শ্মশান থেকে ফেরা চিঠি ( পর্ব ৩ )

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Late Night Revelation.png

Image Created by OpenAI

আজকে আপনাদের সাথে "শ্মশান থেকে ফেরা চিঠি" গল্পটির তৃতীয় পর্ব শেয়ার করে নেবো। তো এরপরে রাহুল ওই চিঠির কথা অনুযায়ী আর সময় অনুযায়ী অনেক ভেবেচিন্তে কৌতূহলের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিলো যে, যাইহোক না কেন ওই রাতেই সে স্মশান যাবে। তো রাত তখন ১২ টা আর চারিদিকে একটা নিস্তব্দ ভাব এসে গেছে, রাহুল ওই রাতে একা একা ওই স্মশানের বটতলায় পৌঁছে যায়। সেখানে একদম ঠান্ডা একটা পরিবেশ, স্মশান থেকে ধোঁয়া মতো আসছে আর এদিকে গঙ্গায় জলের ঢেউয়ের আওয়াজ অনবরত বয়েই চলেছে। এরই মাঝে রাহুল ওই বট গাছের নিচে একটা ছায়ামূর্তি মতো দেখতে পায়। রাহুল "কে" জিজ্ঞাসা করতেই ওখানে সেই ছায়ামূর্তিটি ধীরে ধীরে তার কাছে এগিয়ে এলো।

চোখে যেন শূন্য দৃষ্টি আর তার সমস্ত মুখ পোড়া। তখন সেই ছায়ামূর্তি তাকে বললো অর্থাৎ ওই চিঠিটা যে পাঠিয়েছিল এই ছায়ামূর্তিটি সেইই। তো সে রাহুলকে বললো-আমাকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল জীবিত অবস্থায়, কিন্তু ওই সময় কেউই আমার আর্তনাদ শোনেনি। রাহুল তার কথা শুনে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। আর পরে বললো-তাহলে কি তুমি ভূত বা আত্মা! ছায়ামূর্তিটি বললো-না, তবে আমাকে অন্যায় ভাবে মেরে ফেলার কারণে আমি মাঝপথে আটকে আছি, আমার আত্মা মুক্তি পায়নি। এরপর সে রাহুলকে একটা ডায়েরি সামনে এগিয়ে দিলো আর এই ডায়েরিতে সব সত্যি লুকানো আছে অর্থাৎ আমাকে যারা যারা মেরেছিলো, তাদের নাম এখানে লেখা আছে।

রাহুল পরোক্ষনে বইটা হাতে নিলো এবং বইয়ের পাতা খুলতেই হঠাৎ হাওয়া বইতে শুরু করলো। এরই মাঝে অন্ধকার স্থান থেকে যেন একটা ফিসফিস আওয়াজ রাহুলের কানে ভেসে আসলো-ওকে সত্যিটা জানতে দিও না। রাহুল আর বাড়ির দিকে ফিরলো না, ওখানেই ডায়েরি খুলে পড়া শুরু করে দিলো। আর ওখানে ডায়েরিতে স্পষ্ট করে লেখা ছিল যে-আমি জানি আমাকে কে বা কারা মারবে। ওরা সবাই আমার ব্যবসার সঙ্গী, আমাকে মেরে তারা নিজেদের ব্যবসার উন্নতি করতে চায়। তাদের নামগুলোও ওখানে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করে দেয়। আমি অনেক আগে থেকেই টের পাচ্ছিলাম যে, তারা আমাকে কোনো না কোনো উপায়ে আমাকে ফাঁদে ফেলানোর চেষ্টা করছে। যদি আমি বাঁচি, তাহলে এই ডায়েরিই হবে তার বড়ো প্রমান।

রাহুল পড়ে অবাক হয়ে গেলো এটা ভেবে যে-এই মানুষটার পেছনে এতো বড়ো গল্প লুকিয়ে আছে। কিন্তু অপরাধীগুলো এখন সমাজে বিরাট প্রভাবশালী আর বিত্তবান। তাদের কোনোকিছু করতে গেলে প্রমান দরকার। হিসেবে এই ডায়েরিই একটা বড়ো প্রমান। এরপরে এটা ভাবতে ভাবতে রাহুল পরের একটি পাতায় লক্ষ্য করলো কারো রক্তের দাগ ছিটিয়ে আছে। এরপর রাহুলের পেছনে হঠাৎ কে যেন হাফ ছাড়ার মতো একটা নিঃশাস ফেললো। রাহুল হঠাৎ এই পরিস্থিতে কেঁপে উঠলো, কারণ এমনিতে স্মশানে আছে আর রাতের বেলা এইরকম ঘটনা যে কেউ শিউরে উঠবে। রাহুল ঘুরে পেছনে তাকাতেই দেখলো-এক বিরাট বড়ো কালো ছায়া তার দিকে এগিয়ে আসছে এবং মানুষের মতো দেখতে হলেও মুখহীন। কাছে আসতেই ছায়াটি গর্জে উঠলো-.....


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png