেই সেঞ্চুরি করে তাদের অবস্থান ভালো করে ফেলে। এক পর্যায়ে ইন্ডিয়া হেরে যাওয়ার মতো অবস্থা ছিল। কারণ এদের দুইজনের সেঞ্চুরি তাদের বাজিমাত করে দিতো। কিন্তু হঠাৎই তাদের ধুম করে ৬ উইকেট চলে যায়। ইন্ডিয়া এখানে ভালো একটা সাপোর্ট পায়। খেলাটা একদিন আগেই শেষ হয়ে যেত, কিন্তু বৃষ্টির কারণে পরেরদিন হয় খেলাটার শেষ পরিণতি।
এই দ্বিতীয় ইনিংসেও সিরাজ আর প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ম্যাচ জেতায়। সব উইকেট এরা দুইজন নিয়েছে। সিরিজ আসলে লাস্টে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তা নাহলে ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর্যায়ে ছিল, কারণ আটকিন্সন নামের একজন ব্যাটে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেলছিল ভালোই। লাস্ট উইকেটও ছিল এটা। কিন্তু সিরাজের ম্যাজিকে ইংল্যান্ড কুপোকাত। এই নিয়ে ইন্ডিয়া এই পঞ্চম টেস্ট জিতে যায় এবং সবমিলিয়ে এই টেস্ট সিরিজ ড্র হয়। বেশ ভালো খেলা হয়েছে পুরো টেস্ট সিরিজটা। নাটকীয়, রোমাঞ্চকর সবকিছুই দেখা গেছে। কারো জেতা ম্যাচ ছিনিয়ে নেওয়ার মুহূর্তটা আরো রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে, যেটা লাস্ট ম্যাচে হলো।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.