শ্মশান থেকে ফেরা চিঠি ( পর্ব ১ )
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করে নেবো । গল্পটা কিছুটা ভৌতিক আবার রহস্যময়। গল্পটির নাম হচ্ছে "শ্মশান থেকে ফেরা চিঠি"। কলকাতার সবথেকে পুরোনো একটি পাড়া, যেখানে সবসময় একটা ভৌতিক পরিস্থিতির মতো। অর্থাৎ পাড়াটা অনেক ফাঁকা আর যাতায়াতও খুব কম মানুষের। বিশেষ করে রাত ৭ টার পরের থেকে ওই রাস্তা দিয়ে কেউ যাতায়াত করে না। লোকমুখে ওখানে অনেক বছর ধরে একটা কথা চলে আসছে যে, রাতে ওই রাস্তা দিয়ে অর্থাৎ সরু গলির ভেতরে আত্মা ঘোরাঘুরি করে বেড়ায়। রাহুল নামের একজন সাংবাদিক ছিল, সে যদিও আগে কলকাতার বাইরে কাজ করত।
বর্তমানে সেখান থেকে ট্রান্সফার হয়ে কলকাতায় চলে আসে। এরপর সে নিজের থাকার জন্য বাড়ি খুঁজতে লাগে আর ঠিক করে ওই পাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকে। এখন তার কাজ সাংবাদিকতা করা, ফলে সেটা রাত হোক বা দিন হোক, যেকোনো জায়গায় আর যেকোনো পরিস্থিতিতে দৌড়াতে হতে পারে। আর রাহুলের কাজ রাতের বেলা খবর খুঁজে বের করা, এই ব্যস্ত জীবনে তার সারা রাত জেগে বিভিন্ন জায়গার থেকে খবর সংগ্রহ করতে হতো আর সকালে গিয়ে ঘুমোতে হতো। এখন তার নামে হঠাৎ দুপুরের দিকে একটা চিঠি আসে।
পিওন বাড়ির কলিং বেল চেপে খামটা রেখে চলে যায়। খাম এর উপরে লেখা ছিল অর্থাৎ যার নামে পাঠাচ্ছে আর যে পাঠাচ্ছে তার ঠিকানা। তো রাহুলের নাম লেখা ছিল আর সেখানে তাকে যে পাঠিয়েছে তার ঠিকানা ছিল শ্মশানতলা। শ্মশান এর কথা শুনে রাহুল তো অবাক, কারণ এই অদ্ভূত ঠিকানা থেকে তাকে কে চিঠি লিখবে! যাইহোক কিছুক্ষণ এইরকম থাকার পরে অবাক দৃষ্টিতে খামটা হাতে নেয়। এরপর রাহুলের কৌতুহল ধীরে ধীরে বেড়ে যেতে লাগে। আর বেশিক্ষণ দেরি না করে রাহুল খামটা ছিড়ে ফেললো এবং তার ভেতরে তেমন কিছু ছিল না।
একটা কাগজ এর টুকরো আর তাতে দুই লাইন শব্দ লেখা ছিল- "আমি মরিনি, আমাকে বাঁচাও"। রাহুল এই বিষয়টাকে একটু হাস্যকর এর মতো নিলো, কারণ এই লেখা তো কেউ দুষ্টুমি করার জন্য লিখতে পারে। কেউ মজা করেছে ভেবে ওইভাবে খাটের উপরে কাগজ আর খাম রেখে দেয়। ওইভাবে কিছুক্ষণ পড়ে থাকার পরে আবার যখন খামটা হাতে নিলো, তখন কাগজের ভেতরে একটা পোড়া গন্ধের মতো পায় অর্থাৎ কিছুটা আগুনে কাপড় ঝলসে যাওয়ার মতো।....
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

